পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

<त्रौष s४०e করিয়া তাহার অপেক্ষায় নিশি দিন বসিয়া আছ—কিন্তু তিনি আসিলেন না। তিনি । বলিয়াছেন “অমুক না তোমাকে দেখাইতে ইচ্ছ। করিলে, দেখা পাইবে না— বৃথাই তোমার শ্রম ও প্রার্থনা” । না,তিনি কদাচই এপ্রকার বলিতে পারেন না—ইহা তাহার প্রকৃতি ও অভ্যাস নহে। তিনি যদি না বলিয়া থাকেন, তবে ইহা তোমার অন্তরস্থ পাপ (সয়তান) বলিয়াছে । ইহা সয়তানের প্রবঞ্চনা বাক্য—পাপের প্রলোভন—আন্তরিক যোগ-বিভীষিকা, যোগ-অন্তরায় । উহা ভণ্ডের কথা—মিথ্যাবাদী প্রবঞ্চকের কথা—অথবা আত্মপ্রতা রিত ব্যক্তির বাক্য । ব্রাহ্মগণ ! Beware of the lèaven of the pharisees” —ইহঁাদের অবি শ্বাস রূপ কুষ্ঠব্যাধির মারাত্মক স্পর্শ হইতে আত্মাকে যত্ন পূর্বক রক্ষা করিতে সযত্ন হউন। ব্রাহ্মগণই যদি এইরূপ কথা বলেন ও এইরূপ কাৰ্য্য করেন, তবে অন্যে পরে ক৷ কথা ? “বিনা প্রেমসে নাহি মিলে নন্দলালা”—গুরুই বলুন, তৎপ্রদত্ত মেস্মেরিক্ শক্তিসঞ্চারই বলুন আর যাহাই বলুন—অন্য কিছুতেই তাহাকে পাওয়া যাইবে না। র্তাহাকে লাভের পথ ক্ষুরধার সদৃশ অতি দুৰ্গম,—যদি দেখিতে হয়, দেহ মন প্রাণ ও অাত্মাকে কোমর বঁাধিয়া লাগিতে হইবে, জানিয়া শুনিয়া সাবধানে চলিতে হইবে। যদি আমি র্তাহাকে চাহি, আমাকেই চেষ্টা করিতে হইবে। আত্মাই আত্মার সতত বন্ধু। গুরু । সকল বিষয়েই গুরু অর্থাৎ শিক্ষক প্রয়োজন । চিরকালই গুরুবাদ চলিয়া অসিতেছে—কিন্তু বিভিন্নাকারে । মহাজনেরাও গুরু করিয়াছিলেন—অনে কট সামাজিক অনুষ্ঠান বলিয়া—কতকটা । জনশিক্ষার্থে প্রচলি ত প্রথার প্রতি ভক্তি যোগ ও ব্ৰাহ্মসমাজ ృN)\లి প্রদর্শনের জন্য । তাহারা যে সময়ে জন্মিয়াছিলেন সে সময়ে সৰ্ব্ববিধ জ্ঞান দুর্লভ ছিল, বর্তমানের ন্যায় পুস্তকাদির প্রচার ছিল না। তখন কোন রূপ জ্ঞানের স্রোত সমাজে বহিত না । কার্য্যতই জ্ঞানপিপাসুকে ব্যক্তি বিশেষের শরণাপন্ন না হইলে চলিত না কিন্তু এখন ঠিক্‌ আর সে কাল নাই । মহাজনেরা এক হইতে আরম্ভ করিয়া র্যাহারই নিকট কিছু শিক্ষা পাইতেন,তাহাকেই গুরু করিতেন, গুরু বলিয়া স্বীকার করিতেন ; যথা, চৈতনা দেব প্রায় ত্ৰিশটা গুরু,বুদ্ধদেব বহু গুরু স্বীকার করিয়াছিলেন এমন কি যীশুর দীক্ষাদাতা বৃদ্ধ John শিষ্যকে বলিয়াছিলেন “আমিই তোমার নিকট দীক্ষার ভিখারী।” যীশু বলিয়াছিলেন “এখন এইরূপই হইতে দেন।” অর্থাৎ এখন আমিই আপনার শিষ্য হই ইত্যাদি । আর ও আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে বুদ্ধদেব তদগুরুদন্ত বুজরুকিময় পথ পরিত্যাগ করিয়া সিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন এবং ঐ পথের ব্যর্থতা ও অনাবশ্যকতা স্বীকার করিয়াছিলেন । যোগসম্প্রদায়ের পরম ভক্তিভাজন এক ব্যক্তি অামাকে বলিয়াছিলেন “গুরু না হইলে চলিবে না । তিনি দয়াপরবশ হইয়া ব্যাকুল ও দুর্বল আত্মায় শক্তি সঞ্চার করেন ও সাধনের ক্ষমতা এবং উপযুক্ত মন্ত্রাদি দান করেন” ইত্যাদি। আমি বলিলাম “ঈশ্বর কি দয়াময়, শক্তিময় ও জ্ঞানময় বটেন’ ? তিনি বলিলেন, “ই। বটেন বৈ কি ৷” আমি—“তবে যদি, গুরু দয়াবশতঃ *द्धि ऐङग्नॉनि नांन कब्रिग्रां यूख्रि ७ खन्नाদর্শন লাভের সাহায্য করেন ও করিতে পারেন, তবে কি যিনি দয়াময়, জ্ঞানময় ও