পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 1. ।। " ২১২ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। মারিল, অতি অল্পের জন্যে টমের মাথা খাচিয়া গেল, কিন্তু বােতলটা দেয়ালে লাগিয়া দরদালানের শেষে খান খান হইয়া ভাঙ্গিয়া গেল। দরদালানের বাঁক ঘুরিয়া ইষ্ট বলিল “ও যদি আমাদের খুন করতে পারে তাহলেও পিছ-পা নয়”। কেহ তাহাদের পশ্চাদ্ধাবন না করায় তাহারা হলঘরে গিয়া ঢুকিল সেখানে আগুনের ধারে একদল ছােট ছেলের সহিত সাক্ষাৎ হইল। তাহারা নিজেদের বৃত্তান্ত বলিল—বাধীনতার সমর ত আরম্ভ হইয়াছে এখন কে বিদ্রোহীদের সহিত যােগ দিবে। উপস্থিত কয়েকজন পঞ্চম ফর্মীদের জন্য খাটানি খাটিবে না বলিয়া প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইল, কেবল দুএকজন পাশ কাটাইয়া সরিয়া পড়িল , এখন তাহারা কি করিবে ? টম বলি “আমার খুব ইচ্ছা যে আমি সটান আচার্যের কাছে চলে যাই”। আর একজন বলিল “সে হবে না, গত ষষমাহের স্কুল-মজলিশের কথা মনে নেই”। | বস্তুতঃ ইতিপূর্বে সমস্ত স্কুলের একটি জমায়ৎ আহূত হয়, তাহাতে স্কুলের কাপ্তেন দাড়াইয়া তৎপূর্বে কয়েকটি ক্ষেত্রে সরাসর মাষ্টার মহাশয়দিগের কাছে নালিশ উত্থাপন করার দৃষ্টান্ত দিয়া তেব্য প্রকাশ। করেন যে এরূপ আচরণ সাধারণ নীতি এবং চিরাগত স্কুল-নিয়মের বিরুদ্ধ, আর বলেন ষষ্ঠদের সে বিষয়ে আর একটি জমায়ৎ হইয়া স্থিরীকৃত হইয়াছে যে এরূপ আচরণ অবিলম্বে নিষিদ্ধ হওয়া আবশ্যক, এবং তাহার প্রকাশ করিয়াছে যে যেকোন ফৰ্ম্মার ছাত্র অতঃপর প্রিপােষ্টয়ের কাছে না গিয়া এবং তাঁহাকে সম অবস্থা না জানাইয়া মাষ্টারের কাছে নালিশ করিবে, সে প্রকাশ্যভাবে ঠেঙ্গানি খাইবে এবং তারপর নির্বাসনে যাইবে। • T . {