পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

こレー ডেপুটীর জীবন। বাবার কিরূপ ভগ্নী ছিলেন। কোন গুহবংশে তাহার বিবাহ হইয়াছিল। তিনি যৌবনপ্রারম্ভেই নিঃসন্তান বিধবা হইয়া বাবার সংসারে আশ্রয় গ্রহণ করেন । তিনিও আমার আর এক “মা” হইলেন। একমার অভাবে আমার ভাগ্যে তিন ম৷ জুটিল। “বড়মা”, পিসিম, ধাইমা । ইহঁাদের সম্মিলিত ষত্বে অামি ক্রমে বড় হইতে লাগিলাম। গর্ভধারিণীর কোন কথাই জানিতাম না। বড় মাকেই প্রকৃত মা বলিয়া জানিতাম । তিনি আমার জ্যেষ্ঠকেও অপত্য সদৃশ আদর যত্ন করিতেন। দুই ভাই ক্রমে বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিলাম। দাদা গ্রামের বাঙ্গল। স্কুলে অধ্যয়ন করিতেন। যথাসময়ে আমার অন্নপ্রাশন হইল ও আমি ‘গিরিশ নামে অভিহিত হইলাম। বাবা ও মা’র! আমাকে ‘গিরি’ বলিয়৷ ডাকিতেন । আমার বয়স যখন ৫৬ বৎসর হইল, তখন হাতেখড়ি’ হইল। সেসময়ে পুরোহিতের সহায়তায় হাতেখড়ি হইত। আমার তাহ হইল না । পিতৃদেব এক দিন বাল্যজীবন খড়িমাট দিয়া ক, খ, গ, লিখিয়া দিলেন । \8 ** . حص শিক্ষা আমি তাহ দেখিয়াই মাটিতে ঐরুপ অক্ষর - مصمم লিখিতে প্রয়াস পাইলাম। পরে শুনিয়াছি, প্রথম দিনই আমি নাকি তিন চারিট অক্ষর লিখিতে শিখিলাম । এইরূপে অল্প সময়েই অক্ষর বোধ হইল এবং লেখাপড়ায় একটু আগ্রহ দেখাইতে লাগিলাম। তখন গ্রাম্য ছাত্রবৃত্তি স্কুলে আমি ভৰ্ত্তি হইলাম। কিন্তু দাদা প্রথম শ্রেণী পৰ্য্যন্ত পড়িয়াই স্কুল