পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা oཅན་ ༣ ཨ༥ আধ্যাত্মিক উপাসনা। | স্তাহার উপাসনা এ কথাটিও যেন অন্তঃকরণ জাগ্রত থাকে ; তাছা হইলেই আমরা দেব্রাহ্ম ভ্রাতারা এক্ষণে অতি সংকট স্থানে খিতে পাইব যে, কুসংস্কার উন্মুলমই জামাউপস্থিত হইয়াছেন –ঙাহাদের প্রথম উ দের একমাত্র কর্তব্য কাৰ্য নহে,~ভান ৰায়৷ দামে র্তাহার দেশের নানাবিধ কুসংস্কারের সহিত সংগ্রাম করিয়া অনেকাংশে জয়লাভ করিয়াছেন,—কুসংস্কারের দলবল এখন নিবীৰ্য্য হইয়া পড়িয়াছে,—কিন্তু ব্রাহ্ম ভ্রাতারা র্তাহাদের পুরাতন অভ্যাস বশতঃ সেই হতাবশিষ্ট কুসংস্কার গুলির উপর পুনঃ পুনঃ অস্ত্রাঘাত করিতে করিতেই জীবনের অধিকাংশ কাল বৃথায় ক্ষেপণ করিতেছেন, ও দুর্লভ মানব জীবনের মুখ্য কর্ষ্যের প্রতি আয়ত্ব করিতেছেন। কাল্পনিক দেব-দেবীর পূজা করিব ন—সতা ঈশ্বরের উপাসনা করিব—এই উদ্দেশেই প্রথমে আসরা কুসংস্কার সমুহের বিপক্ষে অস্ত্র ধারণ করি,-- এখন ভয় হইতেছে পাছে আমাদের মুখ্য সংকল্প ষে, সত্য ঈশ্বরের উপাসনা, তাছ আমাদের যন হইতে উম্মলিত হইয়া যায়, ও আমাদের গৌণ সংকল্প যে কুসংস্কার উন্মলন তাছাই আমাদের একমাত্র ব্রত হয়, ব্রাহ্ম ভ্রাতার এখন এমনি এক সংকট স্থানে উপস্থিত হইয়াছেন যে, কুসংস্কার উন্মলন করিতে করিতে র্তাহাদের মন হইতে ঈশ্বরোপাসনা উন্মলিত হইয় যাওয়া কিছুই আশ্চর্য্যের বিষয় নহে । ভক্ত পৌত্তলিকদিগের ভক্তিকে আমরা কুসংস্কার বলিয়। উড়াইয়া দিতে পারি না— কাষ্ঠ লোষ্ট্র কে দেবতা-গুড়ানই র্তাহাদের কুসংস্কার ; এক জন প্রকৃত ভক্ত পৌত্তলিকের নিকট ব্রাহ্মের। যদি ভক্তি শিক্ষা করেন তবে তাহতে উৰ্তাহাদের লাভ ভিন্ন অলাভ হয় না । ঈশ্বরের উপাসনাই ব্রান্ধের মুখ্য ব্ৰত এইটি যেন মনে থাকে, আর ঈশ্বরের প্রতি প্রীতি ও র্তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধনই কুসংস্কার উন্মলন করা আমাদের যেমন কর্তব্য, প্রীতি-ভক্তি দ্বারা হৃদয়কে আর্দ্র করা আমাদের তেমনি কর্তব্য, ও সৎকর্মের অমুষ্ঠান দ্বারা আত্মাকে উজ্জ্বল করা-ও অামাদের তেমনি কৰ্ত্তব্য ;-কুসংস্কার-উন্মুলম ঈশ্বরোপাসনার তিন ভাগের এক ভাগ মাত্ৰ, তাহারই প্রতি যদি আমাদের সমস্ত ষত্ব নিয়োজিত হয়, তাহা হইলে ঈশ্বরোপাসনার অধিকাংশ বাদ দিয়া অল্প ংশেরই অমুশীলন করা হয় ; ও ক্রমে সেই অল্প-অংশ টুকু সমগ্র ঈশ্বরোপাসনার স্থান অধিকার করিয়া বিষয় অনিষ্ট্রের মুল হইয়া দাঁড়ায় । এইরূপ বিকৃতাবস্থা কাল-ক্রমে পরিপক হইয়া উঠিলে--ঈশ্বরোপাসনার পরিবর্তে আস্বরিক সভ্যতার উপাসনা ব্রাহ্মের হৃদয়সিংহাসন অধিকার করে । পৌত্তলিকেরা পরিমিত দেব দেবীর উপাসক, আসুরিকের। কালের উপাসক এবং কলের উপাসক ; এই বিচিত্র ব্রহ্মাও উহাদের নিকট একটা প্রকাণ্ড বাষ্পীয় শকট ও মনুষ্য একটি ক্ষুদ্র বাপযন্ত্র ; তাছাদের নিকট সকলই যন্ত্র, কোথাও নাই ;–পৌত্তলিকদিগের যেমন ই2-কবচ, আক্ষরিকদিগের সেইরূপ ঘটিকা ধন্ত্র,–কলে দান, কলে ধ্যান, কলে চল, কলে বল, ইহাই তাহাদের নিকট মনুষ্যের মনুষ্যত্ব; কলের পুখুল হওয়াই উহাদের চরম পুরুষাৰ্থ। ঈশ্বরের উপাসনা তো দূরের কথা মনুষ্যের আত্মা আছে ইহাই তাছাদের মনে ধরে না।. এরূপ অস্থিরিকত হইতে রক্ষা পাইবার একমাত্র উপায় এই ষে, জানের অমুশীলনের সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ের এবং আস্মার উৎকর্ষ সাধনের প্রতি যত্ন করা ।