পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృం ర তত্ত্ববোধিনী পত্রিক 》●零矶。ó曾铜 বিপদ ভয়—মৃত্যুভয় হইতেও মনুষ্যকে সম্যকৃরূপে পরিত্রাণ করিতে পারে। ব্ৰহ্মানন্দের কণামাত্র , দান করিয়াও তাহাকে সদাই প্রফুল্লিত করিতে পারে । , র্তাহার কৃপা সকল দেশে, সকল কালে, সকল মনুষ্যের প্রতি সমান। তিনি মনুষ্যহৃদয়ে যে সহজ জ্ঞান দিয়াছেন, তাহার প্রভাবে সে র্তাহাকে জানিবার জন্য উন্মুখ হয় । স্বষ্টি কাল হইতে এ কাল পর্য্যন্ত সকলেই তাহাকে জানিতে অভিলাষী। আমাদের দেশের নিরক্ষর সাওতাল ও আফরিকার অসভ্য বর্বর্বর জাতি পর্য্যন্ত সকলেরই আত্মার টান তাহার দিকে । এই বজ্র বিদ্যুৎ যাহা তাহার শক্তি মাত্র তাহাকেই তাহারা ঈশ্বরবোধে পূজা করিতে প্রবৃত্ত। স্বভাবের বশে মধুমক্ষিক কর্তব্য । তেজস্বিনী হয়, তিনিই ঈশ্বরের আভাস ইহলোকেই প্রাপ্ত হন। সূর্য্যোদয়ের পূর্বে যেমন অরুণোদয় হয়, সেই পরিপূর্ণ জ্যোতির আভাস তেমনি ভক্তের হৃদয়ে প্রকাশিত হয়, কিন্তু সেই অtভাসমাত্র জ্যোতিরই তুলনা কোথায় ! যে র্তারে কাতর প্রাণে ডাকে—অন্বেষণ করে,— তিনি তাহার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন । এই সহজ জ্ঞানকে ভিত্তি করিয়া ঋষিরা ষে প্রকারে ঈশ্বরকে বিশেষ রূপে দেখিবার চেষ্টা করিয়া পরিশেষে আপনার অন্তরে র্তাহাকে উপলব্ধি করিতেন, আমাদের ও সেই প্রণালী অবলম্বন করা র্তাহীদের উপদেশ এই—শরীর গর্ভে যে আত্মা আছে, তাহাকে ক্রমে যেমন নানা ফুল হইতে মধু আহরণ করে— । পিপীলিকা যেমন ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চয় করে, মনুষ্য তেমনি সহজ জ্ঞানের বশীভূত হইয়া, ঈশ্বরান্বেষণে প্রবৃত্ত হয় । এই সহজ জ্ঞান আকরোদ্ধৃত অসংস্কৃত ধাতুর ন্যায়। ঘসিলে মাজিলেই ইহা অপূৰ্ব্ব দীপ্তি প্রাপ্ত হয়। সেই দীপ্তিই সেই পরম জ্যোতিকেই প্রকাশ করে । কিন্তু জ্ঞানের অহঙ্কার থtকিলে সেই জ্যোতিৰ্ম্ময় কখনই দেখা দেন না । “তিনি হে অকিঞ্চনগুরু” তিনি প্রণতজন সৌভাগ্য জনন” । সেই মহাকবি হাফেজের কথাতেই বলি, “সূর্য্য যার মহাসভার জ্যোতিষ্মান বিন্দুমাত্র, তার মধ্যে আপনাকে বড় করিয়া দেখা অত্যন্ত অবিনয়ের কাৰ্য্য” । তিনি আরও বলিয়াছেন “যে ধূলি সখার স্পর্শে গৌরবান্বিত হইয়াছে, তাহ পাইলে আমি অঞ্জনের ন্যায় চক্ষে ধারণ করি” ; বিনয়ী হইয়। এই অঞ্জন যিনি চক্ষে ধারণ করেন, তারই দৃষ্টিশক্তি | ক্রমে উপলব্ধি করিতে চেষ্টা কর । সকল প্রকার চাঞ্চল্য হইতে বিরত হইয়া মনের সকল বল এক স্থানে নিয়োগ কর । আত্মচিন্তার সময় অনেক অভ্যস্ত সাংসারিক চিন্তা আসিয়া মনের একাগ্রতাকে ভঙ্গ করিয়া দেয়, অতএব বল পূর্বক পুনঃ পুনঃ ঐ সকল চিন্তাকে দূর করিয়া দিও। এক দিনে কৃতকার্য্য না হও, কালে সিদ্ধিলাভ করিতে পারিবে । যখন ইহাতে সিদ্ধ হইবে, তখন আত্মার মধ্যে পরমাত্মাকে ভক্তি পূর্বক দেখিবার জন্য র্তাহারই নিকট নিতান্ত অনন্যগতি হইয়া প্রার্থনা করিও । একান্তে উtহার অাশা পথ চাহিয়৷ থাকিও । যখন তোমার দৃষ্টি তার শুভ দৃষ্টির সহিত মিলিয়া যাইবে, তখন দেখিবে যে তুমি আর তোমার নও—তার— সম্যক রূপে র্তার । তখন— “সুবিমল পরশে, হরফে মাতি, প্রাণ বিহঙ্গ উঠেরে গাছি। बन डालि त्रिंटञ्च पञभिब्रां” তখন সেই জগতের মাতাকে আপনার