পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ রার নিমিত্ত যত্নবান হইয়া পরিভ্রমণ করে } এ কেবল বর্তমান সময়েরই সাধু সজ্জনদিগের কার্য নয়, সেই আদিম কালে যখন মনুষ্য পুথিবীতে প্রথম পদার্পণ করে, সেই সময়েই এই দেব-প্রকৃতি লইয়। সে এখানে আগমন করিয়াছে। সমুদায় ভূমণ্ডলের অপেক্ষ ভারতের ধৰ্ম্মতত্ত্বই অতীব পুরাতন, সমগ্র পৃথিবীর ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় ইতিহাস অপেক্ষ ভারতের ধৰ্ম্ম-ইতিবৃত্তই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীনতম । সেই পুরাকালে,ত্বপূর্ণ বসুন্ধরার অপরাপর স্থান ঘোর অন্ধকারে পরিপূর্ণ ছিল, যখন ভারতেও অক্ষর প্রভৃতি লিখন-উপাদানের স্বষ্টি হয় নাই তখনও জ্ঞান-বৃদ্ধ তপঃ-সিদ্ধ ঋষিগণ দিগের সাধনে সরল ও উদার ভাবে ব্যক্ত করিতেন । শিষ্যগণ তাহ বংশপরম্পর ক্রমে স্মরণ করিয়া রাখিতেন । লোকে সেই সকল জ্বলন্ত সত্য শুনিয়া শুনিয়াই শিক্ষা করিত, সেই জন্যই, সেই ঋযিবাক্য, সেই সকল উ জ্বল ধৰ্ম্মতত্ত্ব অদ্যাপি শ্রুতিবাক্য বলিয়া অভিহিত হইতেছে। তাহার কত কাল পরে অক্ষরের স্বষ্টি হইয়াছে, তাহার কতলি পরে তাহ বৃক্ষপত্র প্রভৃতিতে লিপিবদ্ধ হইয়াছে । সাধুগণের এরূপ সর লত উদারতা না থাকিলে কি আজকাল ব্রহ্মবিদ্যা ব্রহ্ম-জ্ঞান নিজবি বঙ্গবাসীদিগের সদরে এরূপ প্রাণ সঞ্চার করিতে পারিত ? ন! রোগ শোক জর মৃত্যু নিবন্ধন নিরানন্দ ময় বঙ্গ ভূমিতে ঈদৃশ স্বগীয় আনন্দ উৎসবের মুঠনি তু ইয়। আত্মার অাশা উদ্যম বৰ্দ্ধিত ক্ত ইত ? স ভূরিতের জ্বলন্ত ব্ৰহ্মজ্ঞ ন-জ্যোতি নদ ন ন সিন্ধু, গিরি কানন উল্লঙ্ঘন করিয়৷ পৃধিপা: দেশ-প্রদেশ-নিবাসী জনগণের মনের অন্ধকার বিনষ্ট করিয়া সকলকে কল্যাণপথে গমন করতে সাহসী, করিয়া তুলিত ? সাধু লম্বাশয় ব্যক্তিগণের আত্মার সরলত তত্ত্বৰোধিনী পঞ্জিক । রসনাকে নিয়োগ কর। 》。經騰、 を夢* উদারতা হইতেই স্কুলগুলের জ্ঞান-ধর্শের এল্প অসন্তারিত উন্নতি । এই য়ে আজ আম্বর} এখানে সকলে ব্রহ্মানন্দপান করিয় পরিতৃপ্ত হইতেছি, এখানকার কোন না কোন ভগরস্তত্ত সদাশয় ব্যক্তির সরলতা উদারতাই তাহার অব্যৰ্থ কারণ । তিনি বা তাহারা আপন আপনি ব্রহ্মানন্দ উপভোগ করত পরিতৃপ্ত না হইয়া সকলের সহিত তাই বণ্টন পূর্বক সম্ভোগ করবেন এই উদ্দেশেই এই অবারিত উৎসব-দ্বার সকলের জন্য উৎঘাটিত করিয়াছেন । কুসুমগুচ্ছ সকল, যেমন সুগন্ধ বিস্তার করিয়া মধুমক্ষিকাগণকে অহবান করে, তেমনি এখানকার সাধক উপসক-বৃন্দের সরলত। উদারতাই এই সকল ভগবৎ-প্ৰেম পিপাস্থ জনগণকে এখানে একত্রিত করিয়াছে । ধন্য ধন্য ঈশ্বরের কৌশল । ধন। তাহার জ্ঞান ধৰ্ম্ম বিস্তারের পদ্ধতি । তিনি কি অভাবনীয় কৌশলে আমারদিগের আত্মাকে পোষণ করিতেছেন । এই উৎসব ক্ষেত্রে তাহার স্নেহ করুণ, প্রীতি প্রেম উজ্জ্বলতর রূপে প্রতীতি করিয়া তাহারই যশোগানে তাহার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ চির অনুরক্ত থাকিয়া তাঙ্কারই সত্য প্রচার কর । তাহারই লক্ষ্য সাধন কর । হে পরমাত্মন! যে উদারমতি সদাশয় ভাগ্যবান ব্যক্তির স্থরম্য অালয়ে আজ অtমরা তোমার পুত্র কন্যা সকল একত্রিত হইয়া তোমার উপাসনা করিয়া পরিতৃপ্ত হইলাম, তোমার পবিত্র নাম উচ্চারণ করিয়া রসনাকে সার্থক করিলাম, তুমি তাছার মঙ্গল বিধান্ন কর । তোমার অনম্যপরায়ণ সাধকবৃন্দ সন্মিলিত হইয়। যেমন আজ এই গৃহের বাহ্যশোভা বৰ্দ্ধন করিয়াছেন, তেমনি তুমি এই গৃহপতির স্ত্রী পুত্র পরিবারগণের আত্ম-নিকেশ তনে প্রকাশিত হইয়া জন্তুর-মালয়ের চির