পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

twis wees; পরলোক তত্ত্ব । ৩৫ ইন্দ্রজাল বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন তাহার এই স্থল সূক্ষ মহিমা সৰ্ব্বশাস্ত্র একএই ভাবের ভাবুক হইয়া শাস্ত্র অনেক স্থলে । তানে গান করিয়া থাকেন। “ভৌতিক প্রস্থান” ত্যাগ পূৰ্ব্বক “অহঙ্ক যখন প্রলয়দ্বারা জগৎসংসার সূক্ষমাৎসুক্ষ রিক প্রস্থানের” পক্ষপাতী হইয়াছেন। - অব্যাকৃত মূল প্রকৃতিতে বিলীন হয় তখন জাহঙ্কারিক প্রস্থানের তাৎপৰ্য্য এই যে, জৈবিক প্রকৃতি ও বাহ্য প্রকৃতি উভয়েই কিছুই প্রকৃত ভৌতিক বা দ্রব্য ধাতু বিশিষ্ট স্ব স্ব আপেক্ষিক স্থল সূক্ষ আকৃতি বিসর্জন নহে। প্রকৃতি জীবের বাসনাস্থানে থাকিয় পূর্বক তাহাতে লয় পাইয়া থাকে জৈবিক ভোগায়তনরূপ স্থল সুক্ষ দেহ এবং ভোগ প্রকৃতি নিরুদ্ধ বৃতিতে এবং বাছা প্রকৃতি জন্য এই মায়াময় জগৎ রচনা করিতেছে । অব্যক্তভাবে তাছাতে লীন হয় । ভেদজাত সে সমস্ত অহঙ্কারবশতঃ অর্থাৎ দ্বৈতজ্ঞানী- সকল বিনষ্ট হইয়া ঐ উভয় ধৰ্ম্মবিশিষ্ট্র। জুক “অহং” WS “हेन्द' ভাব সমুদ্ভূত একমাত্র প্রকৃতি ভাবি স্বষ্টির বিশেষ বিশেষ বসনাধিকারে সত্যের ন্যায় দেখা যাস্ট- বীজের সহিত অব্যক্তভাবে অবস্থিতি করেন । তেছে । জ্ঞানোদয়ে ইন্দ্রজালবং তিবে স্থিত পুনৰ্ব্বার স্বষ্টিকালে জীব সকল যেমন হইবেক । স্ব স্ব অদৃষ্ট অর্থাৎ জৈবিক প্রকৃতির সহিত ৬ । এতদূরে স্থল সূক্ষ কারণ রীর প্রকটিত হন, সেইরূপ বাহ্য প্রকৃতিও দ্রব্যবুঝিবার স্ববিধ হইবে বিবেচনায় নম্নে রূপে একটিত হইয়। ভোগ্যবস্তু স্বরূপে পরিতাহার বিবরণ দেওয়া যাইতেছে। ণত হয়েন । তাহীতে ইন্দ্রিয়াদি সম্পন্ন পূৰ্ব্বে বলা গিয়াছে যে, জীবেতে যে দেহ ও তম্ভোগ্য অনাদি জন্মে। প্রকৃতি জনিত বাসনা থাকে তাহাও প্রকৃ- ৭ ॥ এস্থলে প্রকৃতিই অদৃষ্টরূপে তির রূপ। সেই বাসন স্বসিদ্ধি জনা | স্বষ্টির উত্তেজিক এবং প্রকৃতিই ভোগ্যবস্তুজীব কর্ণদ্বারা যে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মরূপ চরিত্র উপা- রূপে স্বষ্টির উত্তর সাধিক। প্রলয়দ্বারা অর্জন করেন তাহাও প্রকৃতির রূপান্তর। জগৎসংসার অদৃশ্য হইলে সেই প্রকৃতরূপ সেই রূপান্তরিত প্রকৃতিই অদৃষ্ট । সেই ! বীজের ধ্বংস হয় না। স্বতরাং প্রকৃতিই অদৃষ্ট জৈবিক প্রকৃতি নামে এবং স্থূলতর সর্বভূতের কারণ শরীর। কেন না, সৰ্ব্ব দ্রব্য ধাতু বিশিষ্ট্র প্রকৃতি বাহ্য প্রকৃতি নামে । ছুতের কারণত তাহাতেই অবস্থিতি করে । কথিত হয় । যতদিন বাসনামূলক জৈবিক প্রকৃতি "মল্পাৎ প্রণোমনঃ সত্যং লোকা: কৰ্ম্মসুচামৃতঃ” থাকিবেক ততদিন প্রকৃতি শরীরও ভোগ (১ম মণ্ডুকে ৮) । ংঘটন করিবেই করিবে । কোটি কোটি অব্যাকৃত অন্নস্বরূপিণী প্রকৃতিই “প্রাণ” মহাপ্রলয় হইলেও ঐ কারণশরীর ধ্বংস অর্থাৎ হিরণ্যগৰ্ত্ত; মনঃ অর্থাৎ জৈবিক প্রকৃতি, হইবে না। “সত্য” অর্থাৎ পঞ্চভূত, “লোকাঃ” অর্থাৎ অতএব এ কথা বলা যাইতে পারে যে পঞ্চভূত বিরচিত ভূরাদিলোকু মণ্ডল, “কৰ্ম্ম” আমাদের কারণশরীর আমাদেরই অন্তরে অর্থাৎ সেই সকল লোক লণ্ডলের অধিবাসী- অাছে। প্রকৃতি সেইখানে সমস্ত ভাবিগণের বর্ণাশ্রম-ধৰ্ম্ম এবং “অমৃত” অর্থাৎ দেহের বীজ স্বরূপে অবস্থিতি করিতেছেন : সেই সমস্ত কর্শের ফল প্রভৃতিরূপে যথাক্রম যেমন স্বল্পবস্থায় স্থূল শরীরের ব্যবহার কারণত অবলম্বন পূর্বক পরিণত হয়েন। নিবৃত্তি পায়, কেবল মন, વૃદ્ઘિ, હાન ૭