পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$83, ছায়াতে আমারদের চির কাল থাকিতে হইবে, তঁহীর প্রতি কি আমরা উদাসীন থাকিব ? سه . জড় জগতের সঙ্গে তার যে প্রকার সম্বন্ধ—আমারদের সঙ্গে তাহা হইতে র্তার আর এক বিশেষ সম্বন্ধ দেখিতে পাই । এই ব্রাহ্মসমাজ-চের আশ্রয় যেমন ইহার তা লোকের মাত্রয় যেমন حمه میی পরমেশ্বর তেমনি সকল আশ্রয়ের ८गभग १डन-ङ्कभि उिप्त 4शे शुक থাকিতে পারে না, বায়ু, ভিন্ন আলোক থাকিতে পারে না ; সেই ৰূপ ঈশ্বরের আশ্রয় ভিন্ন অমর কে হুই থাকিতে পারি • । “ যেমন পক্ষী-সকল তাঙ্কারদিগের লাম-স্থান বৃক্ষকে অবলম্বন করিয়া স্থিতি করে, তদ্রুপ এই সকলই পরমাত্মাকে অবলম্বন করিঃ স্থিতি করিতেছে ” সাধরণ-ৰূপে তাঙ্গর সঙ্গে সকলের રે गशशुं-- ভনি সকলের অগ্রয়-দাতা । আমারদের মঙ্গে এ অপেক্ষ ও উচ্চতর সম্বন্ধ। আমরা উার সেই প্রকার আশ্রিত, যেমন পুত্র পিতার আশ্রিত । আমরা ঠাঙ্কার সেই প্রকার আশ্রিত ; যেমন রক্তার আশ্রিত প্রজ, যেমন প্রভুর আশ্রিত ভৃত্য । আমরা তাহার চির কলের দাস, চির কালের প্রজ, চির কালের সন্তান । তিনি অামারদের পিত। পাত ও প্ৰভু স্বাধীন হইলে অন্য স্বাধীন পুরুষের সঙ্গে যে সম্বন্ধ– মামারদের সঙ্গে ঠার সঙ্গে সেই প্রকার সম্বন্ধ । তিনি অণমারদিগকে প্রীতি করিতে বাধ্য করেন না । আমারদের ধৰ্ম্ম প্রকৃতি সে প্রকার বাধ্যতার অধীন নছে । তিনি ভয় দেখাইয়। অামারদের প্রীতি আকর্ষণ করেন না ; কিন্তু প্রীতি দিয়া প্রীতি আকর্ষণ করেন । তিনি আদেশ করিতেছেন ; উন্নত হও, আত্মাকে ধৰ্ম্মেতে বলীয়ান কর— হৃদয়কে মঙ্গল-ভাবে পুর্ণ বায়ু ; অণুপ্রায় ! তত্ত্ববোধিনী পত্রিক কর এবং আমার নিকটে আসিয়া শান্তি লাভ কর। কিন্তু তাহার এই মহান আদেশ আমরা সকল সময়ে পালন করতে পারি না । আমরা দেখিতেছি, আমরা অতি দুৰ্ব্বল ; আপনার উপরেই নির্ভর করিয়া কিছুই করিতে পারি না। আপনার বুদ্ধি বলে, আপনার পুণ্য-বলে, আমরা জীবনের সেই পরম লক্ষ্য সম্পন্ন করিতে পারি না । যখন আপনাকে এই প্রকার ক্ষীণ হীন মলিন মনে হয় ; তখন স্বভাবতই অামারদের সৰ্ব্বাশ্রয় পিতাকে আহবান করি, তখন র্তণর প্রতি আমারদের আত্মার সমুদয় নির্ভর যায়, তখন আপনাকে নিতান্ত অনন্য গতি জানিয় তাঙ্গর প্রতি দৃষ্টি করি । তখনই

  • .

তাহার নিকটে আমারদের প্রার্থনা যায়, অমরদের ক্রমদন যায় । তখন দেখিতে পাই, তিনিই আমাদের অংশ।. তিনিই অমারদের ভরশী, তিনিই আমারদের নির্ভরের স্থান । তখন কাঙ্কারো উপদেশের অপেক্ষা করি না, তামরা অপেন হইতেই বলিতে থাকি “ সব মোর ল ও তুমি প্রাণ হৃদয় মন ৷ ” তখন আপনা হইতে ই তাহার হস্তে আনারদের সকলই সমপণ করি । সে ই ষে সময়ে তামারদের সমুদয় নির্ভর, * বিশ্বাস, প্রত্যয়, শ্রদ্ধা, সকলি ঈশ্বরেতে সমপিত হয়; তখনকার ভাব আমরা হৃদয়ে ধারণ করিতে পারি না--সমুদয় জগৎ সং সার সে ভাব ধারণ করতে পারে না । সোই অন্তরিক নির্ভরের ভাবের প্রকাশ ভাবই উপাসনা । যখন দেখিতে পাই ; আমি তাছার আশ্ৰিত,তিনি আমার আশ্রয়দাতা ; আমি ক্ষুদ্র, তিনি মহান – যখন অামারদের সকল অভাব মোচনের জন্য র্তার প্রতি দৃষ্টি করি—তখন অামারদের সেই গৃঢ় গভীর ভাব উপাসনাতে ব্যক্ত হয়। তখন আত্মার গভীরতম প্রদেশ হইতে এই