পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* N) অতএব যে সকল প্রচলিত ধৰ্ম্মের সহিত জগতের নিয়ম-শৃঙ্খলার ঐক্য নাই, তাহা সংশোধন কর; কৰ্ত্তব্য । যে সমুদায় প্রাকৃতিক নিয়ম নিঃসংশয়ে নিৰূপিত হইয়।ছে, তদ্বিরুদ্ধ মত কপ মই যথার্থ মত নহে { ধৰ্ম্মের বিরোধ দেখা যায়, তাকাতে অবশ্যই ভ্ৰম আছে, তাকার সন্দেহ নাই । প্রকৃতি ও বাহ বস্তুর শস্থল পরস্পর উপযোগি করিয়! দিয়াফ্লেন । বাল কদিগকে এই উভয় বিষয় এপ্রকারে শিক্ষা দেওয়া উচিত, যে তা হার; ই ক্ষকে ধৰ্ম্মোপদেশ জ্ঞান করিয়া একান্ত শ্রদ্ধা পূৰ্ব্বক তদনুযায়ি ব্যবহার করিতে প্রত্নতত্ত্ব থাকে, এবং অপপনার শরীর, মন ও জন-সমাজের উন্নতি সাধন করিয়া ভাঙ্গার অবশ্যম্ভাবি পুরস্কার নিরূপিত নিয়মের সঙ্কিত যে : তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রতিপালন না করিলে, সে সুখে অধিকাৰু, হয় না । সুস্থ কায় পিতা মাত হইতে জন্ম গ্রহণ; বাস স্থান শুষ্ক, পরিষ্কৃত ও ছুগন্ধ বর্জিত হওয়া এবং তাছাতে বিশুদ্ধ বায়ুর সঞ্চার থাকা ; প্রত্যহ পরিমিত হিতকারি দ্রব্য ভোজন ও দুই এক ঘণ্ট। নিৰ্ম্মল বায়ু সেবন করা ; সাত প্লাট ঘণ্ট। কোন কৰ্ম্মে নিযুক্ত থাকিয় শরীর ও মন সঞ্চালন পরমেশ্বর মনুষের মুখ সাধনার্থে তাঙ্গর । স্বৰূপ সুখ, সুস্থত ও সৌভাগ্য লাভ করে- ; ভে সমর্থ হয় । প্রচলিত ধৰ্ম্ম সমুদায়ের । এই প্রকার পরিবর্তন ন চুইলে, ধৰ্ম্ম দ্বারা সংসারের যত দূর উপকার হওয়া সম্ভব, তাছ। কখনই হইবে না । শাস্ত্রকারের যে সকল বিধি নিষেধ নি- , সিদ্ধ প্রাকৃতিক নিয়মের অনুযায়ি নহে । র্দেশ করিয়া গিয়াছেন,তাঙ্কণর অনেক অংশ মনঃকপিত । কিন্তু জগদীশ্বর যে সমুদায় ভৌতিক, শারীরিক ও মানসিক নিয়ম সংস্থাপন করিয়| বিশ্বরাজ পালন করিতেছেন, তা । তাতার সাক্ষাৎ মাগুরা স্বৰূপ, তাঙ্ক লক্স ন করিলে তৎক্ষণাৎ ছুঃখ উৎ পদ্ম হয় । করা ; নির্দেশষ অণমোদ প্রমোদে কিঞ্চিৎকাল যাপন করা ; অন্তঃকরণে অতিশয় উৎ - কণ্ঠী ও ছাৰ্ভাবন। উদয় হইতে না দেওয়া ; ইত্যাদি শারীরিক নিয়ম সকল প্রতিপালন করা সকলের পক্ষেই আবশ্যক । এই সমু দণয় পরা কল্যাণকর নিয়ম প্রতিপালিত না হওয়াতে, কলিকাতায় ও অন্যান্য স্থানে ভুরি ভুরি লোকের উৎকট রোগ ও অকালু প্রাণ বিয়োগ হইতেছে । ইহার কারণ অবধারণ ও মিরাকরণ কর! অপে - স্কায় বুদ্ধিবৃত্তি ও ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তির গুরুতর কার্য। আর কি আছে ? কেহ পীড়িত ইলে ধৰ্ম্মোপদেশকেরা যে তৎপ্রতীকারার্থে শাস্তি স্বস্ত্যয়নাদি করিবার পরামর্শ দিয়া থাকেন, তাহ! কোন প্র সে য। হ হ উক, যদি রোগ শাস্তিৱ উ পীয় উপদেশ করা ধৰ্ম্মোপদেশকদিগের যদি পরম্পরণ-শ্রত বৈধ বৈধ । ক্রিয়ার উপদেশ দেওয়া ধৰ্ম্মোপদেশক- : দিগের কার্য্য হয়, তবে যে সমুদায় কাৰ্য্য পরমেশ্বরের যথার্থ অfগুপ্রেত বা অনভিপ্রেস্ত বলিয়া নিশ্চয় প্রতীয়মান হষ্টতেছে, তাক উপদেশ করা ধৰ্ম্মো পদেশের অঙ্গ কেন না হইবে ? দুই এক উদাহরণ দিয়া এfবষয় প্রতিপাদন করা যাইতেছে । পরমেশ্বর তামারদিগকে যে প্রকার শারীরিক প্রকৃতি প্রদান করিয়াছেন, তাহাতে আমরা দীর্ঘায়ু প্রাপ্ত হইয়া স্বাস্থ্য f কর্তব্য হয়, তবে যা হাতে রোগোৎপত্তি ন চাইতে পারে, তা হার পথ প্রদর্শন কর। তাহারদের কতদূর কর্তব্য ! যদি তাহারা পরমেশ্বর প্রতিষ্ঠিত, পরম শ্রন্ধেয়, স্বাস্থ্য বিধায়ক নিয়ম সমুদায় জাপনার শিক্ষা করি রা.শিষ্য যজমানদিগকে উপদেশ করেন এবং তাছা যত্ন ও শ্রদ্ধা পুর্যাক প্রতিপালন করিতে আদেশ করেন, তবে এক্ষণে ভূমগুলে রোগের যে প্রকার প্রাচুর্ভাব আছে, তাহার অনেক নিবারণ হইতে পারে । লোকে অন্যত্র এ সকল বিযয়ের উপদেশ প্রাপ্ত হইতে পারে; কিন্তু তাহা ধৰ্ম্মোপদেশকদিগের নিকট ধৰ্ম্মেপিদেশ স্বৰূপে শিক্ষা করিলে তদনুযায়ি ব্যব সুখ সম্ভোগ করতে পার। কিন্তু তৰি- হার করিতে সমধিকরম ও শ্রদ্ধা হুইবার ষয়ে কতকগুলিন নিয়ম নিৰূপিতামাছে,ণ্ডাহা স্বভাবনা ৷