ঠাকুরমা’র বুলি ※ ÑK তখন ব্ৰাহ্মণের ধড়ে এল। প্ৰাণ-বীর সুস্থির মহাপণ্ডিত হইয়া বলিলেন,-“যি ক’রেছিস, করেছিস, তোর ভয় নাই, হাঁড়ির ভিতর যেন হার থাকে ; রাখা নিয়া খিড়িকী পুকুরের পাকে ; তা’তে যেন ভুলটি না হয় ।” দুই চক্ষের জল ছেড়ে জগা বঁাচে,--তখনি হার নিয়া খিড়িকী পুকুরে রাখিয়া আসিল । পরদিন,-গা-ময় তিলক ছাপা চিন্তা-বাঘের ঠাকুর জামাই, —তিন নামাবলী গায়, তিন নামাবলী গলায়, বড় বড় রুদ্রাক্ষের মালা, ফুলের ভারে টিকি ঝোলা, খুঙ্গি, পুথি, ছাতি, লাঠি, মৰুল নিয়া ব্ৰাহ্মণ রাজার সভায় গিয়া উপস্থিত । টিকি নাড়ে মন্ত্র পড়ে, ভঙ্গী ছাঙ্গী কত, এ পুথি ও পুথি খোলে পুথি শত শত ! গণিয়া গণিয়া আঙ্গুল ক্ষয়,---কত শত খড়ি পাতে, কত শত মাটি আঁকো-অনেক ক্ষণের পর, “শুন শুনি মহাশয় । পেয়ে গেছি হার – নিশ্চয় সে রহিয়াছে পুকুরে তোমার।” “খোঁজ খোজ !”-পুকুরের জল দৈ,-কিন্তু হার মিলিল কৈ ?-রাজা বলেন,- ○| “হারে হা রে, চতুরালী করেছ বচন,- না রােখ প্ৰাণের ভয়, কেমন ব্ৰাহ্মণ!” * vs ܠܢ দোহাই মহারাজ করে” বামুণ কঁদে আর কি,- $ S8
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/২৩৪
অবয়ব