বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । O পরিণত হইয়াছে। এই স্থানের মৃত্তিকার সহিত প্রচুর পরিমাণে লেছের সংমিশ্রণ আছে। পাৰ্ব্বত্য প্রদেশস্থ ভূখণ্ডের স্তায় এই স্থানের নদীগুলির আয়তনও ক্ষুদ্র। স্বতরাং অধিকাংশ ভূমিই অমুৰ্ব্বর। ফলে এতদঞ্চল গভীর অরণ্যানি-সঙ্কুল হইয়া নানাবিধ শ্বাপদ জন্তুর ক্রীড়া-নিকেতনে পরিণত হইয়াছে। পূৰ্ব্বঢাকার অধিকাংশ স্থানই জলপ্লাবনে নিমগ্ন হুইয়৷ যায়। এই ভূভাগের উত্তরাংশের, প্রধানতঃ, মেঘনাদ নদের নিকটবৰ্ত্তী স্থান সমূহের মৃত্তিক অতিশয় রক্তবর্ণ। পশ্চিমঢাকা হইতে এই স্থানের ভূমি অধিকতর উৰ্ব্বর ; সুতরাং অধিকাংশ স্থানেই কৃষিকাৰ্য্য হইয়া থাকে। দক্ষিণ ঢাকার স্থান সমূহই এই জেলার মধ্যে উর্বরতম। বর্ষার প্লাবনে পলিমাট পড়িয়া মৃত্তিকার উৎপাদিকা শক্তি বৃদ্ধি করিয়া থাকে। উত্তর ভূভাগস্থ পললময় মৃত্তিকাতে বালুক এবং অভ্রের সংমিশ্রণ জন্ত ব্ৰহ্মপুত্র ও মেঘনাদের চরামাটি পদ্মার চরামাটি অপেক্ষা লঘুতর ও শুষ্ক। বানার ও বংশী নদীর জলে চূণ মিশ্রিত আছে ; কিন্তু চুণের অংশ পদ্মার সলিলরাশি মধ্যেই অধিকতর পরিলক্ষিত ইয়া থাকে। উত্তর ভূভাগের মৃত্তিকায় লৌহের অংশ বেশী। কিন্তু দক্ষিণঢাকার স্মৃত্তিকামধ্যে চুণের পরিমাণ অধিক মাত্রায় বিদ্যমান থাকায় ব্রহ্মপুত্রের সলিল অপেক্ষ পদ্মার সলিল ঘোলা। দক্ষিণভূভাগস্থ কোন কোন স্থানের মৃত্তিকাতে উদ্ভিজ্জ পদার্থের সংমিশ্রণ থাকাতে উহা ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ ও কঠিন। এরূপ কৃষ্ণবর্ণ যে, উহা চুণীকৃত করিয়া মসীর উপাদান স্বরূপ গৃহীত হইতে পারে বলিয়া লিখিতে টেইলার সাহেব দ্বিধা বোধ করেন নাই। - প্রায় পঞ্চসহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে সমুদয় ৰঙ্গদেশ সমুদ্র গর্ভে নিহিত ছিল বলিয়া ভূতত্ত্ববিদ্‌ পণ্ডিতগণ অনুমান করিয়া থাকেন। গঙ্গার ‘ৰ’দ্বীপে অস্থাপি যে প্রণালীতে চয় উদ্ভূত হইতেছে, পূৰ্ব্বেও সেই প্রকারেই এই