পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২s তত্ত্ববােধিনী পত্রিক ויוס • גסס 9יא க_ _ _ _ _ པས་ཚང་མ་ཁ་མ་མམ།- * هدية জলপূর্ণ অগাধ সমুদ্র স্বষ্টি করিয়াছেন র্তাহাকে ছাড়িয়া আর কোন দেবতার উপাসনা করিব । আদি ব্রাহ্মসমাজ । २२ छांज, दूषवांब्र । হে মনুষ্য ! “ক্রতোস্মর কৃতং স্মর* আপনার কৃত কৰ্ম্ম স্মরণ কর । কারণ কাল যাইতেছে, মৃত্যু নিকটবর্তী হইতেছে। একদিন এমন আসিবে যখন আমাদিগকে ইহলোক পরিত্যাগ করিতেই হইবে। এই অনিত্য দেহ ছাড়িয়া যাইতেই হইবে। শুদ্ধ ছাড়িয়া ষাইতে হইবে তাহা নহে অপর নূতন দেহ ধারণ করিয়া নবলোকে বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায় নবানি গৃহাতি নরোইপরাণি। তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণ স্তন্যানি সংযাতি নবানি দেহী ৷ যেমন মনুষ্য জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া অপর নূতন বস্ত্র গ্রহণ করে, সেইরূপ আত্ম জীর্ণ শরীর পরিত্যাগ করিয়া অন্য মৃতন শরীর ধারণ করে। শুদ্ধ নূতন সূক্ষম দেহ ধারণ করে তাহা নহে “উৰ্দ্ধং গচ্ছন্তি সত্ত্বস্থাঃ”—সত্ত্বপ্রধান ব্যক্তিগণ উৰ্দ্ধে গমন করে; “মধ্যে তিষ্ঠন্তি রাজসাঃ” —রজোগুণ প্রধান ব্যক্তিগণ মধ্যে থাকে ; “জঘন্যবৃত্তিস্থা অধোগচ্ছন্তি তামসাঃ”— আর অসদাচারী তমোগুণ-প্রধান ব্যক্তিরা অধঃপথে গমন করে।” এই গ্রন্থের আর এক স্থানে দেখা যায়, মৃত্যুর পর মনুষ্যের কি গতি হইবে, অর্জন এই কথা কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করিলে, তিনি বলিলেন, “অন্তকালে পরমাত্মাকে স্মরণ করিতে করিতে যিনি দেহ ত্যাগ | করিয়া যান, তিনি ব্রিহ্মের ভাব প্রাপ্ত ইহাতে সংশয় নাই” আরো বলিলেন— य१ य१ बांत्रि यज्ञ* उांद१उाखडाएख क८गदब्रम् । তং তমেবৈতি কৌন্তেয় সদা তদ্ভাবভাবিতঃ ॥” যে যে ভাব স্মরণ করিতে করিতে লোকে দেহত্যাগ করে, হে কৌন্তেয়, সৰ্ব্বদা (জীবনকালে) সেই সেই • ভাবে চিত্ত নিবিষ্ট থাকায় সেই সেই ভাবই পায় । ইহা দ্বারা স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে, যে সাত্ত্বিক ব্যক্তি ঈশ্বর-গত-প্রাণ হইয়। সৰ্ব্বদা সর্বাবস্থায় পরব্রহ্মকে স্মরণ করিয়া থাকেন, মৃত্যুকালে র্তাহার ঈশ্বরকে,স্মরণ হইবেই হইবে। সুতরাং ব্রহ্মানন্দবিশিষ্ট উচ্চলোকেই তাহার গতি হইবে। আর যে তামসিক দুর্বদ্ধি ব্যক্তি জীবিতাবস্থায় উপস্থিত হইতে হইবে। গীতায় আছে । কেবল অসৎভাবের বশবর্তী হইয়া চলি য়াছে, ভুলেও ভক্তিভরে ভগবানকে স্মরণ করে নাই, পূর্বসংস্কার অনুসারে মৃত্যুকালে তাহার মনে অসৎ ভাবেরই উদয় হইতে থাকিবে—স্বীয় দুষ্কৃতির বিকট মূৰ্ত্তি তাহার মানস চক্ষের সম্মুখে বিভীষিক প্রদর্শন করিবে । সুতরাং সে অসৎভাব লইয়া ইহলোক হইতে প্রস্থান করায় তমসাচ্ছন্ন অধোলোকেই গমন করিবে । তাই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম উচ্চৈঃস্বরে বলিতেছেন, अनन नांभ cङ ८लांक ब८कन उमनांदूठां: । তাংস্তে প্রেত্যাভিগচ্ছন্তি অবিদ্যাংসোইবুধোজনfঃ ॥ দুর্বদ্ধি অজ্ঞান ব্যক্তির মৃত্যুর পর সেই সমুদয় লোক প্রাপ্ত হয় যে সকল লোক আনন্দশৃন্য এবং নিবিড় অন্ধকারে আচ্ছন্ন । ফলত শাস্ত্রানুসারে প্রতিপন্ন হইতেছে যে স্ব স্ব চিন্তা ও কৰ্ম্মানুসারেই মনুষ্যের গতি হইয়া থাকে। যখন চিন্তা ও কৰ্ম্মানুসারে মনুষ্যের গতি তখন পরলোকের প্রতি আমাদের অন্ধ হইয় থাকা কৰ্ত্তব্য নহে। কৰ্ম্মসূত্রে পরলোক ইহ