পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO छैआन बाछैत्र आफ्ब्रजगैबनौं * छनगाथाद्वाgsव्र निकछै शिश्नाव निकाम নাগরিকগণ । ১৯২৮ সালের আয়-ব্যয়-তালিকা আমি আপনাদের কাছে উপস্থিত করেচি। খাব সোজাভাবে হিসােব লেখা আছে। এতে, প্রত্যেক লোকেই যাতে জিনিসটা বঝতে পাবে। আইনানসারে আমাদের সহর হিসাবপত্র থাকবে ক্যামেরাল নীতি অনসারে---কিন্তু এই নীতি অনযায়ী কাগজ লিখলে তা কেবল হিসাব সম্পবন্ধে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণ বোঝে। আমাব মতে হিসাব জিনিসটা সকলেই বাকবে। সতরাং আমি নিয়ম করেচি কাগজপত্র ক্যামেরাল নীতি অনসারে লেখা হবে, অথচ মোট অংকগালি সাধারণ হিসাবের খাতার মত “জমা’ ও ‘খরাচ’-এর ঘরে লেখা হবে; যাতে সকলেই সেটা বোঝে। নব বিষের পরেই আয়-ব্যয়ের হিসােব দাখিল করা আমার উচিত ছিল –কিন্তু জনসাধারণের বোধগম্য করে প্রকাশ করতে দেরি হয়ে গেল। পরানো ক্যামেরাল নীতি অনসারেই পাবে হিসাব লেখা হয়েছিল--কিন্তু প্রাদেশিক বোড বা অৰ্থনৈতিক বোডোিব এমন একজন সভাও নেই যে সে জিনিসটা বোঝে। যে তার দায়িত্ব নেবে, সে যদি জিনিসটা না বোঝে। তবে সে হিসাব রাখার অর্থ হয না। ১৯২৮ সালের বাজেট ঠিক নেই এমন কথা আমি বলচি না-কিন্তু ঐ জটিল হিসাবের প্রণালী না বোঝার দরবন তা ঠিক হ’ল কি হ’ল না। আমি কিছ জানি না। এ ব্যাপারটা ঠিক নয়। যদি কেউ আমার কাছ থেকে টাকা নেয়, তবে সে বঝে নেবে তাব পাওনাগপাড়া, শধ আমার সততার ওপর নির্ভর করবে না -এটাই আমি চাই। সহরের আস-ব্যয়েব ব্যাপােরও এভাবে দেখা উচিত, যাতে সকলেই সেটা বোঝে, তা কেন হবে না ? উভয্য নীতির পার্থক্য বোঝাতে আমি একটি গল্প বলাচি, এটা আমরা অর্থনৈতিক বোডো বলাবলি কবিতাম। গলাপটা এই ধ্ৰু--- এক গ্রাম্য মোড়ল জেলার প্রধান সহরে গিয়েচে গ্রাম্য কোন ব্যাপার মীমাংসা করতে। ফিরবার পথে ঝড়ে তার টুপি হারিয়ে গেল, সে হারানো টুপিটার বিল করে দিলে। গ্ৰাম্য বোর্ড সব খরচ দিতে চাইলে-- টুপিটার ছাড়া। মোড়ল রাগ করে বিল ফিরিয়ে নিয়ে এসে ক্যামেরাল নিয়ম অনসারে বিল লিখে আবার হাজির করলে। টাকার অংক একই আছে -কিন্তু টুপিটার দাম কোথায় ধরা হয়েচে-কেউ বাঝতে পারলে না। মেয়র বললে, ওর মধ্যেই আছে, খাজে বার কর। আমারও তাই মত। আমাদের প্রাদেশিক বাজেটের মধ্যে হ্যাটের খরচ গপতভাবে আছে, আমরা তা ধরতে পারি নে। অতএব সহজ নিয়ম বের করতে হবে, যাতে সকলেই হিসাব বঝতে পারে। জটিলতা হিসাবের কলের সাহায্যে সরল করে ফেলতে হবে, যার ব্যবহার ক্যামেরাল পদ্ধতি অনসারে সম্ভব নয় । এ রকম জটিল পদ্ধতির অনসরণ করার কারণ কি ? এর উত্তর সব সময়েই দেওয়া হয়-এই হিসােব দাবারা আমাদের বেশি ট্যাক্স দিতে হয় না। অর্থাৎ হিসাব ট্যাক্স কালেক্টরের কাছে বোধগম্য হবে না। অত্যন্ত সহজ হ’লে সবাই বৰ্ব্বতে পারবে, ক্রেতারা জিনিসের দাম কমিয়ে দিতে বলবে। যে ব্যবসায়ী এরকম করে, তার পতন অবশ্যম্ভাবী। প্রথমে ট্যাক্স-কালেক্টরকে ফাঁকি দেওয়া যায় বটে, কিন্তু শেষে নিজেরাই বৰ্ব্বতে পারে না তাদের হিসাব। অনেকে বলবেন এই ভাল-কারণ বোঝাতে