পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৯ যাউক । মনুসংহিতার তৃতীয় অধ্যায়ের ৪০ শ্লোকে কথিত হইয়াছে যে, “রূপসত্বগুণোপেত। ধনবন্তে যশস্বিনঃ । পৰ্য্যাপ্তভোগা ধৰ্ম্মিষ্ঠা জীবস্তি চ শতং সমাঃ।” (ব্রাহ্ম, দৈব, আর্য ও প্রাজাপত্য বিধি অনুসারে বিবাহিত স্ত্রীর গর্ভে) রূপ গুণ যুক্ত,.ধনশালী, যশস্বী, পৰ্য্যাপ্তভোগী, ধাৰ্ম্মিক ও শতবর্ষজীবী পুত্র উৎপন্ন হয়। কোন যুগে ব্রাহ্মাদি বিধি অনুসারে বিবাহিত স্ত্রীর গর্ভে এইরূপ “শতবর্ষজীবী” পুত্র উৎপন্ন হয় ? মনুসংহিতার স্থলান্তরে লিখিত আছে, “সৰ্ব্বলক্ষণহীনোইপি যঃ সদাচারবান নরঃ । শ্রদ্ধধানোইমুস্থয়শ্চ শতং বর্ষাণি জীবতি ॥” 8 खा५Tश्न S 6b' Cब्लोक । “যে পুরুষ সদাচারসম্পন্ন, শ্রদ্ধাবান ঈর্ষাবিরহিত, তিনি সৰ্ব্বলক্ষণশূন্য হইলেও শতবর্ষ জীবিত থাকেন।” এই বচনদ্বয় কোন যুগকে লক্ষ্য করিয়া রচিত হইয়াছে ? কথাগুলি যেরূপ সাধারণভাবে বলা হইয়াছে, তাহাতে ইহা দ্বারা যে কোনও যুগ বিশেষের প্রতি লক্ষ্য করা হইয়াছে, তাহ বোধ হয় না । সুতরাং এই মনুবচনের দ্বারা সৰ্ব্বযুগেই (সুতরাং সত্যযুগেও) মানবায়ুর পরিমাণ যে শত বৎসর তাহ সূচিত হইয়াছে। যদি এরূপ বিবেচনা করা যায় যে, উক্ত বচনদ্বয়ে কোনও বিশেষ যুগের প্রতি কটাক্ষ আছে তাহা হইলে আমাদের বি | , *ख्यटब्रांशांg সৰ্বসিদ্ধাৰাকহুঁৱৰণতাৰ | কুতে ত্ৰেতাদিষু হ্যেষামায়ুক্ত গতি পাশেঃ ॥” (৩) S I b^రి বিগত বর্ষের শ্রাবণ মাসের পত্রিকায় “এটা কোন যুগ ?” শীর্ষক প্রবন্ধে এই বচনের যে অনুবাদ প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহা এই,— • “সত্য যুগে মনুষ্যগণ রোগশূন্য, সিদ্ধকাম ও চারিশত বর্ষ পরমায় সম্পন্ন, কিন্তু ত্ৰেতাদি যুগত্রয়ে, মানবায়ুর পরিমাণ ক্রমশঃ একশত বর্ষ করিয়া হ্রাস হইতে থাকে। অর্থাৎ ত্রেতায় তিন শত, দ্বাপরে দুই শত ও কলিতে একশতবর্ষ মানবায়ু।” এই অনুবাদ মৎকৃত নহে। পণ্ডিত ভরতচন্দ্র শিরোমণি প্রভৃতি মনুসংহিতার বঙ্গানুবাদকগণ সকলেই উক্ত শ্লোকের উল্লিখিতরূপ অনুবাদ করিয়াছেন। ঐ অর্থ কল্প কভট্টের টাকাসম্মত। এই সকল কারণে তত্ত্ববোধিনী সম্পাদক মহাশয় মৎ কৃত অনুবাদের পরিবর্তে উক্ত অনুবাদ মদীয় প্রবন্ধে সন্নিবেশিত করিয়া দিয়া ছিলেন । * মৎকৃত অনুবাদ “এটা কোন যুগ !" পুস্তিকায় প্রদান করিয়াছি । তাহা এই—“সত্যযুগের মনুষ্যগণ রোগ বেচনায় সত্যযুগই উহার লক্ষ্যস্থল হইবে । । কারণ, মনুসংহিতা যে সত্যযুগের শাস্ত্র তাহা হিন্দু মাত্রেই বিশ্বাস করেন। এবং তাহা হইলে উক্ত বচনদ্বয়ে সত্যযুগীয় মনুষ্যগণের পরমায়ুই নির্দিষ্ট হইয়াছে। মনুসংহিতার প্রথমাধ্যায়ে সত্যযুগীয় মনুষ্যগণের অবস্থাবর্ণন প্রসঙ্গে কথিত श्झग्नांcछ्, | I পৃষ্ঠা দেখুন)। হীন, সিদ্ধকাম ও শতবর্ষ পরমায়ু সম্পন্ন (হয়েন), কিন্তু ত্ৰেতাদি যুগত্রয়ে মানবায়ুর পরিমাণ ক্রমশঃ অল্প অল্প করিয়া হ্রাস হইতে থাকে।” (উক্ত পুস্তিকার ৪র্থ (৩) এই শ্লোকটি মহাভারতীয় শাস্তিপর্বে (২৩২ অধ্যারে) ও বৈদ্যকে ঈষৎ পরিবর্তিত আকারে দৃষ্ট হয়। এস্থলে বৈদ্যকের বচনটি উদ্ভূত হইলঃ– “পুরুষঃ সৰ্ব্বসিদ্ধার্থাশ্চতুৰ্ব্বৰ্ধশতাযুষঃ। কৃতে ত্ৰেতাদিকেপ্যেবং পাদশে হ্রসতি ক্ৰমাৎ ॥” শব্দকল্পক্রমধৃত বচনং । * প্রবন্ধ লেখকও এক সময় এইরূপ অনুবাদের পক্ষপাতী ছিলেন এবং সাহিত্য ও বিজ্ঞানে প্রকাশিত প্রবন্ধে ঐরূপ অনুবাদ গ্রহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু ७षन cन भउ शब्रिवéन कब्रिाउ बाश इहेबांटाइन । লেখক ।