পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও সন্তোষ শিক্ষা দেও, যেন আমি দুঃখ দারিদ্রে বিষাদ-গ্ৰস্ত না হই। এই বিপদের মধ্যে যেন তোমার গঢ় মঙ্গল অভিপ্রায় শিক্ষা করি । তোমার মঙ্গল দৃষ্টি আমার উপর নিরস্তুর রহিয়াছে, ইহা যেন কখন ভুলিয়া না যাই । সংসারে যখন আমার আর কেহই থাকে না,তখন তোমার বাস্থ আমার জন্য প্রসারিত দেখি । হে অনাথ-নাথ ! তুমি আমাকে এই প্রকার দৃঢ়তা দেও, যেন সংসারের সকল যন্ত্রণ অক্ষুব্ধ হৃদয়ে সহ্য করিতে পারি। আমার যেমন অবস্থা হউক না কেন,তোমাকে যেন হৃদয়ে সৰ্ব্বদ ধারণ করিয়। রাখি । দীন হীনের তুমি পরম ধন। হে হৃদয়েশ্বর ! তুমি আমাকে অসন্ত শোক, মোহ ও হৃদয়ভার হইতে উদ্ধার কর । তোমার অমৃত জোগতি প্রেরণ করিয়; আমার সকল বিষন্নত। ভস্মীভূত কর । তোমার প্রীতিতে হৃদয় মনকে উন্নত রাখ। হে নাথ ! তুমি আমার সকলি –একান্ত বিশ্বস্ত হৃদয়ে তোমার হস্তে আমার সমুদয় জীবন সমর্পণ করিতেছি, আমাকে তোমার আশ্রয় প্রদান কর। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । محتوسعK) وابسته ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ব্যাখ্যান । কলিকাত ব্রাহ্ম-সমাজ । ২৮ ভাদ্র বুধবার ১৭৮২ শক । ইহৈব সন্তোহথ বিদ্মস্তদ্বয়ং ন চেদবেদিত্মহতী বিনষ্টিঃ । যএতদ্বিদূরস্তাস্তে ভবন্তি অথেতরে দুঃখমেবাপিয়ন্তি ৷ এখানে থাকিয়াই আমরা তাহাকে জানিয়াছি ; যদি আমরা তাহাকে না | প্রতীক্ষা করিতে হয় না । হইতেই আনন্দ অামারদিগকে আলিঙ্গন | করিতেছে । জানিতাম, তবে মহা বিনাশ প্রাপ্ত হইতাম । তাহা হইলে আমারদের দশ৷ কি হইত ? সংসার কি অন্ধকার হইত ! আমরা এখানে নানা দুঃখ ক্লেশে আবৃত হইয়। কোথাও আর বিশ্রামের স্থান পাইতাম না । এখানকার অন্তরের ও বার্টিরের শক্রদিগের বাণে ক্ষত বিক্ষত হইয়ণ কোথাও আর শান্তি পাইতাম না । তাছ। হইলে সংসারানলে আমারদের সর্বাঙ্গ অনবরতই দগ্ধ হইত, তাহার প্রতীকারের কোন উপায় থাকত না ! এই প্রকার হইলে জীবন কি ভারবহ হইয় উঠিত। কিন্তু ঈশ্বরের কি অনুগ্রহ ! তিনি তাম।রদের শান্তির জন্য আপনাকে দান করিতেছেন । তিনি আপনাকে প্রকাশ করিয়৷ অামারদিগের শোক-ভার-ভগ্ন হৃদয়কে মৃতন করিয়৷ দিতেছেন ৷ এখনি তাহ প্রত্যক্ষ হ ষ্টতেছে । এখনি তঁtহার ছায়াতে থাকিয়। সমুদয় শোক তাপ বিস্মৃত হইয়। গিয়াছি । এই প্রকার যখনি তাহার অমৃত সহবাস প্রাপ্ত হইতেছি, তাহার সঙ্গে সঙ্গেই उांङ्षंद्ग गोल लांउ क्लश्रे ८ऊट्झ । ईरु প্রত্যক্ষ ফল-ভবিষ্যতে তাহার জন্য অণর এক্ষণে চতুর্দিক, র্তাহার উপাসনার ফল সঙ্গে সঙ্গেই মিলিতেছে, ভবিষ্যৎকে প্রতীক্ষা করিতে হইতেছে না । তিনি যেমন প্রত্যক্ষ হইতেছেন, তেমনি প্রত্যক্ষ ফল প্রদান করিতেছেন। অনন্ত কাল পর্য্যস্ত ষে র্তাহাকে উপাসনা করিবার অাশা আছে, তাহা তিনি প্রতিক্ষণেই পূর্ণ করিতেছেন। এতিক্ষণে এই আশা আরো উজ্জল হইতেছে । আমরা যদি এই অধস্থ মর্ত্য লোকে থাকিয়। এমন মলিন হুইয়াও