পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবশ্যই মনুষ্য দেবভাব প্রাপ্ত হইতে পারে, নিশ্চয়ই সেই দেবদেবকে হৃদয়ে সাক্ষাৎ দর্শন করিতে পারে। কিন্তু এই সাধন কি সহজেই হইবে ? মুখে সাধন সাধন বলিলেই তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | | i কি ধৰ্ম্ম সাধন হইতে পারে ? কখনই না। : সাপনের নিমিত প্রাণ গত যত্ন চাই, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ চাই, এই এক সাধনের অভাবে আমাদের কি দুৰ্গতি হইতেছে, তাহা কি আমরা দেখিব না ? সাধনের মানুধ্য শান্তিহীন হইয়| কি শ্ৰীষ্টীমই ন হইয়াছে । আপনার উপর কর্তৃত্ব স্থাপনের জন্যই আমাদের সাধন। আপনার উপর যার কর্তৃত্ব নাই, তার মত দুঃখী পৃথিবীতে আর কে ? এই ত পৃথিবী-মনুষ্য মন্ত্ৰয্যের প্রতি পিশাচলং ব্যবহার করিতেছে— আত্মঘাতী হইতেছে—এবং পরের প্রাণ পর্যান্ত নয় করিতেছে। এখানে একটি রিপুর কথাই উল্লেখ করা হইল। লোকে বিশেষ বিশেষ রিপু হইতে বিশেষ বিশেষ যন্ত্রণ পাইয়া থাকে । এবং কেবলষ্ট যে যন্ত্রণা পাইয়া থাকে তাহা নহে—কোথা মনুষ্য হইয়া সাধন দ্বারা ক্রমে ক্রমে দেবভাবে সমুন্নত হইবে, না এক আত্মদমনের অভাবে অভাবে । পশু হইতে হীনতর অবস্থায় অবনত হয় । কাম ক্রোধ প্রভৃতি রিপুর . অধীন যে জীবন, সে কি জীবন না মৃত্যু ? তাহ। মৃত্যু হইতেও অধিক। কারণ ইহারা স্থত মনু s. - ! হে কাষ্ঠীর সুধ-লোভাস দেখিতে পারে ন-নির্মাতনের প্রত্নন্তি কোন প্রবল । - a) کنست. - - ) سی-ه چ ۴ ؛ جی۔ جع۔ هی পরের ধনা প্ৰাণ যশ জল করতে কুটিল কুমন্ত্রণ পরায়ণ ব্যক্তির কেমন নিপুণ ! আলর রোগ শোক দৈব দুৰ্ব্বিপাক চারিদিক ঠই? আমাদিগকে আক্রমণ করিতেছে । তার মধ্যে যদি আপনি ঠিক থাকিতে ন! পারি-আপনার উপর কর্তৃত্ব স্থাপন কলিতে ন। পারি, তবে আর নিস্তার কোথায় ! মুনে ; কর এক জন সম্মুখে আসিয়া—-এ মূস্থ অপ্রীতিকর কথা তোমাকে বলিল - তীব্র ভাবে ভৎসনা করিল—অপমান করিল, আর তুমি তাঙ্গ শ্রবণ মাত্রেই জ্বলিয়৷ উfঠলে, আত্ম-দমনের শক্তি নাই—“অত্যা চারীর প্রতি অত্যাচার করিও না, সৰ্ব্বদ | আপনি সাধু থাকিবে" এ উপদেশ পালন করিবার অভ্যাস নাই—মুতরাং প্রতিহিংস ও বিবাদে প্ররক্ত হইয়া কেবল অনল হইতে অনলাস্তরে পতিত হইয় দগ্ধ হইলে । এই যাতনা কি ইচ্ছা পূর্বক চিরদিন সহ্য করিতে যাকে দগ্ধ না করিয়া জীবিত মনুষ্যকে দগ্ধ করে। আত্মদমনের অভাবে যাহার। মুহু মুঠু দগ্ধ হয়, তাহারা শান্তির রাজ্য হইতে বহু দূরে ভ্রমণ করে। শাস্ত স্বরূপের মাবিভাল সেখানে কখনই সম্ভাবতে পারে ন} । যেমন নিৰ্ম্মল ও নিস্তরঙ্গ জলে সূর্যের মুক্তি প্রতিবিম্বিত হয়, তেমনি নিৰ্ম্মল শাস্ত হৃদয়ে পবিত্ৰ মনে—সেই প্রেম-রবির মুখ-জ্যোতি প্রতিফলিত হয় । অতএব আগ্রে আত্মদমন কর-আপনাকে শান্ত কর। যে কোন রিপু যখন প্রবল হইবে তখনই তাহাকে দমন করিতে চেষ্টা করা উচিত । সেই সময়টি বড় কঠিন সময় । সেই সময়ে মনে একটি বিশেয আবেগ আসিয়া উপস্থিত হয়। অত্যন্ত দৃঢ়তা সহকারে তাহার গতিরোধ করিতে হইলে,খুব জোর করিয়া ধৈর্য্য ধরিতে হইবে । ক্রমে ধৈর্য্য ধারণ অভ্যস্ত হইলে— আমরা এক নবতর স্বৰ্গীয় ভাব প্রাপ্ত হইব— खउाख शाखि ७.ाश्व इश्छ। जबरनद्र क्लाव বুঝিতে পারিব। আযাদের প্রথম উদ্যম যদি বিফল হয়,নিরাশ হইবার কোন কারণ নাই। কারণ দেখা যায় যে কঠিন প্রস্তরোপরি বিন্দু বিন্দু করিয়া জল পড়িয়াও—সময়ে হইবে ? এই ক্রোধে আন্ধ হুইয় কত লোক | তাহাকে ক্ষয় করিয়াছে, খুব জোরে পড়ি