సి বিমল । হইতে ক্ষোভজনক সংবাদের ভয় । যোগেশের হৃদয়াকাশে সন্ধ্য। বাহ্যিক প্রকৃতির সন্ধ্যা উপস্থার চখে লাগিল মা । বাটী আসিয়া যোগেশ ব্যস্তভা সহকারে স্বীয় কক্ষে প্রবেশ করিলেন। তথায় আলোক নাই। প্রকোষ্ঠ অন্ধকার, যোগেশ তাহা ভাবিলেন না । ত্বরায় বিমলার পত্র উন্মোচন করিতে লাগিলেন । তাছার হস্ত বিকম্পিত হইতে লাগিল । বক্ষ বেপন সম্বৰ্দ্ধিত হইল । চিত্তের অবস্থা কি হইল তাহ বর্ণনা করা সহজ নয়। পত্রিক উন্মুক্ত হইল । যোগেশ তাহা পড়িতে বসিলেন । কিন্তু অন্ধকার হেতু এক বর্ণও পড়িয়া উঠিতে পারিলেন না । উঠিয়া ভূত্যকে আলোক দিতে অাদেশ করিলেন । ভূত্য আলোক আনিলে যোগেশ পত্রিকা পাঠে নিযুক্ত হইলেন । পড়ি লেন,— “যোগেশ, তোমাকে কি লিখিব ? যাহা লিখিব ভাবিভেছি তাহ" লিখিতে পারিতেছি না। লিখিতে পারিতেছি না, কিন্তু হৃদয়ের কথা হৃদয়ে রাখিলে তো চলিবে না। আজ এক ' সপ্তাহ ভাবিয়া আমি মনকে দৃঢ় করিয়াছি । আজ আমি মনের কথা জনা ইব । যোগেশ ! এজীবনে আমি তোমার হইতে পারি না, তুমিও আমার হইতে পার না । এ প্রফুল্লু কুসুমদ্বয় (জ্ঞানাকুর পৌঃ, ১২৮২ একত্রে শোভা পায়, ইহা জগদীশ্বরের অভিপ্রায় নয় । সে মুখ, সে সন্তোষ, সে শোভার জন্য আমরা সৃষ্ট হুই নাই । তোমার সহিত আমার বিবাহ হইতে পারে না। পাপ সমাজ তাহার কারণ। অদ্য যদি তোমার সহিত আমার বিবাছ হয়, কল্য তোমার জাতি যাইবে। তোমণর সহিত কেহ আহার ব্যবহার করিবে না, হয়ত অনেকে কথাই কহিবে না, তুমি সমাজ মধ্যে চিরকাল ঘৃণিত হইয়া থাকিবে । তাছাও হউক, তাহাও সঙ্ক করিতে প্রস্তুত আছি । কিন্তু এ বিবাহের পরিণামে আর এক মহদনিষ্ট ঘটিবে। তোমাদের বংশ পরম্পর চিরদিন এই অবিবেচনার ফলভোগ করিবে । আমি এসকল কথা ভাবিয়া দেখিয়াছি। স্থির বুঝিয়াছি তোমার সহিত আমার পরিণয় অশুভের নিদান হুইয়া উঠিবে। আমার অপেক্ষা ভবিষ্যতে তোমারই যন্ত্রণ অধিক হইবে । তবে কেন যোগেশ ? তবে বিবাহে কাজ নাই। তুমি মনকে দৃঢ় কর । অামি ਢੋਜ তুমি আমাকে অন্তরের সহিত স্নেহ কর। তুমি আমাকে যার পর নাই ভাল বাস । যদি আমি তাছা না জানিতাম ভাহা হইলে বড়ই ভাল হইত। কিন্তু যোগেশ ইহা তুমি নিশ্চয় জানিও যে আমার হৃদয়, আমার আত্মা, তোমার অমানুষী স্বেচ্ছ, অসীম
