পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉やめりア মোদ কোলাহল হইতেছে ; সকলই হাস্যপূর্ণ আননে কাল যাপন করিতেছেন কিন্তু হঠাৎ এমনি একটি বিপদ ঘটিতে পারে যে চক্ষু স্থির হইয় যায়। পৃথিবীর এই প্রকৃতি ভাবিতে গেলে হৃদয়ের শোণিত শুষ্ক হইতে থাকে। যদি মৰ্ত্তা লোকে এইরূপ প্রকৃতির চিন্তা আমাদিগের অন্তঃকরণে নিরস্তর বিরাজিত থাকিত তাছা হইলে আমরা পৃথিবীর কার্ষ্য করিতে পারিতাম না কিন্তু মানব মনের একটি স্থিতিকোন রবর-নিৰ্ম্মিত পদার্থ টনি: যদি তাহা ছাড়িয়া দেওয়া ধায় তাহা হইলে তাহ সেই পূর্বের অবস্থা প্রাপ্ত হয় । মনুষ্য বিপদে পড়িলে তৎপরে তাহ হইতে উদ্ধার হইলে তাহার আর কিছু মনে কে মা । করুণাময় পরমেশ্বর মানব মনকে এই স্থিতিস্থাপকত; গুণ ৫ দান করিয়া স্ট্রান্সার আশচ:i্য মহিম। &ক{ণ যদি মনের এই গুণ ম; থাকিত তাহা হইলে মনুষ্য একেবারে ভগ্নচিত্ত হইয়া মারা পড়িত । অন্যান্য বিষয়ে যেমন তামরা মনের স্তিতিস্থাপক গুণ প্রকাশ করি সেইরূপ আধাটুিকু ধিময়ে ঐ গুণ প্রকাশ করা কর্তব্য ।

মাদিগের শস্ত্রে লিখিত সাধন সময়ে রাক্ষস, পিশাচ প্রভৃতি উপদেবতার যোগীর সম্মুখে উপস্থিত হইয়। তাহীকে ভয় প্রদর্শন করে এবং যোগের ব্যাঘাত প্রদান করে। এই সকল স্তৃত প্রেত মধ্যে তাধ্যাত্মিক নৈরাশা সৰ্ব্বাপেক্ষ &{{মূ । এই নৈরাশা তামীদিগের ডায়াকে পরিলে ধৰ্ম্মসাধন বিষয়ে আমরা কোন কার্স করিতে সক্ষম হই না। কর্ণধার যেমন প্রবল ঝটিকার সময়ে নৈরাশ্যে অভিভূত হইয়া হল ছাড়িয়া দেয় সেইরূপ আত্মা পাপ দমলে নিরাশ হইয়া হাল ছাড়িয় দেয়। যে ব্যক্তি এইরূপ হল ছাড়িয়া দিয়া বলে তাহার কেন অাশা নাই । আত্মাকে এরূপ

স্থাপক তথ্য গুণ অাছে।

  • > * : ہے. f C - مـ করিয়াছেন ।

আছে যে যোগ f*出なり。 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | | | অহরহ পরীক্ষা করিতেছেন কিন্তু আমরা বলি । ** श्, * चf।। নৈরাশ্যে অভিভূত হইতে দেওয়া কর্তব্য নহে । মাতা যেমন সস্তানকে হস্ত ধারণ করিয়া হাটিতে শিখান সেইরূপ পরমেশ্বর আমাদিগের হস্ত ধারণ করিয়া আধ্যাত্মিক মঙ্গলের পথে হাটিতে শিখাইতেছেন। যাত। যেমন প্রত্যাশা করেন না যে শিশু একেবারে হটিতে শিখিবে, ঈশ্বরও সেই রূপ ৫.ত্যাশা করেন না যে আমরা একেবারে ধাৰ্ম্মিক হইব । শিশু হাটিতে শিখিবার সময় যেমন সহস্রবার পড়ে এবং সহস্রবার উঠে সেইরূপ মনুষ্য ধৰ্ম্মপথে হাটিবার সময় সহস্ৰ বার পড়ে এবং সহস্রবার উঠে। আমরা একেবারে পূর্ণতা লাভ করিবার প্রত্যাশা করিতে পারি না । করুণাময়ী পরম মাতা জানেন যে আমরা ধূলিকণা দ্বার নির্শিত ক্ষীণ জীব। তিনি অবশ্য আমাদিগকে দয়া করিবেন । খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে যে এই পৃথিবী পরীক্ষার স্থান । ঈশ্বর আমাদিগকে পৃথিবী শিক্ষার স্থান । ছাত্র যেমন এক শ্রেণী হইতে উপরের শ্রেণীতে উত্থিত হয় তেমনি আত্মা এক অবস্থা হইতে উচ্চতর "রস্থ প্রাপ্ত হয় । ছাত্র যেমন একেবারে কোন বিদ্যায় ব্যুৎপত্তি লাভ করিতে পারে না, অনেকবার ভুল করে, সেইরূপ ধৰ্ম্ম বিষয়ে আমাদিগের সর্বদ ক্রটি হইয় থাকে। পূথিবী ধর্মের বর্ণমালা মাত্র শিখিবার স্থান । এখানে ছাত্রের অধিক ভূল হইবার সম্ভাবনা । পরম গুরু ঈশ্বর যদি সেই সকল ক্রটি ধরিতেন তাছা হইলে কি আর রক্ষা ছিল ? অতএব ধৰ্ম্মবিষয়ে আমাদিগের পুনঃ পুনঃ ক্রটি হুইলেও নিরাশ হওয়া কৰ্ত্তব্য নহে। ঈশ্বরে “লগ লাগায়কে রহে।” সৰ্ব্বদা সংলগ্ন থাক অবশ্য তিনি এক সময়ে তোমাকে করুণ। করিবেন। । w a