পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a、ペ) করে ও যাহাতে প্রবেশ করে ; তাহাকে বিশেষ ৰূপে জানিতে ইচ্ছা কর, তিনি ব্রহ্ম । যাহা হইতে এই সমুদায় বস্তু হন্ট হইয়াছে, এবং র্যাহাকে আশ্রয় কfরয় তাহার। সকলে স্থিতি করিতেছে, এবং র্যাহার ইচ্ছা হইলে তাহারদিগের এক কণামাত্রও থাকিতে পারে না ; তিনিই ব্রহ্ম, তিনিই সত্য, তিনিই আমারদিগের প্রভু। সেই সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বর সত্য-কাম ও সত্য-সংকল্প ; তিনি যাহ। ইচ্ছা করেন, তাহাই হয়। যে পূর্ণ পুরুষের শক্তি হইতে এই সকল বস্তু উৎপন্ন হইয়। স্বীয় স্বীয় শক্তি লাভ করিয়াছে, যদি তিনি তাহারদিগকে সংহার করি সকল পূৰ্ব্বতন তখন আমরাও বার ইচ্ছা করেন, তবে স্বীয় স্বীয় শক্তি । সহিত সেই गघूर्मग्न বস্তু তঁহার শক্তিতে | লয় হইয় তাহতেই পুনৰ্ব্বার গমন করি । বেক, তাহারদিগের চিহ্নমাত্রও কুত্ৰাপি । দৃষ্ট হইবেক না। স্বষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-কৰ্ত্ত। কেবল একমাত্র পরমেশ্বর । আমরা কতকগুলি বস্তু প্রাপ্ত হইলে তাহারদিগের গুণ অবগত হইয়া এবং তাহারদিগকে উপযুক্ত মত সংযোগ করিয়া কোন এক অপূৰ্ব্ব যন্ত্র নিৰ্ম্মাণ করিতে পারি বটে, এবং তাহাকে পুনৰ্ব্বার অনায়াসে ভয় করিতেও পারি ; কিন্তু আমারদিগের এমত শক্তি নাই, যে আমরা এক রেণু বালুকাকে স্বষ্টি করিতে পারি অথবা এক রেণু বালুককে ধংশ করিতে পারি। স্বষ্টি স্থিতি প্রলয়ের শক্তি কেবল একমাত্র অদ্বিতীয় পরমেশ্বরেতেই জুমাছে । ৩ জানন্দ-স্বৰূপ পরব্রহ্ম হইতে । এই ভূত-সকল উৎপন্ন হয়, উৎ" | | | পন্ন হইয়। আনন্দ-স্বৰূপ ব্রহ্ম কহুঁক জীবিত রহে, এবং প্রলয় কালে আনন্দ-স্বৰূপ ব্রহ্মের প্রতি গমন করে ও তাহাতে প্রবেশ করে। এই স্বষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-কৰ্ত্ত নির্বিশেষ পরমেশ্বরের কোন বিশেষ নাম নাই । যে ব্রহ্মবাদির। আপনার অস্তরে সেই নিরতিশয় মহান সৰ্ব্বব্যাপী সৰ্ব্বগত পুরুষকে সাক্ষাৎ অনুভব করিয়া তজনিত বিমলানন্দ উপভোগ করিয়াচ্ছেন, তাহারা তাহাকে অনন্দ স্বৰূপ বলিয়া ব্যক্ত করিয়াছেন । আমরাও যখন সেই প্রেমময়ের প্রেমে মগ্ন হইয় তা নন্দ রসে দ্রব হই, উগ্ৰহণকে অনন-স্বৰীপ বলিতে থাকি । 8 মনের সহিত বাক্য যাহাকে ন। পাইয়। যাহা হইতে নিবৃত্ত হয় ; সেই পর ব্রহ্মের আনন্দ যিনি জানিয়াছেন, তিনি আর কাহ হইতেও ভয় প্রাপ্ত হন ন৷ ৷ সেই অনন্ত জ্ঞান-স্বৰূপ পরমেশ্বর পরিমিত বস্তু নহেন, তিনি জড়ও নহেন এবং মনও নহেন, অতএব মন র্তাহাকে গ্রহণ করিতে পারে না ; মন যদি তাহাকে গ্রহণ করিতে না পারিলেক, তবে বাক্যও সুতরাং র্তাহাকে বলিতে পারে না । মন তাহাকে মনন করিতে গিয়। নিবৃত্ত হয় এবং বাক্য র্তাহীকে বর্ণনা করিতে গিয়া নিরস্ত হয় । সেই অনন্ত পুরুষকে কেবল মনের মন, বtক্যের বাক্য ৰূপে, সকলের চেতনাবান কারণ ও আশ্রয় ৰূপে, নির্দেশ করা যাইতে