পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खाचेिभ ४v** তেন না, র্যাহাদের চক্ষে এই জগৎ মায়াকল্পিত ক্ষণিক, র্যাহারা নিজের অস্তিত্বে সন্দিহান, সৰ্ব্বসন্ন্যাস যাহাদের সর্বশ্রেষ্ঠ আশ্রয, আত্মার সহিত পরমাত্মার যোগ নিবদ্ধ করিয়া আত্মবিস্মৃত হওয়া যাহাদের লক্ষ্য, ভোগমুখ যশমান খ্যাতি যাহাদের বিষবং পরিতাজা,সরলতাই যাহাদের আত্মার উপাদান, ক্রোধকে জয় করা যাহাদের সিদ্ধি, এবং বাসনাত্যাগই যাহাদের শান্তি, শাসন ও ধৰ্ম্ম সেই সমস্ত রোহ্মণের হস্তে যুগপৎ কখনই থাকিতে পারে না। পরশুরামের নায় অনেকে যুদ্ধ করিয়া এবং বিশ্বামিত্রের ন্যায় অনেকে কৌশল করিয়া ক্ষত্ৰিয়দিগের হস্ত চইতে রাজ্য লইয়াছিলেন কিন্তু পরিশেয়ে তাহার তা স্থা রক্ষা করিতে পারেন নাই । তাপমাদিগের ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম বিপর্যাপ্ত হইবার উপক্রম দেখিয়া পুনরায় ক্ষত্রিয়ের কার্য ক্ষত্ৰিয়দিগকেই প্রতাপণ করেন। বল- | পূর্বক রাজ্যগ্রহণের প্রমাণস্থল পরশুরাম এবং কৌশল পূৰ্ব্বক রাজ্যগ্রহণের প্রমাণস্থল । বিশ্বামিত্র। এক্ষণে ইহা একটু স্পষ্টার্থে | প্রতিপাদন করা আবশ্যক। যাই হরিশ্চন্দ্র । শিষ্টাচার প্রদর্শনার্থ কছিলেন আমার রাজ্য । সম্পদ সমস্তই আপনার এই স্থযোগটুকু ৷ পাইব মাত্র বিশ্বামিত্র অমনি কহিলেন তোমার । রাজ্যসম্পদ যদি আমারই হইল তবে আমার | অধিকারে বাস করা আর তোমার উচিত হয় না | এস্থলে হরিশ্চন্দ্রের নিকট এইরূপ স্বযোগে রাজ্যগ্রহণ বিশ্বামিত্রের কৌশল ভিন্ন আর কিছুই নহে। বাহুবল ও কৌশলে গ্রহণ দুইই লোতের কার্য বটে কিন্তু বাহুবল পুরুষকারমাধ্য, স্বতরাং ঘৃণার পদার্থ নহে; কিন্তু কৌশল পুৰ্ব্বক গ্রহণে অন্যের षूनङ्गि ख्रक्ङ्ि হইয় থাকে। এই হরিশ্চন্দ্রের উপাখ্যানে তাহাই দেখা যায়। পুরাণকৰ্ত্ত কবিগণ পৌরাণিক উপাখ্যান ゞ*○ ছেন এবং অন্যকেও তদ্রুপ দেখাইবার প্রয়াস পাইয়াছেন। যখন হরিশ্চন্দ্র রাজচ্যুত হইয়া স্ত্রীপুত্রের সহিত নগর ত্যাগ করেন সেই সময় নগরের ধাবদীয় লোক দুঃখভরে উাহাকে আসিয়া বেষ্টন করিয়া দাড়াইল । তৎকালে বিশ্বামিত্র ক্রোধান্ধ হইয়। রাজা ও রাজ্ঞীকে শীঘ্ৰ বাহির করিয়া দিবার জন্য দণ্ডকাষ্ঠ প্রস্থার করিয়াছিলেন। যিনি অ্যর্যাম্পশ্যরূপ তিনি আজ রাজপথে, আর যিনি ধৰ্ম্মানুরোধে স্বর্ণমুষ্টি ও ধূলিমুষ্টি সমান জ্ঞান করিয়ছেন তিনি কৌশললন্ধ রাজ্য নিষ্কণ্টক করিবার তাশয়ে সেই রাজ্ঞীকে রাজার সহিত প্রহার করিয়৷ তাড়াইতেছেন ; ইছা স্মরণ করিলে প্রহর্তার উপর কাহার ন; স্ত্রণার উদ্রেক হয়। আরও, কবি যখনই হরিশ্চন্দ্রের নিকট বিশ্বামিত্রকে আনিয়াছেন তখনই ভয়ে হরিশ্চন্দ্রের হৃৎকম্প মুচ্ছ" ও জলসেচনাদি দ্বারা সংজ্ঞা সম্পাদনের বর্ণন আছে। ইহার অভিপ্রায় কি, অবশ্য ঋণ প্রতিশোধে অসমর্থ বোধ করিলে অধমৰ্ণ উত্তমণকে দেখিলে ভীত হয়, কিন্তু এস্থলে উভযর্ণ কে ? না ক্ষমাই যাহাদের শিক্ষিত বিদ্যা, ব্রহ্মজ্যোতিতে যাহারা জোতি ম্মান, যাহাদের প্রশাস্ত সৌম্যমূৰ্ত্তি দেখিলে দুরন্ত হিংস্ৰ জন্তুও হিংসা ত্যাগ কবে সেই ব্রাহ্মণ । তবে যে বিশ্বামিত্রকে দেখিবামাত্র হরিশ্চন্দ্রের এত ভয় হয় তাহ বিশ্বামিত্রেরই ব্রাহ্মণোচিত লক্ষণ ও গুণের অভাব-বোধক । কবিতাছাই দেখাইয়াছেন এবং হার উপর লোকের ঘূর্ণ উৎপাদন করিয়াছেন। পরিশেষে হরিশ্চন্দ্র যখন অর্থের জন্য আত্মবিক্রয়ে উদ্যত হন তখন এক চণ্ডাল আসিয়া বিশ্বামিত্রকে প্রার্থনাধিক অর্থ দিয়া উহাকে ক্রয় করে। ব্ৰাহ্মণ নির্লোভ ও নিম্পূহ, যে নিস্থ স্তহার | স্ত্রীপুত্র বিক্রয় ও পরিশেষে তাহকে বিক্রয় আদ্যন্ত নিৰে ইনি চক্ষে দেখিয়া- করিয়া অর্থসংগ্ৰহ । ব্রাহ্মণের কথা কি