পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ === هج===== جارچی حیاتی جی اچ چ “অমানবোহয়ং শ্লোকঃ” অর্থাৎ এই শ্লোক মনুকৃত নহে এইরূপ লিখিয়াছেন । এস্থলে পুনরায় বক্তব্য এই মনুসংহিতাতেও যদি কোন স্থলে বেদবিরুদ্ধ বাক্য পাওয়া যায় তবে তাহা কদাপি গ্রাহ্য হইতে পারে না । নিন্দকঃ” অর্থাৎ যিনি বেদকে অবমাননা করেন তিনি নাস্তিক সংজ্ঞা প্রাপ্ত হন । পুনশ্চ ভগবানু মনুর মতে বেদই যে | সৰ্ব্বোপরি প্রামাণ্য গ্রন্থ তথা বেদবিরুদ্ধ ধৰ্ম্মশাস্ত্র যে কদাপি গ্ৰহ্য নহে তাছ স্পষ্ট লেখা আছে যথা— “সৰ্ব্বস্তু সমবেক্ষ্যেদং নিখিলং জ্ঞানচক্ষুষা” “শ্রীতি প্রামাণ্যতো বিদ্বান স্বধৰ্ম্মে নিবিশেত বৈ” । • ‘অর্থকামেস্বসক্তানাং ধৰ্ম্মজ্ঞানং বিধীয়তে’ “ধৰ্ম্মং জিজ্ঞাসমানানাং প্রমাণং পরমং শ্রীতিঃ ॥’ মনু অধ্যায় ২ শ্লোক ৮ ও ১৩ “পিতৃদেব মনুষ্যাণাং বেদশ্চক্ষু: সনাতনমূ” “অশক্যঞ্চাপ্রমেয়ঞ্চ বেদশাস্ত্রমিতি স্থিতিঃ ।” “যা বেদবtহ্যাঃ স্মৃতয়ে যাশ্চ কৗশ কুদৃষ্টয়ঃ” “সৰ্ব্বাস্তা নিস্ফলাঃ প্রেত্য তমোনিষ্ঠা হি তাঃ স্থতা: ॥” “উৎপদ্যন্তে চ্যবস্তে চ যান্যতোইন্যানি কানিচিৎ” তান্যর্বাক্কালিকতয়া নিস্ফলান্যমৃতানিচ ॥ মন্থ অধ্যায় ১২ শ্লোক ৯৪, ৯৫, ৯৬ অর্থাৎ জগতে যত প্রকার শাস্ত্র অাছে বিদ্বানগণ জ্ঞানচক্ষু দ্বারা তাহ বিশেষ বিচার করিয়া বেদ প্রমাণক ধৰ্ম্মকে এক মাত্র অবলম্বন করণের উপযুক্ত বোধে স্বধৰ্ম্মে নিবিষ্ট হইয়া থাকেন। মনুষ্যগণ অন্তর হইতে অর্থ ও কামনায় আসক্তিশূন্য । না হইলে ধৰ্ম্মসঞ্চয় করিতে কদাচ সমর্থ । হন না এবং ধৰ্ম্মজিজ্ঞাস্থ পক্ষে বেদ শাস্ত্রই সৰ্ব্বপ্রধান উপায় ও প্রমাণ । বেদ শাস্ত্রই ! পিতৃ দেব ও মনুষ্যের সনাতন চক্ষুস্বরূপ, ইহা অপ্রমেয় ইহা স্থির মীমাংসা । যে সমস্ত ধৰ্ম্মশাস্ত্র বেদবহিভূত এবং যে সকল শাস্ত্র কুদৃষ্টিপ্রেরিত, পরকাল তত্ত্ববােধিনী পত্রিক মনুসংহিতাতেই । স্পষ্ট লিখিত আছে যে “নাস্তিকে বেদ »e FM, a egg - ,ை সম্বন্ধে সেই সকল শাস্ত্রকে নিস্ফল বলিয়া জানা কর্তব্য, কারণ সেই সমস্ত শাস্ত্র তমোগুণকল্পিত, যথার্থ হইতে পারে না । যে সকল শাস্ত্র বেদমূলক নহে তাহ তে। হইতেছে ও যাইতেছে সুতরাং আধুনিকতা হেতু তাহাদিগকে নিস্ফল ও মিথ্যা বলিয়া জানা উচিত। এখন মনুসংহিতার প্রমাণ দ্বারা বেদ যে সৰ্ব্বোপরি প্রামাণ্য গ্রন্থ ও বেদবিরুদ্ধ বাক্য বা গ্রন্থ যে অগ্রাহ্য বা অসত্য তাহা প্রমাণিত হইল । এখানে আরও বক্তব্য এই যে যদিচ মনুবচন বেদবিরুদ্ধ হইলে প্রমাণ বলিয়া স্বীকার করা যায় না সত্য, তথাপি ইহার প্রমাণ যে অপরাপর ধৰ্ম্মশাস্ত্রের প্রমাণপেক্ষা গ্রহণীয় তাহাই দেখাইতেছি । বৃহস্পতি বলিয়াছেন— বেদার্থোপনিবন্ধ স্থাৎ প্রাধান্যং হি মনোঃ স্বতম্ | মস্বর্থবিপরীত যা সা স্মৃতিন প্রশস্যতে ॥ অর্থাৎ মনু স্বীয় সংহিতাতে বেদার্থ সঙ্কলন করিয়াছেন ; অতএব তিনি প্রধান । মনুর বিপরীত স্মৃতি প্রশস্ত নহে। উপরোক্ত বৃহস্পতির বচন দ্বারা বেদ যে সৰ্ব্বোপরি গ্রাহ্য ও মনু ভিন্ন অপরাপর ধৰ্ম্মশাস্ত্রে যে বেদবহিভূত বাক্য আছে তাহার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। এখন আমার বক্তব্য এই যে পৌরাণিক প্রমাণ দ্বারা যদি কেহ উপনিষদ ও বেদের সংহিতা ভাগের উদ্ধৃত বাক্যের খণ্ডন করিতে চাহেন তাহা যে কতদূর সঙ্গত বুঝিতে পারি না। আমি প্রথম প্রস্তাবে ঋক্, যজু ও অথর্ববেদের সংহিতা डांश श्रङ फ्रांद्गणै भञ्ज बांज्ञा दिञ्ज वाडीौङ অপর বর্ণের এমন কি স্ত্রী শূদ্র ভূত্য ও অতি শূদ্রাদিরও বেদপাঠের অধিকার সপ্রমাণ করিয়াছি। এখন যদি চারিবেদ মধ্যে একটাও তদ্বিষয়ক নিষেধ ৰাক্য বা |