পাতা:টম্‌ খুড়ো - তারিণীচরণ চক্রবর্তী.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(১৯)

প্রদান করিয়াছিলেন। কিন্তু তিনি কে তাহা আমি জানি না। তাহাতে সকলেই একবারে বলিল, কি তুমি বরফের উপর দিয়া পার হইয়াছিলে? হাঁ মহাশয়! তাহারা পশ্চাতে আসিতেছে, আর কোন পথ নাই, সুতরাং এরূপে পার না হইয়া আর কি করি। জগদীশ্বরের অনুগ্রহে আসিয়াছি, আমার কি সাধ্য।

 ইলাইজার অসংসাহসী কর্ম্ম শ্রবণ করিয়া আবাসবাসী জনগণের মনে সাতিশয় দুঃখোদ্ভাবিত হইল। বর্ড সাহেব স্বীয় দুঃখ গোপন করিবার মানসে ছলে চস্মা পরিষ্কার করিতে করিতে নাসিকা ঝাড়িতে লাগিলেন। ক্ষণেক কাল পরে বিবি বর্ড শোক সম্বরণ করিয়া ইলাইজাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কোথায় যাইতে মানস করিয়াছ? তাহাতে তিনি কহিলেন আমি কেনেডা নগরে গমন করিব। যে হেতুক কেনেডা ব্যতীত আর কোন স্থান আমি অবগত নহি। ভাল, বিবি সাহেব কেনেডা এখান হইতে কত দুর হইবে? তাহাতে তিনি উত্তর করিলেন, কেনেডা অনেক দূর, কিন্তু তুমি এস্থানে অবস্থিতি কর যাহাতে তোমার ভাল হয়, তাহা করিতে যত্নবান্ হইব। পরে ডানিয়া নামক ভূত্যকে আহ্বান করত আদেশ করিলেন যে রন্ধনশালার নিকটবর্ত্তী আপন গৃহমধ্যে ইহাদিগের শয্যা পাতিয়া দেও। তখন ইলাইজার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, হে দরিদ্রা নারী ভীতা হইও না, জগদীশ্বরের প্রতি বিশ্বাস কর, তিনি তোমাদিগকে রক্ষা করিবেন।