পাতা:টমাস বাটার আত্মজীবনী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኴሃ !ታ छैबान वाग्नेत्र बस्न खौंबन । আমাদের কারখানায় একজন পাকা কারিগর। ৮ ঘণ্টায় এক জোড়া জাতো তৈরি করার মােজরি পায়- মহাযান্ধের পাবে এই কাজে ৩o ঘণ্টা সময় লাগত। এদিক থেকে দেখতে গেলে আমরা শ্রেষ্ঠ আমেরিকান জন্তোর কারখানার সমান কাজ করতে পারি। আমেরিকান মোটর কারখানার একজন মজার ৫০/৬০ দিনে যা আয় করে, আমাদের দেশে আলস্যের দািরন মজীরেরা ৬০০ দিন কাজ করেও সে আয় করতে পারে না। প্রত্যেকের কতব্য শান্তিমান হওয়া, ধনী হওয়া। এখন থেকেই উপাজন করতে শেখো। যথেষ্ট আয় কর, বঝে ব্যয় কর এবং সঞ্চয় করা। আমাদের অর্থনৈতিক কমপ্রণালী যারা পরীক্ষা করে কখনো দেখেনি।--তাদেব কোন অধিকার নেই অসাফল্য ঘোষণা করবার। উপাজনকারী ছাত্র আমাদের সঙ্গে একটা চুক্তিতে আবদ্ধ হ’ক। আমরা তার আয় থেকে দাম কেটে নিয়ে তাকে জাতো ও পোষাক সরবরাহ করবো। তাদের মা তাদের পোষাক কিনবেন, এটা ভাল দেখায় না। আমি কলেজের ডিগ্রিধারী এমন অনেক লোকের কথা জানি, যারা সাংসারিক বিষয়ে সক্ষপণ অজ্ঞ। তাদের পোষাকের খরচ কত বা গত বৎসর কত তাদের খরচ হয়েচে-এ বিষয়ে কোন খবর রাখে না। তারা । ছ’ বছরের একটি শিশকেও অৰ্থনৈতিক স্বাধীনতা শিক্ষা দাও। পিতামাতা যা তাকে দেবেন, সেটা উপঢৌকন স্বরপ গ্ৰহণ করতে শেখাও। তার আসল হবে, যা সে জনসেবা দবারা লাভ করে। শিক্ষানবিশির সময প্রত্যেক মিস্ত্রি ছোটখাট কোন কাজ করে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করবে। এই কাজ থেকে তার যে আয় দাঁড়াবে, এইটি যেন তার ব্যক্তিগত বাজেটে প্রধান আয় হয়। তার নিজেব কায্যের ছোটখাট সমস্যাগলির সমাধান তাকে নিজেই করতে হবে। এই সমস্যাই হ’ক তার শিক্ষক। কারখানায় যদি ক্রেন বা অন্য কোন যন্ত্র না থাকে। --তবে তার কেতাবী বিদ্যা এ বিষয়ে তাকে কোন সাহায্য করবে না। সতরাং তাকে আবিস্কারক হতে হবে। তবেই তার প্রকৃত সাফল্য। স্কুলে এ কাজ শেখা যায় না- তরণ বয়স থেকে হাতে-কলমে কাজ না করলে আবিস্কারের ক্ষমতা জন্মায না। বিজ্ঞানকে ব্যবহার করতে হ’লে বহা কৌশল জানা দরকার। এই কাজে যে আয় হবে।---আমাদের বর্তমান সাচ্ছল্য ও ভবিষ্যৎ ঐশবয তার ওপর নিভাির করবে মনে রেখো। ব্যবহারিক জ্ঞান সমাজে নতুন ঐখবয সন্টি করে। এই স্কুলের যে ছাত্র বিদ্যালয়ে প্রবেশ করবার এক বৎসরের মধ্যে কোন নতুন যন্ত্র আবিস্কার না করবে--- অন্তত জনসেবা দ্বারা অর্থ উপার্জনের কোন পন্থা খাঁজে না পাবে--- বাঝতে হবে এই কাযে তার কোন বিশেষ যোগ্যতা নেই। নিজেকে আগে বদলাও তোমরা জনগণের নেতা ও পরিচালক হতে চলেচ-আগে নিজের জীবন এমনভাবে তৈরি করা, যাতে তোমরা বহত্তর শারীরিক ও মানসিক কমের উপযক্ত হতে পার। আমাদের পাকযন্ত্রকে প্রথমে ঠিক করে নেওয়া দরকার। সকালে পাকস্থলীকে পণ্য করবার পাবে আগে তাকে খালি করা দরকার। আমাদের চেক প্রাতরাশ, কফি ও রাটি, সকালের কাজে আমাদের উপযন্ত শক্তি যোগায় না। কারণ ও খেয়ে পেট ভরে না। বিকালের দিকে গােরভোজনের ফলে কাজ করা যায় না। মস্তিকের ব্যবহার যারা বেশি করে, তাদের পক্ষে দগধ, ফলমল, শাকসব্জি, পাডিং, অল্পসল্প মাংস-এই খাওয়া উচিত। শারীরিক পরিশ্রম যারা বেশি করে, তাদের বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়া মন্দ নয়।