পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * *v۰و: tstyیو. প্রকৃতিরূপ ঐশ্বধ্য সম্ভোগ দ্বারা জীব বেশ প্রকৃতিতে বিরচিত হইয় যান। স্থূল সূক্ষদেহ প্রকৃতিরই আবির্ভাব কখন তাহাকে “আমি” বলিয়া মনে করেন । সস্তান সস্তুতি, হস্তী, হিরণ্য রাজ্যধন প্রকৃতিরই মায়া কখন তাহাতে “মম” বিশেষণ প্রয়োগ করেন । কিন্তু কিছুই আমি বা আমার নহে। বহু জন্মের পরীক্ষার পর ব্রহ্মজ্ঞান প্রসাদে জীবের আমিত্ব ও মমত্বরূপ প্রাকৃতিক ভাগ বিগত হয়। তখন তিনি মায়াময়ীপ্রকৃতি-স্বরূপিণী কর্তৃতন্ত্রভোগসাধিনী সাধিক মাতাকে ত্যাগ পূৰ্ব্বক পরম-বস্তু-তন্ত্র সত্যস্বরূপ ব্রহ্মরূপ পিতৃঐশ্বৰ্য্য আশ্রয় করেন। তাহাতে তিনি মিথ্যার অধিকার হইতে মুক্ত হইয়া সত্যস্বরূপ ব্ৰহ্ম-ধাতু দ্বারা বিরচিত হয়েন এবং অামিত্ব ও মমত্বাদি সেই ব্রহ্মেতে অপর্ণ করিয়৷ অমৃত লাভ করেন। আর জন্ম বা শরীর পরিগ্রহ হয় না, কারণের সহিত মনঃপ্রধান সুক্ষম দেহ নিবৃত্ত হয়। মৃত্যুকালে তেজঃপথাদি দ্বারা তাহার উৰ্দ্ধগতি হয় না । মুক্তির জন্য র্তাহাকে স্বর্গ ও ব্রহ্মলোকাদিতে যাইতে হয় না। তিনি এইখানেই অর্থাৎ স্বীয় হৃদয়ধামেই পূর্ণানন্দস্বরূপ ব্ৰহ্মভাব লাভ করেন। ‘ন তস্য প্রোণাঃ উৎক্রামণস্তি অত্র ব্রহ্ম সমথুতে।” “তস্মাৎ স্তত্ববিদোবাগাদি নাং পরমাত্মনি লয়ঃ !” শাঃ অধিঃ ৪।২।১৬ ৷ ক্রমশঃ । বেদাস্তদশন । প্রথম অধ্যায় । প্রথম পাদ। পঞ্চাধিকরণ। ** সংখ্যক পত্রিকায় ২৩২ পৃষ্ঠার পর । । আপত্তি খণ্ডন পূৰ্ব্বক সিদ্ধাস্ত করিয়াছেন

i , সম্ভব হইতেছে। (○ যে, প্রক্ষ জজ্ঞাসা পরমায়ারূপ প্রসিদ্ধ-বস্তুপরতন্ত্র। ক্রিয়াপরতন্ত্র নহে। ব্রহ্ম এই জগতের জন্ম-স্থিতি-ভঙ্গের কারণ, সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বশক্তিমান ও সকলের মুখ্য আত্মা । তাছ হইতে নিশ্বসিত-ন্যায়ে বেদোৎপন্ন হইয়াছে এবং বেদ হইতে তাহার স্বরূপজ্ঞান লাভ হয় । সেই ব্ৰহ্ম ও মোক্ষকে সমস্ত বেদ ক্রিয়ার আবিষয় রূপে প্রতিপাদন করে । এই সমস্ত সিদ্ধাস্তের প্রতি সাংখ্যমতাবলম্বীদিগের যে সকল আপত্তি আছে এই বৰ্ত্তমান অধিকরণে আহারই খণ্ডনে প্রবৃত্ত হইতেছেন । সাংখ্যাচার্ষ্যগণের পূর্বপক্ষ এই— ছান্দোগ্যোপনিষদের ষষ্ঠ প্রপাঠকে আছে-- ‘মদেব সৌম্য ইদমগ্ৰ অণপাত এক মেবাদ্বিতীয়ং, uBB BBBJ KBBBB BBBBBB BB BBS হে শিষ্য ! গ্রে ইহ! (এই জগৎ ) সৎ মাত্র ছিল । তিনি একমাত্র অদ্বিতীয় । তিনি সঙ্কল্প করিলেন আমি প্রজা রূপে বন্থ হইব । পরে তিনি তেজের সৃষ্টি করিলেন অর্থাৎ ক্রম পূৰ্ব্বক এই জগৎ সৃষ্টি করিলেন । এই শ্রুতি অনুসারে জগৎ সৃষ্টির নিমিত্তে ব্ৰহ্ম অপেক্ষিত নহেন । কেমন— ‘ভচ্ছৰাবাচ্যং সৰ্ব্বজগৎকা" প্রধানং নতু ব্ৰহ্ম : প্রধানসা সত্ত্বগুণযুক্ততয় পরিণমিতয়াচ জ্ঞানশক্তিক্রিয়াশক্তিসস্তবাৎ ; নিগুৰ্ণস্য কুটস্থস্য ব্রহ্মণস্তনসম্ভবtৎ’ ( শ}: ভ{ঠ ) এই শ্রুতিতে যে সৎশব্দ আছে তাহার বাচ্য ব্রহ্ম নহেন কিন্তু সৰ্ব্বজগৎকরণ - রূপিণী প্রধান ( প্রকৃতি ) ৷ প্রধানের সত্ত্ব - গুণও আছে, বহুরূপে পরিণত হওয়ার শক্তিও আছে। সত্ত্বগুণ থাকাতে তাম্বাদ জ্ঞান-শক্তি সম্ভব হইতেছে, আর পরিণাম লাভের ক্ষমতা থাকায় তাহার ক্রিয়ী-শক্তিও দেহেন্দুিয়াদি-রহিত, নিৰ্ব্বিশেষ, নিগুণ, অবিকারী, কুটস্থ চৈতন,