পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৩ =ബം حكمت # তৰবোধিনী পত্রিকা }} কয়, *ঞ্জী হইয়া নিয়ত তাহাকে ভৎসনা করিত । কিন্তু ইহাতেও ঐ পতিপ্রাণা ভর্তৃপদে প্রণত ছিল। সে তাহাকে দেবতা বোধ করিত। এবং ঐ কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত বীভৎসদর্শন পুরুষকে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বোধ করিত। একদা কৌশিক কহিল, ব্রাহ্মণি ! আমি প্রাতে রাজপথ দিয়া আসিবার কালে যে বেশ্য:কে দেখিয়াছিলাম তুমি আমাকে তাহার গুহে লইয়া চল । তাহার সেই রূপরাশি আমার হৃদয়ে জাগরক, আমি প্রাতে তাহাকে দেখিয়াছিলাম, এখন রাত্রি কাল, কিন্তু তাছার দর্শনাবধি আমি তাহাকে বিস্মৃত হইতে পারি নাই। যদি সেই সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরীকে ন পাই তবে জানি ও আমি s Fig নিশ্চয় দেহত্যাগ করিব। সে অনেকেরই প্রার্থনীয়, এবং আমি ও চলৎশক্তিরহিত, স্বতর তাহাকে লাভ করা আমার সঙ্কট বোধ চয়তেছে । ন ঐ পতিপরায়ণ পত্নী কটিতট এবং বেশ্যার জন্য 2 টুসু পতিকে স্কন্ধে আরোপণ পূৰ্ব্বক মৃদুমদ গমনে যাইতে লাগিল। একে ররি, তাহাতে আকাশ ঘনঘটায় আচ্ছন্ন, মধ্যে মধ্যে বিদ্যুং হইতেছে ; বিপ্ৰপত্নী পতির সৃষ্টি সাধনের জন্য ঐ ক্ষণস্থায়ী বিড়া ۲ مه -. جموعه = 1 متحه و ۔ ؟n + ۔۔ তেপ আলোকে পথ দেখিয় ঘাইতে লাগিল । । , ইতিপূৰ্ব্বে রাজপুরুষের মছর্ষি মাণ্ডবাকে তস্কর বোধ করির শূলে আস্তুেপণ করিয়া ছিল । মাণ্ডব্য পথপ্রান্তে যন্ত্রণায় অতিমাত্র । কাতর হইয়া অবস্থান করিতেছিলেন। কৌশিক পত্নীর স্বন্ধে সমারূঢ় ; ঘোর অন্ধকারে কিছুই দেখা যায় না, ইত্যবসরে সহস৷ | r= a * _. যে পাপিষ্ঠ নরাধম পদাঘাতে আমায় চালিত করিয়া অধিকতর যন্ত্রণ দিল সে নিশ্চয় সূর্যোদয় হইবামাত্র বিনষ্ট হইবে। । পতিপরায়ণ ব্রাহ্মণী এই নিদারুণ অভিশাপ শুনিয়া অতিমাত্র ব্যথিত হইয়া কহিল, যদি আমি হৃদয়ের সহিত পতিসেবা করিয়া থাকি তবে তাহার প্রভাবে কদাচ সুর্যোদয় হইবে না। তখন সূর্য্যোদয়ের অভাবে রাত্রি ক্রমশঃ বিস্তীর্ণ হইয়া উঠিল। সমস্ত জগৎ স্বাধ্যায় শ্রাদ্ধ হোমাদি শুনা ও সঙ্কটাপন্ন, দিবারাত্রির আর ব্যবস্থা নাই, মাস তিরোহিত হইল, সূর্যের দক্ষিণ ও উত্তরে অয়নজান তার কাছারই ০ রছিল না, অয়ন-বিজ্ঞান ব্যতীত কাল ও বৎসর জ্ঞান অসম্ভব হইয়া উঠিল। তদৃঃে দেবতার ভীত হইয়া কছিতে লাগিলেন পুতিব্ৰতার বাকে সূর্যোদয় হইতেছে না, সূর্যোদয় বিনা স্নান দানাদি কার্য অগ্নিপরিচর্ম্য ও যজ্ঞ রহিত হইয়াছে। আমরা যথোচিত যজ্ঞভাগে পরিতৃপ্ত হইয়া মনুষ্যদিগকে শস্যসম্পদ সিদ্ধির জন্য বৃষ্টি দ্বার অনুগুহাঁত করিয়া থাকি | মনুষেরা শস্যসম্পদ লাভ করিয়া যাগযজ্ঞ দ্বারা আমাদিগের অর্চনা করে । আমরা নিম্নে বর্ষণ করি আর মনুষ্যেরা উৰ্দ্ধেবর্ষণ"করিয়া থাকে। অামরা জলবর্ষী আর উহার হবিবর্ষী। যাহার নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করে না এবং আমাদিগকে যজ্ঞভাগ না দিয়া আপনাদিগের উদরপূৰ্ত্তি করিয়া থাকে আমরা সেই সমস্ত লুব্ধস্বভাব অপকারী পাপাচার দুরাত্মার বিনাশার্থ জল সূৰ্য্য অগ্নি বায়ু ও পৃথিবীকে দূষিত করিয়া থাকি। বায়ু জলাদি গতিবশাৎ কৌশিকের পদ মাগুব্যের গাত্রে লাগিল। তপন মাণ্ডব্য ঐ পদাবমর্ষে অতিশয় রোষাবিষ্ট হই; কহিলেন, দেখ আমি একে শূলয়ন্ত্রণায় অস্থির আছি, তাহার উপর দুষ্ট হইলে সেই সকল দুষ্কৰ্ম্মীর মৃত্যুর জন্য নানারূপ দারুণ উপসর্গ উপস্থিত ছয় । কিন্তু যাহারা আমাদিগকে পরিতৃপ্ত করিয়া যজ্ঞশেষ ভোজন করেন আমরা সেই সকল