পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

estffy »vse বেদান্ত-দর্শন । SRసె এক ঘোর রজনী। সে অবস্থাতেও পরমাত্মা অবধি স্থলাবস্থা পর্যন্ত সৰ্ব্বাবস্থাকে নিয়জীবের অন্তর্যামিরূপে অধিষ্ঠিত । জীবের মিত করেন বলিয়া তিনি সৰ্ব্বেশ্বর শব্দের কারণাবস্থারূপ খন নিবিড় উপাধি যে প্রকার এই স্বযুপ্তি অবস্থা তাহারই প্রতিকৃতি । এই চেতনাচেতন জগৎও সূক্ষ্যও স্থলাবস্থার আদিতে ঐরুপ নিশ্চেষ্ট্র, গভীর ও অবিভক্ত অবস্থায় থাকে । তখন নামরূপ ও ভেদজাত থাকে না । তখন সকলই একীভূত । এক ঘোরা মহা রজনী । সে রজনীতে সৰ্ব্ব জীবের ও সৰ্ব্বজগতের অন্তর্মামিরূপে যে ব্ৰহ্মাধিষ্ঠাতৃত্ব বিদ্যমান থাকিয়া সমগ্র কারণাবস্থাকে রক্ষা করেন, সেই অধিষ্ঠানটি আত্মার ‘প্রাজ্ঞ বা সৰ্ব্বজ্ঞ’ নামক তৃতীয় পাদ। এই অধিষ্ঠান কি কারণাবস্থায় জীবাত্মা ? এই অধিষ্ঠান কি অপ্রকটিত কাৰণীভূত জড় জগৎ? প্রাগুক্ত ব্যাখ্যায় প্রতিপন্ন করিতেছে যে আত্মার সে অধিষ্ঠান জীবাত্মাও নহে এবং জগতের উপাদান কারণস্বরূপ কোন দ্রব্য ধাতুও নহে । “এষ সৰ্ব্বেশ্বর এক সৰ্ব্বঙ্গ এরোস্তুর্যামোয ধোনিঃ । সৰ্ব্বস্য প্রভবাপারে। হি ভূতানাং” ম’ণ্ডুক্ষো ও । ইনিই 'সৰ্ব্বেশ্বর সমস্ত ভেদজাতের ঈশ্বর, ইনিই 'সৰ্ব্বজ্ঞ’ সৰ্ব্বভেদাবস্থার জ্ঞাতা, ইনিই ‘অন্তর্যামী সৰ্ব্বভূতের অস্তরে থাকিয় তাহাদিগকে নিয়মিত করেন, ইর্মিই যোনি ইনি সমস্ত ভেদজাতের জন্মস্থান । এবং সৰ্ব্ব ভূতের প্রভব ও অপায়ের কারণ। এতাবত পরমাত্মা কোন অবস্থায় স্বয়ং *জগতও হন নাই, জীবও হন নাই । তিনি কারণাবস্থাতেও জীবাত্মার আস্তর্ষামী মাত্র । তিনি সৰ্ব্বকাল ও সৰ্ব্বাবস্থাতেই জীবাত্মার অন্তরাত্মা । সুতরাং তিনি সচেতন আত্মা এবং জীবাত্মার প্রাণবিধায় তিনিই প্রত্যক্ষ আত্মী। জীৰাঞ্জার স্বযুপ্তি এবং প্রলয়কালীন কারণীবস্থাতে তিনি সাক্ষীরূপে উপস্থিত থাকেন বলিয়া তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ এবং সেই অবস্থা i | i বাচ্য। এ পর্যন্ত আত্মার যে তিন পাদ উক্ত হইল, তাহার মধ্যে কোন পাদই যে স্বয়ং জীবাত্মা বা জগৎ নহে তাহা বুঝা গেল । এক্ষণে আত্মার চতুর্থ পাদটি কিপ্রকার তাছ বল। যাইতেছে । - মাগু কোপনিষদের ‘নান্তঃপ্রজ্ঞং প্রভৃতি শ্ৰুতিতে কহিয়াছেন যে সেই পাদটী প্রপঙ্কোপশমং জাগ্রত, স্বপ্ন, হুবুপ্তি বা স্থল সূক্ষ কারণ কোন অবস্থায় লিপ্ত নহে । তাহা প্রকৃতির অতীত এবং মায়া-রাজ্যের উদ্ধে প্রতিষ্ঠিত। প্রলয়াবস্থা, অঙ্করপস্থা, ও ব্যক্তাবস্থা ইহার কিছু না থাকিলেও এ পদ বিদ্যমান থাকে। ঐ পাদ অবিদ্যা সুংস্পর্শ শূন্য অনাদি অনন্ত জাগ্রত স্বভাব পরমচৈতন্য স্বরূপ । তাছ। ‘অগ্রাহ্য’ বুদ্ধির অগম্য, “অলক্ষণ কোন লক্ষণ দ্বারা নিরূপণের থাকিলেও ঐ অযোগ্য, “অবাপদেশ্য কোনরূপ নির্দেশের বিষয় নহে, ‘অচিস্তাং চিন্তু, ধান, প্রভৃতি মানস ব্যাপারের বিষয় নহে । তাস্থ একাত্মওjতায়সারং একমাত্র অতুি &#ত্যয়ের গম; } ‘সেই পাদটি একমাত্র আত্মারুপে আছেন, সকলেরই আস্ত প্রমাণ করিতেছে । সেই পদ ‘অদ্বৈ দ্বৈতস্বরূপ সৃষ্টির সর্বাসস্থার ੱਚ তাছা ‘অদ্বিতীয়' অর্থাৎ একমাত্র । ‘ম তাহাই আত্মা | পরমাত্মার জগদম্ভর্যামিত্র কেবল পরিবর্তনশীল উপাধিতে বিদ্যমান, কিন্তু সেই অনিত্য উপাধি সমস্ত হুইতে স্বতন্ত্র করিয়া দেখিলে তঁtছার যে শুদ্ধ ভাল পাওয়া যায় তাহাই “অ’মা’ শব্দের বচ্য। ‘সবিজ্ঞেয়ঃ তিনিই মোক্ষাধিকারে জানিব যোগ্য । সংবিশতি সাক্ষ্মন। স্বেনৈব স্বং পরমামিঞ্চং ষ এবং বেদ’ ।