১৩ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন পক্ষের জন বার সকলের চেয়েও জোয়ান খেলােয়াড়ের সামনে গজ তিনেক দূরেও নয় । ঐ দাড়াইয়া স্কুলবাড়ীর গােলরক্ষক, সর্বপেক্ষা সাবধানী খেলােয়াড়, তাহার পাশে টমব্রাউন, সে ইতি মধ্যে তাহার কর্তব্য শিখিয়া ফেলিয়াছে। এই তােমার বার টম। সমস্ত ব্রাউন কুলের রক্ত তাহার আজ শিরার মধ্যে নাচিয়া উঠিয়াছে, সে এবং গােলরক্ষক দুজনে এক সঙ্গে বলের উপর ঝাপাইয়া পড়িল, অগ্রসরন্ত স্তম্ভের একেবারে পায়ের নীচে বলিলেই হয়, প্রিপােষ্টার পা ও হাঁটুতে ভর করিয়া এবং পিঠ ধনুকের মত বাকাইয়া, আর টম সটান উপুড় হইয়া। আক্রমণকারীগণের অগ্রবর্ত্তীরা তাহাদের উপর হুমড়ি খাইয়া পিষ্টারের পিঠের উপর দিয়া ঠিকরাইয়া টমের উপর সপাটে আসিয়া পড়িয়া বেচারার পড়টুকু হইতে সমস্ত দম একবারে নিক লাইয়া দিল। “আমাদের বল” বলিয়া প্রিপােষ্টর উহা হাতে করিয়া উঠিয়া দাড়াইল এবং বলিল “তােমরা সরে যাও, তােমাদের তলায় একটি ছােট ছেলে রয়েছে। তখন তাহারা গড়াইয়া সরিয়া গেল, আর কতককে বা টানিয়া সরান হইল, এবং অবশেষে টমের নিস্পন্দ শরীর দৃষ্টিগােচর হইল। বড় ফ্রক তাহাকে তুলিয়া পাড়া করিয়া বলিল, “তােমরা সরে যাও, ওকে একটু বাতাস পেতে দাও”। এবং তারপর তার গা হাত পা টিপিয়া টুপিয়া বলিল “কোন কাড় ভাঙ্গে নাই, কেমন বােধ হচ্ছে, খােকা”? | “আঃ হাঃ” বলিয়া টম দম আসাতে হাপাইয়া উঠিল। “মন নয়, ধন্যবাদ”—হ্যা ভাল বােপ হচ্ছে”। বড়ক জিজ্ঞাসা করিল এ ছেলেটি কে’? ইষ্ট অগ্রসর হইয়া ৰলিল “ও যে ব্রাউন, একজন নতুন ছেলে, আমি ওকে আনি”। বড় ক বলিল “হা সাহসী বাচ্চা বটে, কালে খেলােয়াড় হবে”। “খতম” বলিয়া ফুলবাড়ীর ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষ হইল। '। TIT .
