এবং জীব-জগতের মহ चमिटेकई*७ उन्नडब প্রাণী বলিয়া নির্দেশ করিতে থাকি । সপশরীরের নিৰ্ম্মাণ-প্রণালী এবং তাহার স্বভাব প্রকৃতি, তাহার নিবাসস্থান ও তাহার ভক্ষ্য ভোজ্য-পদ্ধতি প্রভৃতির বিষয় আলোচনা করিয়া দেখিলে সপকে মনুষ্যের দুর্জয় শক্রে এবং মহা অনিষ্টকারী জীব বলিয়া কখনই স্বীকার করা যায় না । , ১ । সপ-শরীর-কঙ্কাল নিরবচ্ছিন্ন সুক্ষম অস্থি-বলয় দ্বারা পরস্পর-গ্রথিত। সেই জন্য সে তাহার শরীর সহজে সঙ্কুচিত ও প্রসারিত করিতে পারে। সে পেশীর বলপ্রভাবেই গমনাগমন করিয়া থাকে । তাহার | | SSግ কেন বৃহদাকার তীব্র বিষধর সপ হউক না, মমুষ্যের উথান অবতরণ অথবা গমনাগমন নিদর্শন কিছুমাত্র প্রাপ্ত হইলে সে নির্জন নিভূত স্থানে লুকায়িত বা প্রস্থান করিবার জন্যই চেষ্টা পায় । মনুষ্য অসাবধানত বশত তাহার শরীরে পদাপর্ণাদি করিলে বৈর-নিৰ্য্যাতনের নিমিন্ত যত না হউক, আত্ম-রক্ষার জন্যই দংশন করিয়া থাকে। ব্যাঘ্র ভল্লক মকর-কৃষ্টারাদির ন্যায় সর্গ কখনই মনুষ্যকে নিহত করিবার জন্য অপেক্ষা করিয়া থাকে না। অথবা তা স্থার অনুসরণ করে না । সমুসা গে; ম’হঘ প্রভূতি সৰ্পের খাদ্য বস্ত নহে । মনুষ্য প্রভূ শরীরের অধোভাগ অতিশয় মস্বণ, স্বতরাং ! তিকে ভক্ষণ পরিলে মেন পরপদ সঙ্গু স্থানে সে যেমন সহজে দ্রুতগতিতে ধাপ হইতে সমর্থ হয়, মনুষ্যের সুচিঙ্কণ গৃহ-তলে বা গৃহ-প্রাচীরে তাদৃশ বেগে গমনাগমন বা উত্থান অবতরণ করিতে শক্ত হয় ন। সর্প নিঃশব্দে প্রায়ই মনুয্যের গৃহমধ্যে বিচরণ করিতে পারে না । তাহার শরীরের ঘর্ষণ ও গর্জন শব্দে এবং কোন কেন সপের গাত্র-গন্ধেও মনুষ্য সৰ্প আগমনের নিদর্শন প্রতীতি করিয়া অনায়াসে সাবধান ও সতর্ক হইতে পারে। সর্প কোমরূপে আক্রমণ করিতে উদ্যত হইলে, একটু গুরুতর আঘাত দ্বারা তাহার শরীরের মধ্যভাগের দুই একটি অস্থি-বলয় ভগ্ন করিয়া দিলে অমনি তাহার গতি-রোধ হইয় যায়। শিরোদেশে অত্যন্ত্র আঘাত করিলেই তৎক্ষণাৎ সে মৃত্যু-মুখে নিপতিত হয়। সুতরাং গোমহিষ ব্যাখ্র-সিংহ যুগ-ভল্লুকাদি অপেক্ষ সপকে কোনরূপেই অজেয় শত্রু বলিয় নির্দেশ কর! যায় মা too ; : ...”. . . . . ২। সর্পজাতি অতিশয় ভীরু। অতাল্প তথ্যপ্রদর্শন করিলেই তৎক্ষণাৎ প্রাণ-ভয়ে জতবেগে পলায়ন করিয়া থাকে। যতই حمر হিংস্ৰক জন্তুর ক্ষুধানিবৃষ্টি হয়, জীবকে দংশন করিলে তােহর সেরূপ ক্ষুৎপিপাসা শান্তি হয় ল; ; তলে যে সে দংশন করে, সে কেবল ভর বিপত্তি হইতে নিস্কৃতি পাইবারই জন্য । ৩ । গ্রীষ্ম-প্রধান প্রদেশ, খ বাদ| নিম্নতল শস্য-ক্ষেত্র, অপরিস্কার চ্ছন্ন দুৰ্গন্ধময় অস্থাস্থ্যকর নির্জন এবং কদৰ্য্য স্থান প্রভূতিই স্বাভাবিক আবাস-ভূমি । নগর গ্রাম প্রভৃতি লোকালয় তাহার নিরাপদ নিকেতন বা প্রিয়আবাসস্থান নহে । পৃথিবীতে বহুজাতীয় সপ বর্তমান আছে, কিন্তু তন্মধ্যে বিষধর সৰ্পজাতির সংখ্যা অতি অল্প । অনেকানেক সুপ্রসিদ্ধ প্রাণিতত্ত্ববিৎ পণ্ডিত অবধারণ করিয়াছেন যে ফণাবিশিষ্ট্র ভূজঙ্গগুলিই বিষধর কিন্তু ভারতবর্ষে বোড়া কানোড় প্রভৃতি কয়ে { سے ۳ مے ہے سے r r 〈エ কটা ফণাবিহীন বিষধর সপ দৃষ্ট হইয়া থাকে। তাহারদিগের দংশনে যমুষ্যের আশু মৃত্যু না হউক কিন্তু তাহ যৎপরোনাস্তি পীড়াদায়ক ও কষ্ট্রকর । শীতকালে বা হিম প্রধান দেশে অথবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে বিখধর সপ
