তত্ত্ববােধিনী পত্রিক
- ७ रूम, ७ डीज
اس ---صنع----- مقص --س۔ یعے S STAAA L SA SAASAASSMTMAAASSAAAAAAS S -- " *nammassa
- এস প্রভু, এস, এস, হৃদয় মাঝে, হবে শুভ নিশ্চয়।” এই বাসনা ও হৃদয়ে আসা বড় পৃথক নহে। হৃদয়ে না আসিলে, হৃদয় না আস্বাদ, না ঘ্ৰাণ পাইলে, কেন র্তাহার প্রতি উহা এত ধাবিত হইবে ?
গভীর বারিধিতে নিমগ্ন হইয়া হস্তপদ ইতস্ততঃ বলপূর্বক সঞ্চালন করিলে মৃত্যু অনিবাৰ্য্য। ইতস্ততঃ যাইলে বিপদ, স্থিরভাবে ইচ্ছা সংযত ও চেষ্টা সংযত করিয়া গন্তব্য পথে যাইতে হইবে। আত্মা স্বয়ংই আপনার “ইঞ্জিনিয়ার” । উহার ব্যাকুল ইচ্ছা থাকিলে, তৎপূরণের পথ উহ। নিজেই আবিস্কার করিবে ও খুজিয়া লইবে । যাহা যাহা করিলে উদ্দেশ্য সিদ্ধির স্ববিধা হইবে, উহা তাহাই জানিতে পারিবে ও করিবে। প্রকৃত সাধু ইচ্ছা ব্যর্থ হয় না। অশিক্ষিত বৃত্তি, ধৰ্ম্মবৃত্তিও তদ্রুপ । উহার আত্মশিক্ষাপ্রাপ্ত । সৎসঙ্গ, সংগ্ৰন্থ, সদালোচনা হইতে । সাধুমুখে এবং বিবেচনা দ্বারা লাভ করা জীবন্ত ও মৃত ব্যক্তিগণের সাধুচিন্তা, ভাব, সাধন রহস্যাদি অবগত হওয়া যায়, এবং বিবেক বৈরাগ্যাদি মহোচ্চ ভাবোদ্দীপক বাক্যগুলি আত্মার বল, স্বাস্থ্য, এবং স্ফৰ্ত্তি সম্পাদন করে। আত্মপরীক্ষাদি দ্বারা বিশেষ কল্যাণ হয়। আমাদের কি অভাব, কি পরিমাণে উহ। বিদূরিত হইতেছে, বা না হইতেছে, তৎসম্বন্ধে কি কি করিতেছি বা না করিতেছি বা করা যাইতে পারে ইত্যাকার ভাবনা দ্বারা আত্মোন্নতি ও সাধন-সোপানে আরোহণের সম্যক সহায়তা লাভ করা যায় । লক্ষ্য স্থির হওয়া আবশ্যক । “আমরা কি চাই’ স্থির হইলে, কোন পথে, কোন উপায়ে উহ লাভের সহায়তা ও সুবিধা ক্ষুৎ পিপাসাদি । হইবে স্থির করিয়া, লক্ষ্যের প্রতি দৃষ্টি বদ্ধ রাখিয়া অবিচলিত ভাবে পদসঞ্চালন করিতে হইবে ; নচেৎ ইতস্ততঃ ভ্ৰাম্যমান ব্যক্তি কখনই গন্তব্য স্থলে উপনীত হইবেন না, বরং কাসী গমনের উদ্দেশে নিক্রান্ত হইয়া মক্কাধামে যাইয়া উপস্থিত হইবেন । এই ত গেল অতিশয় সঙ্ক্ষেপে সহজ ও প্রকৃত অধ্যাত্ম যোগ সাধনের সম্বন্ধে কয়েকট মাত্র মোটামুটি কথা। ইহার মূল আত্মা ও আত্মজ্ঞানে, কিন্তু শাখা জীবনের প্রত্যেক বিভাগের উপর। “সাধন এই কথাটীর আদি, মধ্য ও অন্ত্য অক্ষর কি, যদি কেহ জিজ্ঞাসা করেন তবে বলি “চরিত্র, কর্তব্য ও আত্মবশীকরণ।” প্রকৃতিস্থ আত্মার পক্ষে এই সমুদায় স্বাভাবিক কাৰ্য্য, সাধনের বস্তু নহে । কিন্তু আমাদের আত্মা বিকৃত, অতএব প্রথমতঃ উহাকে প্রকৃতিস্থ করা প্রয়োজন । উছার প্রকৃষ্ট উপায় বহুতর সদগন্থে ও যায় বটে, কিন্তু সাধন-প্রবীণ ব্যক্তিগণই শ্রবণাদি ও পরীক্ষাদি দ্বারা উহ। উত্তম রূপ জানেন । আমাদের লক্ষ্য উচ্চ হওয়া চাই, কখনই নীচ হওয়া উচিৎ নহে। যদি আমাদের চরিত্র মৌলিক না হয়, তাহা হইলে কোন আদর্শ-চরিত্র সম্মুখে রাখিয়া তাহার নকল করিতে হইবে । ইহাতে কল্যাণ ব্যতীত অকল্যাণ সম্ভব নহে। পাপ হইতে মুক্তি কামনা করিবার, অজ্ঞানতিমির হইতে উত্তীর্ণ হইবার, এবং জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই সেই উত্তম পুরুষের সহিত নিত্যযোগে মিলিত হইবার বাসনা, আকাঙ্ক্ষা, পিপাসা ও অtশা করিবার অধিকার প্রত্যেক মানবেরই থাকা উচিত এবং আছে। এই
