× ა% মন দেখিতেছি --ভূত কাল স্মরণ করতে হয় না, ভবিষ্যৎ কালের প্রতিও দৃষ্টির অবশ্ব্যক হয় না ; প্রত্যক্ষ যে আলোক এখানে আলোক দিতেছে, প্রত্যক্ষ যে বায়ু সঞ্চালিত হইয়া সকলের প্রাণ বিধান করিতেছে, এবং আমারদের কথা কহিবার ও শ্রবণ করিবার শক্তি দিতেছে, এ সকলই তাহার ইচ্চার উপরে নির্ভর করিতেছে । ত}হার ইচ্ছার বিরাম হুইলে এই আলোক নিৰ্ব্বণ কহয় যায় - এই বায়, ম্পদ ছীন কয়, এই নক্য স্থদ্ধ কয় । সেই জগৎ-কারণ জগৎ-পালকের ইচ্ছাতে সমুদয় জগৎ সংসার চলিতেছে। তিনি “রাজগণ-রাজা মহারাজাধিরাজ ত্রিভুবন-পালক । , "এযসেতুর্বিধরণএষাং লোকানাং অসম্ভেদায়” তিনি অখিল বিধরণ, সেতু স্বৰূপ ; সমুদয় লাক না চূর্ণ হুইয়। যায়, এই হেতু তিনি সকলকে ধারণ করিয়া রাখিয়াছেন। তিনি : কল জগতের প্রাণ-ৰূপে রহিয়াছেন, অথচ নি ইস্থার সকলেরই অতীত । বে ভূম পুরুষের সঙ্গলির এক হাঙ্গতে কোটি কোটি লোক ভ্ৰাম্যমাণ হইতেছে, ক্টাচার অঙ্গ,লির চিহ্ন কোথায় দেখা না শ্বায় । শরৎ কালের কোন রজনীতে অ|কাশে যখন পূৰ্ণকল চন্দ্রম। উদয় হইয়া এক নখ ষ্টতে মেঘাস্তরে প্রবেশ করে, এবং আবার যখন পরিস্কৃত গগনে আসিয়া স্ব করে ও আমারদের নয়নকে তৃপ্ত করে ; তখন তাহাতে কাহার অঙ্গলির আদেশ দেখিতে পাই। যাহার অঙ্গলির এক টঙ্গিতে কোটি কোটি লোক ভ্ৰাম্যমাণ হইতেছে, সেই সৰ্ব্বনিয়ন্তারই অঙ্গলির চিহ্ন দেখি । যখন সাধু ব্যক্তি সম্পত্তির স্বচ্ছন্দাবস্থা *ইতে বিপত্তির মধ্যে পতিত হন ; আবার f | | { t t | তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা যখন তিনি সম্পত্তি লাভ করেন ; সম্পত্তি হইতে বিপত্তি, বিপত্তি হইতে সম্পত্তি, এই প্রকারে সংসারের সহিত সংগ্রাম করত যখন তিনি ধৰ্ম্মতে দৃঢ়িঠ ও বলিষ্ঠ হন । তাহার জীবন-পুস্তকে কাহার অঙ্গলির চিহ্ন দেখিতে পাই--সেই অঙ্গ,লির চিহ্ন, যাঙ্গ প্রত্যেক শুভ ঘটনাতে মুদ্রিত রহিয়াছে । আত্মা যখন পাপেতে পরাভূত হয়,যথম মোহ অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়--পরে বিষাদ ও অনুতাপে দগ্ধ হইয়া ভাবার যখন আত্ম-প্রসাদ লাভ করে—সেই পাপ-সন্তাপ হইতে পার । ত্ৰাণ পাইয়া যখন নুতন বলে, স্বতন স্ফ স্থি তে, বিরাজ করিতে থাকে; তখন সে ত: হাতে কাহার হস্তের চিহ্ন দেখিতে পায় । সেই হস্তের চিহ্ন, যাহা জগতের সমুদয ঘট । নীকে নিয়মিত করিতেছে । র্যাহার ইচ্ছাতে তৃষিত ধরা বৃষ্টি লাভ করিয়৷ শীতল হই তেছে, তাহারই ইচ্ছাতে তাপিত হৃদয় তাহার প্রসন্ন বারিতে শান্তি লাভ করিতেছে ; অামারদের প্রতি কি তাহার দৃষ্টি নাই ? তিনি কি আমারদের আম গ্ল': ফেলিয় রাখিয়াছেন যে মো অfপনার উপরে যত পাপ ও মলিনত সঞ্চিত করুক, তাছাতে র্ত{চার দৃষ্টি নাই ? কে আমার দিগকে অদ্যই এখানে প্রেরণ করলেন ? অামারদের মনে আলস্য, বিষয়াসক্তি, অt. মোদ-স্পৃহ, কত প্রকার কুটিল ভাব আছে, সে সকলের প্রতিকুলেও কে আমারদিগকে র্তাহার এই উপাসনা-স্থানে, এই পবিত্র ব্রাহ্মসমাজে, অনিয়ন করিলেন ? যিনি স্বৰ্য্যকে প্রেরণ করিয়া প্রাতঃকালে কুজৰু টিক। দূর করেন,তিনিই কি আমারদিগকে এই সাধু মণ্ডলীর মধ্যে রাখিয়া মনের মালিন্য দুর করিতেছেন না? এখানে আসিয়া পবিত্র হইয়াছ, অতএব পবিত্র হৃদয়ে সকলে মিলিয়। প্রীতি-পুষ্প দ্বারা তাহাকে অ}ত্ম কে
