পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন। দৈন্তে সহায়ত, উৎসবে আনন্দ, কলহে শান্তির প্রয়াস–এই সব ছিল সেই সময়ে সমাজের বিশেষ লক্ষণ। সাধারণ শিক্ষা ও অগৰ্বিবত সভ্যতার ভিতর দিয়া কেমন একটা প্রেম, শান্তি ও প্রসন্নতার স্নিগ্ধ হাওয়া প্রবাহিত হইত। Ignorance was then bliss. জানবিজ্ঞানের অভাবই হয়তো সে সুখের, সে শান্তির উৎস ছিল । ধৰ্ম্মে সরল বিশ্বাস ও মতি ছিল । ধৰ্ম্মের আচার ও অনুষ্ঠান নিষ্ঠার সহিত অনুস্থত ও প্রতিপালিত হইত। যেখানে ধরিত্রীর আলোক প্রথম দেখিলাম, সেই আমার প্রিয় ও গৌরবের জন্মভূমি বাশাইল একটা গণ্ডগ্রাম। ৪৫ বর্গ মাইল ব্যাপী, শস্যশ্যামল, প্রান্তর বেষ্ঠিত, ভূমিখণ্ডে প্রায় ৬৭ হাজার লোক বাস করিত। পূর্ব পশ্চিম উভয় দিকেই বিস্তৃত মাঠ গ্রীষ্মান্তে হরিৎ— ধান্যের চার গাছে পূর্ণ, বর্ষায় জলে প্লাবিত, সেই জলের উপর ধান গাছের সবুজ মাথাগুলি দক্ষিণে ও পূবে হাওয়ায় হেলিয়া জুলিয়া ক্রীড়া করিত এবং এখনও করে। পশ্চিমপ্রান্তে একটী ক্ষীণস্রোতা ক্ষুদ্র সরিৎ (‘নাঙ্গলাই নামে অভিহিত) গ্রামের সীমা নির্দেশ করিত। এখন গ্রীষ্মের সময় তাহা স্থানে স্থানে জলশূন্য হইয়া যায়। পূর্বপ্রান্তে চাপড়া নামক প্রকাণ্ড হ্রদ (বিল) ৫২ খাদ বা প্রায় এক সহস্ৰ বিঘ ভূমিরবক্ষে আসন পাতিয়া পাশ্ববৰ্ত্তী গ্রাম সমূহের ব্যবহার্ষ্য জল ও মৎস্য সরবরাহ করিত। বর্ষায় ঈষৎনীলাভ শুভ্র বারিরাশি কখনও স্থির জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী। বাশাইল গ্রাম ।