পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভৰবোধিনী পত্রিক চক্ষুর্গোচর নছে । এক ঘটি জলে কিঞ্চিৎ অলক্ত গুলিলে সমুদায় জল রক্তবর্ণ হয় । পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে, এক রতি বর্ণকেতে পাচ সের জলের রঙ হয় । জলে সাবান ঘর্ষণ করিলে যে বুদ্ধ,দ উঠে,তাহার উপরকার ছলে এত পাভলা কইতে পারে, যে এক বুরুলের ২৫,০০০০০ ভাগের এক ভাগও হয় কি না । সঞ্জীব পদার্থে এ বিষয়ের আশ্চৰ্য্য আtশ্চর্য্য উদাহরণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । জন্তুর রক্ত সম্পূৰ্ণৰূপ লোহিত বর্ণ নহে । নাউীর মধ্যে এক প্রকার জলবৎ স্বচ্ছ পদার্থ অণছে, তাহাতে গোলাকৃতি বা ডিম্বাকৃতি রক্তবর্ণ বিন্দু সকল ভাসিতে থাকে । কোন সুক্ষ স্থচের অগ্র ভাগে মনুষ্যের যত টুকু রক্ত লম্বমান থাকিতে পারে,তাহাতে এৰূপ দশ লক্ষ বিন্দু স্থিতি করে । কীটণপু”নামে কতক গুলি জন্তু আছে, তাহাদের শরীর ইহা অপেক্ষাও ক্ষুদ্র ৷ জল, শিশির, সিকা এবং চা, মরীচ, গোধূমাদি অনেক প্রকার শস্য, মূল ও পত্রের কৃথি ইত্যাদি নানা দ্রবে। তাহারা বাস করে । সামান্য জলে এৰূপ কীটপু আছে, যে তাহাদের কোটি কোটিটা একত্র করিলেও এক বালুক কণার সমান হয় না । ইহারা অতিসূক্ষ সুচিকার ছিদ্র-প্রমাণ স্থানে সহস্ৰ সহস্রট একেবারে সস্তরণ করিতে পারে। এক জন ইউরোপীয় পণ্ডিত গণনা করিয়া দেখিয়াছিলেন, যে তন্মধ্যে অনেকের শরীর দীর্ঘ প্রস্থ উচ্চ এক বুরুলের Уo e« o o o o o o o o o o o o ভাগের ২৭ ভাগ মাত্র । জগদীশ্বরের অসাধ্য কিছুই নাই ! হস্তি, অশ্ব, সিংহ, ব্যাঘ্ৰাদির ন্যায় ইহারদিগেরও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অাছে,রক্ত ও মাংসপেশী অাছে,এবং ক্ষুধা তুষ্ণ ও পাকস্থলী আছে । ইহারা ইতস্ততঃ সঞ্চরণ করে, এবং ইহারদিগের মধ্যে এক জাতি অন্য জাতিকে ভক্ষণ করে । অণুবীক্ষণ ঃ যন্ত্র দ্বারা দৃষ্টি করা গিয়াছে,

  • Animalculė
  1. શાનૂ ; যীক্ষণ-দর্শন। যে যন্ত্র জায়। চকুর অগোচর জড় বস্ত সকলও

দুটি করা যায়, ভাষার নাম অণুবীক্ষণ। I | 筠Q একটা অার একটার উদর মধ্যে চলিয়। বেড়াইতেছে । ইহারদিগের অবয়বই ৷ কেমন, ইন্দ্রিয় দ্বারই ব। কেমন,এল ” র স্ক্রস্ত গোলাকার বিন্দু সকলই বা কেবন সক্ষম । যেমন দূরবীক্ষণ সহকারে আমরা অসীম প্রায় আকাশ ম গুলের সংবাদ নিমেষ মাত্রে ভূলোকে আনয়ন করিতে সমর্থ হই তেছি, সেইৰূপ, অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বার। এক এক বিন্দু-প্রমাণ স্থানে এক এক জগতের ব্যাপার অবলোকন করিতেছি । যেমন জিহবার সহিত রসের সংযোগ ন হইলে ৰসাস্বাদ গ্রহণ করা যায় না,সেই ৰূপ গন্ধ দ্রব্যের অণু সকল ঘ্ৰাণেন্দ্রিয় স্পর্শ না করিলে স্ত্ৰাণ পাওয়া যায় ন} । গন্ধদ্রব্যের সূক্ষ সূক্ষ অণু চতুৰ্দ্দিকস্থ বায়ুতে ব্যাপ্ত হইয়া থাকে, তাহাই নাসিকারস্তুে প্রবিষ্ট হইলে গন্ধের অনুভব হয় । গৃহ মধ্যে কপুর রাখিলে তাহা ক্রমে ক্রমে অস্তুৰ্হিত হইয়া যায় ৷ এক প্রশস্ত গৃঙ্গ অৰ্দ্ধ-রতি-প্রমাণ মৃগনাভির গন্ধে ২০ বৎসর পর্য্যন্ত আমোদিত ছিল, ইহাতেও যে তাহার কিছু মাত্র ক্ষয় হইয়াছিল এমন্ত বোধ হয় নাই । মৃগনাভির যে সকল সৃক্ষ সূক্ষ অণু পৃথক পৃথক হইয়। চতুর্দিকে বিস্তুত হইয়াছিল, তাহাই যে আদিম পরমাগু, তাহারই বা নিশ্চয় কি ? জড় পদার্থ সকল এই ৰূপে বিভক্ত স্থইতে দেখিয়া পুৰ্ব্বকার পণ্ডিতের অনুমান করিয়া আসিতেছিলেন, যে তাহাকে ধন্ত বিভাগ করিবে, ততই করা যায় ; এক বিন্দু বালুকাকে খণ্ড খণ্ড করিয়া অনস্ত ভগে বিভক্ত করা যাইতে পারে । কিন্তু এক্ষণ কণর পণ্ডিতেরা এমতে যেৰূপ আপত্তি উ থাপন ও তৎ, প্রতিপক্ষে যেরূপ প্রমাণ প্রদর্শন করিয়াছেন,তাহাতে প্রায় সকলে রই এ প্রকার প্রতীতি জন্মিয়াছে, যে সম । দায় জড় পদার্থই কতক গুলি অতি সক্ষম আদিম পরমাণুর সমষ্টি । সে সকল ণ ব্লমাণু, দ্রব হয় না, দগ্ধ হয় না, বিকৃতও হয় না। তাহারা যেমন সৃষ্ট হইয়াছিল, তেমনিই আছে । তাহারদেরই পরস্পর সংৰোগ দ্বারা সকল বস্ত রচিত হইয়াছে,এবং