পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুরমা’র বুলি 多 $ রাজপুত্ৰ এক রাজার রাজ্য ছাড়িয়া আর এক রাজার রাজ্যে,1 —তবু রাক্ষসী পিছন ছাড়ে না। তখন নিরুপায় হইয়া রাজপুত্ৰ সামনে এক আমগাছ দেখিয়া বলিলেন,-“হে আমগাছ! যদি তুমি সত্যকালের বৃক্ষ হও, রাক্ষসীর হাত হইতে আমাকে রক্ষা করি।” আমগাছ দু’ষ্টাক হইয়া গেল, রাজপুত্ৰ তাহার মধ্যে গিয়া হাফ ছাড়িলেন । রাক্ষসী গাছকে কত অনুনয় বিনয় করিল, কত ভয় দেখাইল, গাছ কিছুই শুনিল না। তখন রাক্ষসী এক রূপসী মুক্তি ধরিয়া সেই গাছের তলায় বসিয়া কঁাদিতে লাগিল । সেই দেশের রাজা, বনে শীকার করিতে আসিয়াছেন । কান্না শুনিয়া রাজা বলিলেন,-“দেখ তো, বনের মধ্যে কে কঁাদে !” লোকজন আসিয়া দেখে, আমগাছের নীচে এক পরমা সুন্দরী মেয়ে।* মেয়েটিকে রাজা রাজপুরীতে নিয়া গেলেন। ( . ) রাঞ্জা সেই বনের মেয়েকে বিবাহ করিলেন বাণী হইয়া রাক্ষসী ভাবিল,-“সেই রাজপুত্ৰকে কেমন করিয়া খাই!” ভাবিয়া রাক্ষসী, সাত বাসি পাস্তা, চৌদ্দ বাসি তেঁতুলের অম্বল খাইয়া অসুখ বানাইয়া বসিল । তাহার পর রাক্ষসী বিছানার নীচে শোলাকাটী পাতিল । পাতিয়া সেই বিছানায় শুইয়া রঙ্গীমুখ ভঙ্গী করিয়া চােকের তারাকপালে তুলিয়া, একবার ফিরে এ-পাশ, একবার ফিরে ও-পাশ । § w" 多 ՏՏԳ

  • ছবি ১৯৬ পৃষ্ঠায়।