পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীনতার সমর। ২১৯ তাহাদের মধ্যে বেশ একটু পশারও জমাইয়া লইয়াছিল, যদিচ ছােট ব্রুক তাহার সঙ্গে কখনও বাক্যালাপ করিত না, এবং ভালদরের আরও দুএকজন ছােকরা সুযােগ পাইলেই তাহার সম্বন্ধে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করিতে ত্রুটি করিত না। কিন্তু খারাপ ছােরাদেরই এখন প্রভাব পড়াইয়াছিল কিছু বেশী, সুতরাং ছােট ছেলেদের পক্ষে ফ্ল্যাশম্যান এক জন প্রবল শক্র। আর ইহা অচিরে স্পষ্টই প্রতীয়মান হইল। ফ্ল্যাশম্যান এমন কুৎসার কথা বলিতে বা এমন কাজ করিতে বাকি রাখে নাই যাহার দ্বারা নিগৃহীতে কোন না কোন রকমে মনঃপীড়া পায়, অথবা বাড়ীর অন্য সকল হইতে তাহাদিগকে বিচ্ছিন্ন করিয়া দেওয়া যাইতে পারে। একে একে অন্য সব বিদ্রোহীরা তাহাদের পক্ষ ত্যাগ করিয়া যাইতে লাগিল, পরন্তু ফ্ল্যাশম্যানের অভিসন্ধিরই দিন দিন বৃদ্ধি দেখা গেল, এবং পঞ্চম ফৰ্ম্মার অপর কয়েকজন ছাত্র তাহাদিগকে বিষনয়নে দেখিতে লাগিল, এবং হাতে পাইলেই লাঞ্ছনা করিতে লাগিল। কিন্তু উহারা দিনের বেলায় সর্বক্ষণ তফাৎ তফাৎ থাকিয়া, অন্ততঃ বাড়ী এবং চক হইতে দূরে থাকিয়া, এবং রাত্রে সাবধানে ঘরের দরজায় খিল বন্ধ করিয়া, একমকমে বিশেষ কষ্টভােগ না করিয়া আত্ম সমর্থন করিতে লাগিল, তবে ইহার অধিক কিছুই করিতে পারিল । এই সময়ে তাহারা ডিগসের দিকে অত্যন্ত আকৃষ্ট হইয়াছিল, আর সেও তাহার সেই উদ্ভট ধরণে তাহাদের উপর অনেকটা লক্ষ্য রাখিতে লাগিল। এমন দুএকবার ঘটিল যে ফ্ল্যাশম্যান' যখন তাহাদের পড়ার ঘরে বলিয়া আছে এমন সময়ে ডিগস হঠাৎ সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইল, এবং ফ্ল্যাশম্যানও তাহাকে দেখিবামাত্র পাইতারা দিল। ছেলে দুটা মনে মনে ভাবিল যে ডিগস তাহাদের উপর নজর মতেছে।