পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F 1 ৪০০ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন! আধ ঘণ্টার পাঁচমিনিটের মধ্যেই ফাইভস্ কোটে যাইতে সমর্থ হইল! | সে চলিয়া গেলে টম ও ইষ্ট যখন মুখামুখি বসিয়া রহিল, তখন মিনিট খানেক এ উহার দিকে তাকাইয়া রহিল, টম হতভম্বের মত, ইষ্ট রগড়ে যেন ফাটিয়া পড়িতেছে, এবং পরক্ষণেই সে হাে হাে করিয়া হাসিয়া উঠিল। পরে আত্মসম্বরণ করিয়া বলিল “তা টম এ ব্যবস্থায় ত কোন আপত্তি দেখছি না। এ ত বেশ ব্যবস্থা, প্রায় সেই আগেকার মতনই, লাভের মধ্যে এই যে এতে নিজেদের সম্বন্ধে মনে একটা সাধুভাব বেশ পােষণ করা যায়, অথচ প্রতিবেশীদের সম্বন্ধে কটাক্ষ করারও সুবিধা হয়।” টম তাহার ঘাড়ের চুলের মধ্যে হাত সাধাইয়া দিয়া বলিল “ঠিক বুঝতে পারছি না, তােমরা দুজনে আমাকে যেন হুড়িয়ে নিয়ে গেলে, আমার মনে হয় আমরা একটা বাক্যও ব্যাখ্যা করতে রীতিমত চেষ্টা করিনি। আচাৰ্য তােমাকে কি বলেছিলেন ঠিক সে কথা কি তোমার মনে আছে?” | “হাঁ, আমি হলফ করে বলতে পারি আমার ভাগের একটা বাক্যও আমি বুঝতে পারি নি। আর কোন দিন পারব ও না।” তারপর ধীর গম্ভীরভাবে ইষ্ট বলিল “আমার মনে ত হয় না যে এ ষষমাহের মধ্যে আমি এমন একটা গ্রীক কি লাটিন বাক্য পেয়েছি যা আমার প্রাকৃত বুদ্ধিতে ব্যাখ্যা করতে পারি। যদ্বারা প্রমান হয় যে তরজমাহির ব্যবহার বিধাতার অভিপ্রেত। টম অভিনিবিষ্ট ভাবে বলিল “আসল কথা এই যে একটা বাক্য নিয়ে কতক্ষণ রগড়া রগড়ি করবার পর তবে আমরা তয়জমাবহি দেখতে পারি সেইটা অবধারণ করা। আমার মনে হয় যে যে সব শব্দ আমরা ।