পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb,~$ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ואיש 9י 6יף ,9יכ ইছার মধ্যে একমাত্র শাস্তিস্থল ঈশ্বর । তিনি এই হৃদয়রূপ নিভৃত স্থানে স্বাক্ষী স্বরূপ থাকিয়া আমাদের সুখদুঃখ সমস্তই প্রত্যক্ষ করিতেছেন। আমরা ভ্ৰমিচক্রে দিকৃভষ্ট হইলে তাহার ঘন ঘন আহবানধ্বনি শুনিতে পাই । পাপের বৃশ্চিকজ্বালায় অস্থির হইলে তিনি সাম্ভনা করেন। হৃদয়ের সমস্ত গুঢ় বেদন জানাইলে তিনি তাহা শুনেন । ভক্তির সহিত প্রীতিপুষ্প অপণ করিলে তিনি তাহা গ্রহণ করেন এবং আশবদ বাক্যে আমাদের সহিত আলাপ করেন। আমাদের এই যে হৃদয়ব্যাপার ইহার অনুসরণেই বুদ্ধির তৃপ্তি বুদ্ধি ও হৃদয় ইহার অন্যতরের অভাবে হয় অমানিশার অন্ধকার নয় মরুভূমির শুষ্কতা । বাহ্য জগতে প্রকৃতি পুরুষ অন্তর্জগতেও প্রকৃতি পুরুষ । ইহার একটর অভাবে স্বষ্টির বিলোপই সম্ভব । যিনি অপক্ষপাতে এই উভয়কে রক্ষা করেন ধৰ্ম্মজগতে র্তারই পদ অটল । আজ যে স্থানে আমরা মিলিত হই- , য়াছি ইহা এক জন মহাজ্ঞানী মহাযোগীর সাধনস্থান। ইহার চতুর্দিকে বিস্তীর্ণ প্রা- ৷ স্তর, উৰ্দ্ধে অনন্ত আকাশ । সুশীতল প্রভাতিক বায়ুর মৃদুমন্দ হিল্লোল, ফলপুষ্পপূর্ণ আশ্রমবৃক্ষে পক্ষিগণের মধুর কলরব, তরুণ সূর্য্যের সিন্দর রাগ এই স্থানকে অধিকতর রমণীয় করিয়া তুলিয়াছে। এই অনুকূল স্থানে সেই মহাযোগী যোগসিদ্ধ হইয়াছিলেন । র্তাহার পরিগৃহীত বলিয়া এই স্থানের এত মাহাত্ম্য এত পবিত্রত । অtশ্রমের এই স্বভাবসুন্দর ভাব আজ আমাদের হৃদয় মনকে প্রসারিত করিয়া তুলিতেছে । আমরা ংসারের বিষদাঁহে অস্থির হইয়াছিলাম আজ এখানে আসিয়া শান্তি পাইলাম, | ঘাটিত হইল । =ജ হৃদয়েশ্বরকে হৃদয়রাজ্যে লাভ করিয়া আরাম পাইলাম । জগদীশ্বর, আমরা যদিও দিশাহার কিন্তু তুমি আমাদের ধ্রুবতারা । তুমি স্বরূপত কি তাহা না বুঝি কিন্তু তুমি কোটি সূৰ্য্যপ্রকাশে আমাদের অন্তরে বিরাজিত আছ । যখন তোমার প্রতি চাহিয়া দেখি তখন চক্ষু তোমার জ্যোতি সহিতে পারে না কিন্তু হৃদয় শীতল হয় । নাথ ! আমরা তোমার দীন হীন মলিন সন্তান, তুমি আমাদিগকে পরিত্যাগ কর নাই, আমরাও যেন তোমাকে পরিত্যাগ না করি । এই অামাদের প্রার্থনা । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । তৎপরে শ্ৰীযুক্ত চিন্তামণি চট্টোপাধ্যায় সময়োপযোগী হৃদয়স্পশী নিম্নোক্ত এই উপদেশ দিলেন । দিবা রাত্রি পক্ষ মাস বর্ষা বসন্তের ংঘর্ষে পূর্ণ এক বৎসর কাল চলিয়া গেল। শান্তি নিকেতনের উৎসব দ্বার আজ আবার দীনদরিদ্র পাপী তাপী সকলের জন্য উৎবাহিরে ব্রহ্মনামের উচ্চ কলরবে এই বিশাল প্রান্তর প্রতিধ্বনিত হইল, অন্তরে যোগানন্দ প্রেমানন্দের উৎস উৎসারিত হইয়া হৃদয়দেশ প্লাবিত করিয়া দিল । আরণ্যক ঋষিগণ পরিসেবিত অরণ্যের ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আজ বহুশতাব্দীর পরে বিজন প্রান্তরে পরিসেবিত হইল। এখানে আমরা ব্রাহ্মধৰ্ম্মের স্বগীয় মর্য্যাদা প্রকৃত গাম্ভীৰ্য্য সুস্পষ্ট অনুভব করিতেছি । নগর গ্রামে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সেবায় আমরা যে আনন্দলাভ করিয়াছি, আজি ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রকৃত আকর স্থানে এই নির্জন আশ্রমে তাহা হইতেও উন্নততর-পবিত্রতর—