পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विश्वं इांद्मश्रं **** যোগ ও ব্রাহ্মসমাজ ১৪৫ =ബ് দেহে প্রবেশ করিয়াছে বটে কিন্তু ইহারই মধ্যে প্রাণায়ামাদি-জনিত মস্তিষ্ক ও হৃদয়নষ্টকর ব্যাধিসমূহ দুই একস্থলে ভয়ানক মাত্রায় দেখা দিয়াছে। দৃষ্টান্ত উদ্ধৃত করা নিম্প্রয়োজন। কারণ ব্রাহ্ম-যোগ-সম্প্রদায়ের নিকট বোধ হয় তাহা অবিদিত নাই । অন্যত্রও আমি ইহার ভীষণ মূৰ্ত্তিধারী কুফল সমুহ দৃষ্টিগোচর করিয়াছি । অতএব আমরা প্রাণায়াম চাহি না,—‘বাসনায়াম্’ অপার বাসনার “নিৰ্ব্বাণ” চাহি, শারীর যোগ সাধনের পক্ষপাতী নহি । ৫ । ধ্যেয় বস্তু। কি ধ্যান করিব ? যোগশাস্ত্র বলেন যে চিত্তবৃত্তি নিরুদ্ধ ও আত্মা সমাহিত হইলে যে কোন বিষয়ের ধ্যান করিবে, তাহারই সম্বন্ধে তথ্য অবগত হইবে । এত গেল সিদ্ধাবস্থার কথা । অসিদ্ধ সাধনাবস্থায় কি ধ্যান করিব ? বৌদ্ধ যোগী আত্মতত্ত্বাদি বিষয় ধ্যান করেন, অথবা সৰ্ব্বধ্যান বর্জন করিয়া মানসিক শূন্যতা লাভ চেষ্টা করেন । শূন্যতা ও মৃত্যু একই কথা । আমরা শূন্যতা চাহি না। পূর্ণতা চাহি । আত্মার নির্বাণ চাহি না ; নীচ, আসার ও চঞ্চল বাসনার নির্বাণ কামনা করি। আস্তিক সাধক ঈশ্বরধ্যান করেন। মহর্ষি পতঞ্জলি ইহাকেই উচ্চতম স্থান অপণ করিয়াছেন । ঈশ্বরধ্যান কিন্তু একটী গোল মেলে কথা । উহা কি প্রকারে ও কি আকারে কৰ্ত্তব্য ? তাহার বিষয়, নাম, বা স্বরূপ বিশেষে মনকে স্থির ভাবে প্রয়োগ করা চাই। প্রার্থনা, উপাসনাদি কালে, র্তাহার মধ্যে বা নিকটে রহিয়াছি, ইহাই প্রত্যক্ষ বা অনুভব করিতে চেষ্টা করা আবশ্যক। কিন্তু নামাদির মধ্যে কোনটি ধ্যান করি ? যে স্বরূপৗত্মক নাম বা স্বরূপ চিন্তা করিলে প্রেম, ভক্তি, বিশ্বাস বা আনন্দের উদয় হয়, তাহাই ভাবিতে হুইবে চিত্ত আকর্ষণশীল বস্তুতে সহজেই স্থির হইবে, কারণ মন ও হৃদয় উভয়ে যুক্ত হইয়। ইচ্ছার সহিত কাৰ্য্য করিবে,আত্মার সমুদায় বৃত্তি বহির্বিষয় হইতে নিগৃহীত হওত অন্তমুখীন হইয়া এককালে এক কার্যে রত হইবে। কিছুকাল ক্রমাগত নিয়মিত সময়ে উপযুক্ত মাত্রায় এই প্রকার করিলে তাত্মার গৃঢ়, অতু্যচ্চ ও বর্ণনাতীত মানদনুভূতি জন্মিবে, আত্ম। তখন ভূমানন্দসাগরে নিমগ্ন হইবে । তখন ঈশ্বরজ্ঞানের ক্ষীণ পিপাসা ঈশ্বরদ: , লালসারূপ অদম্য ও খরতর বেগবান প্রবাহের আকার ধারণ করিবে । সেই সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়লালসা ইন্দ্রিয়সুখলিপস চঞ্চলত প্রভৃতি আত্মার অর্জিত ধৰ্ম্ম সমূহ লোপ পাইতে থাকিবে । ব্ৰহ্মজ্ঞান ও অহেতুক ব্রহ্মপ্রেম যতই স্ফূৰ্ত্তি পাইতে থাকিবে ততই মন ও হৃদয়ের সদৃবৃত্তি সমুদায়ের স্মরণ আরব্ধ হইবে ; চঞ্চলত, দুর্বলতা, অজ্ঞানাদি ক্রমে দূর হইতে থাকিবে ; আত্মার নিদ্রিত বৃত্তি ও শক্তি নিচয় জাগরিত হইতে থাকিবে । “হৃদয়-কাননে ফুটিবে ফুল, চারিদিক হ’বে সৌরভে আকুল” । এই কারণেই ঋষিগণ দূর অতীত কাল হইতে নিদ্রিত মানবকে বলিতেছেন “উঠ ! জাগ ! আত্মা ও পরমাত্মাকে দর্শন করিয়া মুক্ত ও কৃতাৰ্থ হও ।” আত্মার সমুদায় শক্তি বলপূর্বক এককালে প্রয়োগ না করিলে, উহাদের সম্যক স্ফুরণ হয় না এবং তাছা না হইলেও ব্রহ্মকে লাভ করা যায় না। উপনিষদের ঋষিগণ বলিতেছেন “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” । পুনশ্চ যে স্বরূপ সাধন করিব তাহ সত্যমূলক হওয়া আবশ্যক। . মিথ্যার