পাতা:টম্‌ খুড়ো - তারিণীচরণ চক্রবর্তী.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(৪)

প্রদান করিবে? আমি আর তোমার প্রদোষকালীন শ্রোত্রসুখদ মধুরময় ঈশ্বরোপাসনা শুনিতে পাইব না। তোমার বদন চন্দ্রিমা আর কস্মিনকালে দেখিতে পাইব না। তোমার কমলাস্য বিনির্গত পীযুষ মাথা মা বোল শব্দে শ্রুতিপাত করিব না। এই সমস্ত ব্যাপার চিন্তা করিয়া আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে। অসু দেহপরিহারে একান্ত সমুৎসুক হইতেছে, জীবন তৃষ্ণা বলবতী বলিয়াই পরিত্যাগ করিতেছে না। হে বজ্র! তুমি ধরাতলে পতিত হইয়া নির্দ্দোষি মহীরুহ কদম্বকে দগ্ধ ও বিনষ্ট কর, পরন্তু আমার মস্তকে কেন বিনিপাতিত হওনা? হে বসুন্ধরে; তুমি দ্বিধা হও, তোমার অভ্যন্তরে প্রবেশ করি, আর এ দাসত্ব শৃঙ্খলের দুঃখ সহ্য হয় না।

 হে জগদীশ্বর! তোমার কাছে কত অপরাধিনী হইয়াছি তন্নিবন্ধন আমাকে আজন্মাবধি দাসত্ব নিগড়ে বদ্ধ রাখিয়াছ। এ দুঃখিনীর দুঃখের কথা কি বলিব, নয়ননীরে ভাসমান হইয়া দিন যামিনী অতিবাহন করিতে হয়। আবার একি বিড়ম্বনা, যে সন্তানের মুখাবলোকন করিয়া সকল দুঃখ নিবারণ করি, সেই হৃদয় সর্ব্বস্ব বাছাধনকে অপহরণ করিয়া লইয়া যাইবে, হা বিধাতঃ! তোমার মনে কি এই ছিল, দিনাবশেষে বাছাকে অঙ্কে ধারণপূর্ব্বক শ্রমাপনোদন করি, এবং মুখ চুম্বন করিয়া তাপিত শরীর জুড়াই। একবার ভাবি, হলাহল পান করিয়া তনু ত্যাগ করি, আরবার মনে করি, ইহকালে ঈদৃশী দশা সম্পন্না হইয়াছি,