পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○や छैआन बाह्रैाद्र आफ्छौंबनौं অ্যামি কেন দেউলে হবো না আপনাদের বোঝান শান্ত। প্রথমত, আমি বালাকালে যে শিক্ষা পেয়েচি, তার ফলে নিজেকে দেউলে ঘোষণা করা অপমানের কাজ বলে বিবেচনা করি। দ্বিতীয়ত, অলপ বয়সেই আমি শিখেছিলাম, দেউলে হওয়া থেকে নিজেকে কি করে বাঁচান যায়। আঠার বছর বয়সে, আমি ভাই ও বোনের সঙ্গে ৮oo জেলাটি (৬০০ টাকা) মলধন নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ের ভিত্তি পথাপন করি। আমরা আমোদপ্রমোদে সময়ক্ষেপন করে এক বৎসর পরে আবিস্কার করলাম মহাজনের মালের দাম দেবার সংগতি নেই। আমাদের। হিসেবেয়া খাতায় জমার ঘরে শন্য। এ অবস্থায় আমার ভাই যন্ধে চলে যান। তিন বৎসরের জন্যে। ব্যালান্স-শিটে দেনার অংক থাকলে দেউলে হয় না। জমার ঘরে টাকা না থাকতে পারে, কিন্তু থাকে উৎসাহ, কম প্রচেষ্টা, সদিচ্ছা, শ্রম -এ সব লেখা থাকে না জমার ঘরে। অভিজ্ঞতা ও কম কুশলতাও মস্ত বড় মালধন-মালধন কি শািন্ধ টাকা ? কিন্তু সে সময় তাও আমার ছিল না। আমার বাড়ি যে সহরে, সেখানে সবই কেরাণীর দল, তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য কোন না কোন অ্যাপিসে চাকরী পাওয়া। আমিও হাতের কাজকে ঘণার চোখে দেখতাম, অন্য ধবণের কাজ তো জানতামই না। কিন্তু তবও আমি দেউলে হই নি, কারণ আমি প্রতারক ছিলাম না। প্রাণপণে খেটে টাকা জমিসে আমি পাওনাঙ্গারদের পাওনা শোধ করে দিলাম। দরবস্থাকে জয় করলাম। আমার শিক্ষা হয়ে গিয়েচে যে, দেউলে হওয়ার মিলে নীতিবাদের প্রশন নিহিত আছে। কেউ দেউলে হয়ে বেচে থাকতে চাষ না। কেউ তার যথাসব সােল এমন কি নিজে বিনা বেতনে পাও•াদারের চাকর হয়ে থেকে দেন। শািন্ধতে 13 শেষোন্ত ব্যক্তিরাই বড় ব্যবসা, বড় জাতি, বড় কাবখানা, বড় ব্যাক্তক গড়ে তুলিবাবা ক্ষমতা রাখে। [ কমে বিশ্ববাস ও নিম্ঠা মানবের ব্যক্তিত্বের পণ বিকাশ, বাটা একথা মনেপ্রাণে বিশ্বব্বাস করতেন, তিনি দেখেছিলেন। গত মহাযান্ধের পরে দেশের যে ক্ষতি হয়েছিল, নিম্ঠার সহিত পরিশ্রমের ফলে অলপদিনের মধ্যেই তার পরিণ হয়। ১৯২৩ সালের ১৪ই জুলাই তারিখে প্রকাশিত তাঁর রচনাতে তিনি সেকথা উল্লেখ করেচেন। } छछैिन्न निन গাত সপ্তাহে দ’দিন ছটি ছিল, একটি জাতীয় উৎসবের দরুন, অপরটি ধর্মসংক্রান্ত। আমাদের কারখানা একদিনও বন্ধ ছিল না, যদিও কাজ তত বেশি ছিল না। ষা মাল তৈরি হয়ে সন্টকে জমা করা হচ্ছিল। আমরা ছটির দিন কাজ বন্ধ রাখি না, কিন্তু তার কারণ এ নয় যে ধর্মের প্রতি বা জাতির বীর সন্তানদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা। কিন্তু কম আছে । আমরা বিশবাস করি পরিশ্রম দ্বারা জীবিকাজনের দরবন কোন বীর বা সাধমহাত্মা অপমানিত হন না। দেশের লোকের পরিশ্রমের ওপর দেশের উন্নতি নিভাির করে। আমেরিকার সঙ্গে তুরস্কের তুলনা করলে এ ব্যাপার পরিস্ফুট হবে। অবশ্য আমি কামাল আতাতুকের অভু্যদয়ের পর্যবেকার তুরস্কের কথা বলাচি। আমেরিকানেরা অলস নিম্পকম্যাভাবে থেকে কোন উৎসব পালন করে না। এমন কি তাদেব জাতির সব শ্রেষ্ঠ পরিষ ওয়াশিংটনের জন্মদিনেও না। অথচ দেখ, তুরস্কে সম্প্ৰতাহে ছিল তিনদিন ছটি, একদিন মসলমানদের জন্যে, একদিন ইহাদীদের, একদিন খাস্টানদের। এতে কাজ ভালভাবে চলবার কথা নয়। ফলে আমাদের দেশ থেকে -লোকে আমেরিকায় যায় জীবিকা অজািন করতে, কিন্তু