পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪ ৭ । টম ব্রাউনেয় স্কুলজীবন। এবং শােক মাত্রেই বিবাদ বিসম্বাদ বা আপদ বিপদে যাহাকে গিয়া খনিতে পারে, এবং যিনি কাহারও ভয় বা খাতির না করিয়া হক কথাট বলিয়া দিবেন! অবশেষে এমন দাড়াইল যে স্ত্রীলােকেরা তাহার স্ত্রীর নিকট পরম বন্ধুর মত আপদ বিপদে পরামর্শ লইতে আসিত, এবং বালক। বালিকারা তাহার স্ত্রী যে মাটির উপর দিয়া হাঁটিয়া যাইতেন তাহা । উপাসনা করিত বলিলেই হয়। তাহাদের তিনটি সন্তান হইয়াছিল, দুটি মেয়ে, একটি ছেলে, ক্ষুদ্র র্জ, সে দুই বােনের মধ্যবর্তী। সে ছেলেবেলা থেকেই অতি ক্ষীণ বী। তাঁহারা ভাবিয়াছিলেন হার ক্ষয় রােগের ধাত, সে জন্য ভাহাকে ঘরে রাখিয়া তাহার পিতা তাকে নিজে শিক্ষা দিয়াছিলেন । তাহাকে তিনি নিজের সহচর স্বরূপ করিয়া লইয়াছিলেন, সেই অঙ্গ সে তাঁহার নিকট হইতে সুন্দর ভাষাজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়াছিল, এবং এমন অনেক বিষয়ে জ্ঞান ও অনুরাগ লাভ করিয়াছিল, যে সব বিষয়ের সহিত আরও অনেক কয়সর গত না হইলে ছেলেদের পরিচয় হয় না। সে তের বছরে পা দিতে, যাই তাহার পিতা ঠিক করিয়াছেন যে তাহার শরীর এতটা সবল হইয়াছে যে এখন তাহাকে স্কুলে দেওয়া যায়, এবং মনে মনে অনেক তর্ক বিতর্কের পর স্কুলে দিবেনই বলিয়া কৃতসঙ্কল্প ইয়াছেন, অমনি সহরে এক প্রকার মারাত্মক সন্নিপাত-জ্বরের প্রাদুর্ভাব হইল। অধিকাংশ পাদ্রি এবং সব কয়জন ডাক্তারই পৃষ্ঠভঙ্গ দিলেন, সুতরাং যাহারা কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করিয়া গেলেন না তাহাদের উপরই কাষের ভার দশগুণ হইয়া চাপিল। আর্থার এবং তাঁহার স্ত্রী উভয়েই গয়ে আক্রান্ত হইলেন, ফলে তিনি ঋয়েক দিনের মধ্যেই মৃত্যুমুখে পতিত ইলেন। কিন্তু তাহার স্ত্রী শেষ পর্যন্ত তাহার » করিয়া, এবং তাঁর মমি বাক্যগুলি হৃদয়ের মধ্যে সঞ্চিত ফরিয়া আরাম হইয়া | - ২ } T । এ