পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

XX o তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা গাঢ়ৰূপে আলিঙ্গন করিল, কিন্তু কিছুতেই | শরীর স্নিগ্ধ চাইত, এখন আমার আর সে পূৰ্ব্ববং স্পর্শ জ্ঞান ও সুখানুভব হইল না । অপুৰ্ব্ব সুখ অনুভব করিবার সামর্থ্য নাই । অবশেষ তাহার কঠিন হৃদয় দ্বার। নিপী- আমার মস্তানেরা আমার ক্রোড়ম্ব হইলে ড়িত হওয়াতে উক্ত শিশু উচ্চৈঃস্বরে চীৎ- পুৰ্ব্ববৎ সুখানুভব হয় না। আমি রোগ কণর করিয়া উঠিল । তখন কৃষক মনে মনে | ক্রান্ত হইয়া মৃতবৎ হইয়াছি তথাপি রোগ শোচনা করতে লাগিল, “ আমি ন বুঝয় | কি গর্কিত কৰ্ম্ম ষ্ট্র করিয়াছি । আমার পক্ষে | শারীরিক নিয়ম একেবারে স্থগিত হইয়াছে!’ পরে অতিশয় প্লোট্র সেবাদি তাহিন্ত চার করাতে তাছার শরীর ভয় ইতে লাগিল, কিন্তু তজ্জন্য ক্লেশানুভব না হওস্ন স্তে তা হার প্রতীকণর চেষ্টা করিলেক না । ইহাতে কৃষক অকস্মাৎ আপনার । মুমুমু অবস্থা উপস্থিত দেখিয় চিন্তু করি লেক, পূৰ্ব্বাবধি আমার দেহ-মন্ত্র উচ্ছৃঙ্খল হইতে আরম্ভ ইয়াছে তা হার সন্দেহ মাই, কিন্তু আমার ক্লেশানুভব শক্তি মা থাকাতে পীড় অনুভব করিতে পারি নাই, সুতরাং রোগ শাস্তির চেষ্টা ও করি নাই । ইহাতে সে দুঃখে অভিভূত ও ভয়ে কম্পাস্থিত হইয়া ব্যাকুলিত চিত্তে কহিতে লাগিল, “হে বিধাতঃ ভূমগুলে আমার পর ভাগ্যহীন মনুষ্য আর কেহ নাই । আমি সমুদায় সুখে বঞ্চিত হইয়াছি । আমার শ. রীর ভগ্নপ্রায় হইল, তথাপি আমি রোগমুক্ত করিতে সমর্থ না হওয়াতে তাহার প্রতীকণর চেষ্টা করিতে পারি নাই । হে প্রজাপালক তুমি আমাকে এমন দুর্ভাগ্য কেন করিলে 2” বি{ণত তাহার রোদন শ্রবণ করিয়া কঙ্গিলেন, “ বৎস! যে সকল ভৌতিক ও শারীরিক নিয়ম দ্বার! তোমার ত্বর ও ক্লেশ হইয়াছে বলিয়াছিলে, তাকা অামি স্থগিত করিয়াছি । তোমার শরীরে অtয় বেদনা ৰোধ ও উত্তাপাদি জন্য ক্লেশানুভব হুইৰেক না। তবে আর তুমি কি নিমিত্ত অসুখী, এবং কি নিমিত্তই বা এত অসন্তুষ্ট?” কৃষক কহিলেক, “ হে ব্ৰহ্মন মাছ। বলিলে যথার্থ বটে, কিন্তু তুমি আমাকে অবশেক্রিয় করিয়া অতিশয় দুর্ভাগ্য কর | i

| |

i | | জন্য ক্লেশণনুভব না হওয়াতে তাহার প্রতী কণর চেষ্টা হয় নাই | হে বিধাতঃ ! আমি অতিশয় দুর্ভাগ্য হইয়াছি, আমি শোকসাগরে নিমগ্ন হইতেছি ।” বিধাতা বলিলেন ... আমি তোমাকে কি প্রকারে পরিতুষ্ট করিব ? যখন আমি তোমাকে সুখ স্পশাদি বোধে সমর্থ করবার নিমিত্ত ত্বগ্নিন্দ্রিয়ে স্পর্শ-শক্তি প্রদান করিয়াছিলাম, এবং শারীরিক নিয়ম লঙ্ঘন হইলে জানিতে পারিবে, এবং জানিয়; প্রতীকার চেষ্ট করবে, এই অভিপ্রায়ে শারীরিক ক্লেশ বিধান করিয়াছিলাম, তখনও তুমি সন্তুষ্ট ছিলে না । পৃথিবীকে স্নিগ্ধ ও ফলবতী করিবার নিমিত্ত বারিবষণ হয়; মনুষ্যাদির রোগে{ৎপত্তি তাকার উদেশ্য নচে । কিন্তু তুমি বৃষ্টির সহিত শরীরের সম্বন্ধ না বুঝিয়া অবিশ্রান্ত তদীয় জলে সিক্ত হইয়াছিলে, ইহাতেই তোনার জ্বরে ওপত্তি হয় । বৃষ্টির জলে অভ্র হওয়াতে তোমার শারীরিক নিয়ম যত দুর লঙ্ঘিত হইয়াছিল, তাহার অধিক অার না হয়, ইহাই জ্ঞাপন করণার্থ ত্বর-জন্য ক্লেশ প্রেরণ করিয়াছিলাম ; কারণ ক্রমাগত এৰূপ অত্যাচার করিলে তোমার প্রাণ বিয়োগ হইত । যদি আবার তোমাকে আমার শুভকর নিম্নমের অধীন করিয়া রাখি, তবে তুমি পুনৰ্ব্বার আমার প্রদর্শিত পথ পরিত্যাগ করিয়া অামাকে অন্যায়কারি বলিয়া লিন্দা করিলেও করিতে পায় ।” ইহ শুনিয়া কৃষক অতিশয় ব্যগ্রতা প্রকাশ পুৰ্ব্বক কহিলেক, “ হে করুণাময় ৰিধাতঃ ! এ ক্ষণে তোমার অচিন্ত্য জ্ঞান ও অপার করুণ। স্পষ্ট ৰূপে দৃষ্টি করিতেছি, এবং আমার মুঢ়তাও অঙ্গীকার করিতেছি । অামাকে তোমার পরম মঙ্গলকর নিয়মপ্রণালীর অধীন করিয়া দেও ; আমি সৰুভজ্ঞ চিত্তে স্বীকার করিতেছি, তৎসমুদ্রা