পাতা:টম্‌ খুড়ো - তারিণীচরণ চক্রবর্তী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(২)

সাধুবিগর্হিত পদ্ধতি অর্থাৎ দাসদাসী ক্রয় বিক্রয় প্রথা বহুকালাবধি প্রচলিত আছে, যাহা হউক তদীয় জনৈক দাসীর উদরে একটী সন্তান জন্মিয়াছিল, যাহার নাম হারি, তাহার মস্তকের কেশ সকল বিকুঞ্চিত চক্ষুঃ নীলোজ্জ্বল ও মূর্ত্তি এমনি প্রশান্ত যে সহসা সন্দর্শন করিলে উত্তরকালে জ্ঞানবান হইবার বিশেষ চিহ্ন বিলোকন হইত।

 তাহার বয়ঃক্রম অল্প বটে, তথাচ বিবিধ কৌতুক প্রদর্শন করাইয়া জননীচয়ের সন্তোষ সম্বর্দ্ধন করিতে পারিতেন তন্নিমিত্তে ঐ ধনাঢ্য ব্যক্তির প্রাসাদের চতুষ্পার্শ্বের লোক সকল তাহার নিকটে কৌতুক দর্শনার্থে কখন কখন আগমন করিত, এবং সকলেই তাহাকে সাতিশয় ভালবাসিত। তিনি এইরূপ সকলের স্নেহের ভাজন হইয়া চন্দ্র-কলার ন্যায় দিন দিন পরিবর্দ্ধিত হইলে লাগিলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে তাহার এরূপ সুখের অবস্থা অধিক দিন রহিল না। যে হেতুক একদিন শীতকালে জনৈক নৃশংস ক্রীতদাস ব্যবসায়ী ঐ ধনি ব্যক্তির ভবনে উপস্থিত হইল, এবং হারির ক্রয়ের মূল্য নির্দ্ধারণ পুরঃসর উভয়ে একত্র হইয়া সুরা পানে প্রবর্ত্ত হইল তৎকালে হারি কিঞ্চিৎ খাদ্য সামগ্রী প্রত্যাশায় তথায় গমন করত তাহাদের অভিমুখে নানা নর্ত্তক নর্ত্তকীর ও বৃদ্ধ কড়জোর চলনের অভিনয় দর্শানতে তাহারা প্রীত হইয়া সহাস্য বদনে ঐ শিশুকে আহারার্থে কতিপয় আঙ্গুর প্রদান করিলেন। পরে তাহারা পূর্ব্ববৎ হারির বিক্রয় বিষয়ে অনেক কথা