পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጙሻማ mé আরোহণ না করিয়া সংসারের পঙ্কিল পাপহ্রদে পতিত হইয়া থাকে ? তাহার উত্তর এই যে অস্থি মাংস,শিরা-শোণিতাদি দৈহিক উপকরণ থাকিলেই যেমন মনুষ্য-সাধারণ স্বতই মহাবলশালী হইতে পারে না, যেমন শরীরের বল-সাধন ও দৃঢ়তা-সম্পাদন জন্য প্রত্যেকেবই যত্ন চেষ্টা ব্যায়াম অঙ্গ-সঞ্চালন প্রয়োজন, তেমনি দেবদত্ত মূল-সত্য সকল মানব আত্মাতে থাকিলেই যে মনুষ্য-মাত্রেই ধৰ্ম্মরত ও ব্রহ্মগত-প্রাণ হইতে পারে, তাহা নহে ; মল্লের অঙ্গ-সঞ্চালনের ন্যায় তাহার সেই আত্মার বৃত্তি-প্রবৃত্তির —তাহার সেই আত্ম-নিহিত মূল-জ্ঞান-রত্বেপ ঔজ্জ্বল্যও ঔৎকর্ম সাধনের জন্য ধ্যান-ধারণা, সাধন-উপাসনার একান্ত প্রয়োজন । তাহার পরমার্থ জ্ঞান উপার্জন ও পবিবৰ্দ্ধন নিমিত্ত দর্শন শ্রবণ মনন নিদিধ্য সনেব নিতান্ত আবশ্যক। মনুষ্য সাধারণের বলবীৰ্য্য-সাধনের দৈন্তিক উপাদান থাকিলেও যেমন ব্যাযাম-অভাবে শত সহস্ৰ লোকের মধ্যে অতি অল্পসংখ্যক মনুষ্যস্তেই বীর্যাবস্ত দেখ! মায়, তেমনি জীীয়া সাধাবণেরই সহজ-জ্ঞান ও আত্মপ্রত্যয থাকিলেও সাধন উপাসনা-বিষয়ে অস্বত্ব-ঔদাস্য-নিবন্ধনই সকল দেশে, সকল কালেই উন্নত ব্রহ্মজ্ঞ ও ব্রহ্মবাদীর সংখ্য অত্যন্ত্রই দৃষ্ট হইয়া থাকে। দৈহিক বলসাধনের পক্ষে যেমন ব্যায়াম, আধ্যাত্মিক উন্নতি-সাধনের পক্ষে তেমনি উপাসনা । সেই একবিধ অস্থি-মাংস শোণিত-পেশীর সঞ্চালনে যেমন সৰ্ব্বাঙ্গীণ বল-লাভ হয়, তেমনি আত্মার সেই একবিধ বৃত্তি-প্ররত্ত্বির ঔজ্জ্বলা ও ঔৎকর্ষ-সাধন-জনিত উপাসন-প্রভাবেই পরমার্থ সম্বন্ধীয় সাৰ্ব্বভৌমিক |

  • াপণ্ডাপপ্রতি হৃদয়-গ্রন্থি

ஒ aasta AA TAT AA eA T 轟 হইতে মুক্তিলাভের উপায় । উপাসনাই জীবন মুক্তির হেতু । উপাসনাই সেই মহান ভূম অনাগ্য -মস্ত ঈশ্বরকে করশুলনঃস্ত আমলকবৎ প্র ত্যক্ষ প্রতীতি করিরীর এক মাত্র সোপান । উপাসনা-প্রভাবেই সাধকের জ্ঞান উজ্জ্বল হয়, ভাব বিশুদ্ধ হয়, আশা-অধিকার প্রশস্ত হইয়া থাকে। উপাসনা দুনাই সাধকের আত্মাতে সত্যের উৎস, জ্ঞান প্রেমেল প্রস্রবণ, অমৃত-মঙ্গলের দ্বার প্রমুক্ত হস । জন-সমাজের সেই আদিয অন্ধতম কাল হইতে, বর্তমানের এই জ্ঞান-বিজ্ঞানসমুজ্জ্বল অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া দেখ, যে আধ্যাত্মিক ও পারলৌকিক উন্নত তত্ত্ব-সকল কেবলই চিন্তাশীল ধ্যান-পরামণ ব্ৰহ্মযোজিত-চিত্ত উপাসকগণ-দ্বারাই এই পৃথ্বীতলে প্রচারিত হইয়াছে। অপরাপর দেশের কথা দুরে থাকুক, ভারতের ভুবনপ্রসিদ্ধ সৰ্ব্বোস্থত পরমার্থ-বিদ্যা--ভারতেব জ্ঞান-বিজ্ঞান-ঘটিত দুরূহ তত্ত্ব-সকলেন, কেবলই অর্ম ঋষিদিগেব গভীর-চিস্তা, আলুপম সাধন অসদৃশ ব্রহ্ম ষোজিত-চিত্ততাই একমাত্র কারণ। যেই সাধন-অর্জিত তপস্যা-লব্ধ উজ্জল-সত্য,বিশুদ্ধ-জ্ঞান প্রভাবেই আর্য ঋষিগণ পৃথ্বী-গুরু-রূপে প্রপূজিত হইয়াছিলেন । জ্ঞান-ধৰ্ম্ম-বিষয়ক ভঁাহাবদিগের আদেশ-উপদেশ দৃষ্টাস্ত-গুণেই ভূমওলে বহুবিধ সভ্যতম জনপদের সুত্র-পাত হইয়াছে । অতএব উপাসনাই সত্য-জ্ঞান অমৃত-মঙ্গল লাভেন হেতু । উপাসনাই ইহকাল পরকাল—অনন্তকালের অবলম্বন, উপাসনাই ব্রহ্মপ্রাপ্তির অদ্বিতীয় কারণ । যত দিন সাধক সন্ধ্য-বন্দন য ধানধারণা-উপাসনায় নিযুক্ত থাকে, ততদিনই শক্তি-সামর্থ ও জ্ঞান-লাঞ্জ হইয়া থাকে তাহার জ্ঞান-প্রেম ও দেখ-ভাব মলুক্তি পাইতে উপাসনাই মাক্ষেীশ্বঞ্জিকার । উপাসনাই থাকে ; উপাসনা হইতে বিরত হইণেই