8 e ঝোপে কোপে নেকড়ে সাইনস বলিল, “কিরূপে জানিল ?” উত্তর হইল, “রবার্ট ব্লেকের কৌশলে ।” সাইনস্ হুঙ্কার দিয়া সক্রোধে বলিল, “আবার রবার্ট ব্লেক ! এই লোকটাকে সাৰাড় করিতে ন পরিলে আমি নিশ্চিন্তু হইতে পারিব না । তাছার নিকট কোন কথা গোপন করিবার উপায় নাই ! আমাকে আমার ভবিষ্যৎ কার্য্যপ্রণালীপরিবত্তিত করিতে হইবে । এষ্ট সঙ্কটজনক অবস্থায় রবার্ট ব্লেককে আমার কোন কাজে হস্তক্ষেপণ করিতে দেওয়া হইবে না। আজ রাত্রেই তাঙ্গর অনধিকার চর্চ বন্ধ করিতে হইবে । তাহার মত প্রতিভাসম্পন্ন ডিটেক্টভকে ক্ষুদ্র কীটের স্তায় পদদলিত করিয়া চূর্ণ করিতে ইচ্ছা হয় না ; কিন্তু উপায় কি ? সে তাহার ধৃষ্টতার ফলভোগ করিতে বাধ্য, তাহার অণর পরিত্রাণ নাই ; সে বিলম্বে মরিত, কিন্তু নিজের দোষেই মৃত্যুকে সে এত শীঘ্ৰ ডাকিয়া আনিল ।” অতঃপর সাইনস তারের একটি ফাইল হইতে একখানি কাগজ বার্টির করিয়া লইল ; সেই কাগজখানিতে কতকগুলি নাম ছিল, তন্মধ্যে কয়েকটি নাম লাল কালী দিয়া কাটিয়া দেওয়া হইয়াছিল। এই তালিকার একটি নাম পেন্সিল দিয়া চিহিত করা হইয়াছিল ; সাইনস একটি পেন্সিল লইয়া প্রসিদ্ধ ডিটেক্টিভ মিঃ রবার্ট ব্লকের নামের পাশেও একটি চিকু অঙ্কিত করিল। সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে এই ব্যক্তিকেই সে কিঞ্চিৎ ভয় ও শ্রদ্ধা করিত । পল সাইনস অস্ফুটস্বরে বলিল, “আজ রাত্রে আমার এক ঢিলে দুইপার্থী মরিবে । রবাট ব্লেক ও বৃদ্ধ সোয়েন উভয়েই তাহদের ধৃষ্টতার উপযুক্ত প্রতিফল পাইবে । ব্লেক কাল পর্যন্ত জীবিত থাকিলে আমি সুখী হইতাম ; সে আমার ক্ষমতার পরিচয় পটত, আমার প্রাধান্ত স্বীকার করিতে বাধ্য হুইত ; কিন্তু তাহা হইবার নছে, আজই তাহকে মরিতে হুইবে—ইহা সত্যই ক্ষোভের বিষয় ।” পল সাইন সেই ভূগর্ভস্থ কক্ষে তাহার ডেক্সের কাছে বসিয়া রহিল, টেলিফোনে অনেকের সঙ্গেই তাহার পরামর্শ চলিল। তাহার ভাবভঙ্গি
পাতা:ঝোপে ঝোপে নেক্ড়ে.pdf/৪১
অবয়ব