পাতা:টল্‌ষ্টয়ের গল্প - দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
‌টল্‌স্টয়ের গল্প
২৪

তুলেছে । যাক্‌ ভেড়ার চামড়ার আর দরকার নেই । কিসের আবার ভাবনা-চিস্তে ? কিসের তোয়াক্কা রাখি? ভাবন। ভাবা, তোয়াক্কা রাখা একদম আমার স্বভাব নয় । দূর হোক ছাই; ভেড়ার চামড়া না হ'লেও আমার বেশ চল্বে এখন । কিন্তু কথা হচ্ছে এই যে, আমার স্ত্রী চটে উঠবে নিশ্চয় ; আর সত্যিই এট! ভয়ানক লজ্জার কথা যে, সমস্ত দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও কাজের সময় কিছুই পাওয়া যাবে না। আচ্ছা বাপু, রোস একটু । আমার টাকা যদি ন৷ দাও, তোমার চামড়া আমি খসাব, দেখে নেবে, তোমায় কেউ রাখতে পারবে ন7া। এ কি রকমব্যাভার! তিন আনা, চার আনা করে দেনা শুধবে! ও নিয়ে আদি কি করব? ওতে কি করা যায়! যাকরা যায় তা আর কিছুই নয়, ছিটে-ফৌট]1 মদ খাওয়া, আর কি হবে? লোকটা ধল্ছে তার বড় অনটন। হ'তেও পারে, কিন্ত আমার দশাটা কি? তোমার বাড়ী আছে; গরু-বাছুর আছে, সবই আছে; আমার আছে যা নিয়ে আমি দাড়িয়ে এই । তোমার ক্ষেতে খাবার পাচ্ছ, আর আমাকে এই আক্রার বাজারে সবই কিনে খেতে হচ্ছে । এতেই কফি কেধল হয়? বাড়ীতে এসে দেখি সব কুটি সাবাড়; কাজে কাজেই আবার দেড় টাক! তখনই বের ক'রে দিয়ে রুট কিনে তবে খেতে হয়। এই ৩ আমার দশ ; তবে আর কেন বাপু, যা পাওন। দিয়ে দাও, আর বাজে ব'কো। না|”

এই ভাবে চলিতে চলিতে রাস্তার মোড়ের উপর মন্দিরটার কাছা- কাছি সে আসিয়া পড়িল। সে-দিকে চাইতেই দেখিতে পাইল মন্দিরের পেছনে কি একটা সাদ। সাদা । দিনের আলো তখন ম্লান হইয়া আলিতেছিল, তাই সে খুব নজর করিয়া দেখিয়াও জিনিষটা কি বুঝিতে পারিল না; ভাবিল, “এখানে ত কখনও সাদ পাথর