পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাঙ্কল ১৮১৫ চতুঃষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ S 0్ఫ ব্যক্তির আত্মাতে যখন প্রীতি সমাহিত ভাবে অবস্থান করে তখনই সে শ্রদ্ধা শবেদর বাচ্য হয় । শ্রদ্ধা অামাদের অন্তশ্চক্ষুকে প্রস্ফুটিত করে ও তাহাতে আমাদের দিব্যজ্ঞান জন্মে। এই দিব্যজ্ঞানের প্রভাবে আমাদের আত্মা বৈষয়িক পরিমিত-সঙ্কীর্ণ অপূর্ণ ভাব হইতে অপরিমিত অসীম পূর্ণের ভাব বুঝিতে পারিয়া অনন্ত উন্নতির দিকে স্বভাবতই উত্থিত হইবার চেষ্টা করে । সেই সত্যের প্রস্রবণ এক মাত্র বরেণ্য ধ্রুব মঙ্গলের প্রতি তাহার অনুরাগ ও দৃষ্টি নিবদ্ধ হইয়া যায়। সেই অসীম মঙ্গল স্বরূপই আমাদের অনন্তকালের আদর্শ । যখন সেই অসীম মঙ্গল স্বরূপে আমাদের দৃষ্টি স্থির হয় তখন আর পৃথিবীর কোন পরিমিত আদর্শকে অনু যখন আমরা বুঝিতে পারি যে, পরলোকের সঙ্গে আমাদের আত্মার যোগসূত্র বিস্তৃত রহিয়াছে এবং দেবলোকের পর দেব লোক, উন্নত লোকের পর উন্নত লোক সকল আমাদের আত্মার উন্নতি পথের এক একটি পান্থনিবাস বিদ্যমান রহিয়াছে, তখন আর এই মর্ত্যলোকে থাকিয়া আমরা কোন রূপেই তৃপ্তিলাভ করিতে পারি না । অনন্ত উন্নতিশীল অাত্মার আদর্শ সেই অনন্ত সৌন্দর্য্যের সাগর श्रमख उश, श्झ श्रांशां८लद्र श्लcग्न शूझिङ হইয়া আছে। ঈশ্বর সত্যের পরম নিধান । যখন র্তাহাকে আদর্শ করিয়া আমাদের হৃদয়ে সত্যের প্রস্রবণ প্রমুক্ত হয়, তখন আমাদের পক্ষে সত্যাসত্য, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম ও কর্তব্যাকর্তব্য অবধারণ করা সহজ হইয়া পড়ে। র্তাহাকে আত্মাতে একবার দর্শন করিতে পারিলেই আমরা ভঁাহাকে সৰ্ব্বত্র দেখিতে পাই । আমরা বনে বা নগরে, পৰ্ব্বতে বা সমুদ্রে যেখানেই থাকি তাহtকেই আমাদের সঙ্গে বিদ্যমান দেখি ও র্তাহার অপর করুণার উপরে বিশ্বাস স্থির রাখিয়া এই ভয়াবহ সংসারে নিৰ্ব্বিত্বে ধৰ্ম্মাচরণ করিতে পারি । ঈশ্বরের মঙ্গলময় ইচ্ছাতে আমাদের ইচ্ছাকে যুক্ত করিতে পারিলে অতি সহজেই ধৰ্ম্ম কাৰ্য্য সকল সম্পাদিত হয়। র্তাহার মঙ্গল ইচ্ছার প্রতি আমাদের সমুদায় জীবনে; কাৰ্য্য স্থির রাখিয়া চলিলে আমরা অকুতোভয়ে ধৰ্ম্মের উচ্চতয় সোপানে উথিত হইতে পারি। তখন আম৷vদর শোক দূর হয়, ঃখ দূর হয়, ভয় দূর হয়, এবং সকল একার পাপ মলিনতা প্রক্ষালিত হইয়। র্তাহার প্রতি আমাদের হৃদয়ের কৃতজ্ঞতার উৎস উৎসারিত হইতে থাকে । করণ করিয়া আমাদের তৃপ্তি হয় না । । প্রীতি ও শ্রদ্ধারই এই দুই মহদ্ভাব— এক সংসারকে মধুময় করে অন্যটি আ ত্মাকে পরিশুদ্ধ করে । অদ্য আমাদের এই দুই ভাবই জাগ্রত হইয়াছে। অামা দের পরমারাধ্য অনন্ত পরব্রহ্মের নিৰ্ম্মল পূজা যে শুভ দিনে এই বঙ্গদেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল অদ্যকার প্রভাত কিরণ সেই দিনেরই উষার ধবল কিরণ । আমাদের হৃদয়-সখী ও অনন্তকালের সহায় সেই পরব্রহ্মের মঙ্গলময় প্রেমময় নাম অদ্যকার শুভ্ৰ আলোকে আমরা সৰ্ব্বত্র অঙ্কিত দেখি । আজ আমাদের চক্ষে স্বর্গ মর্ত্যের ভেদ নাই । যে আনন্দবীণ৷ অমরলোকে চিরদিন ব্রহ্মযশ ঘোষণা করে, তাহা আমরা এখানেই শ্রবণ করিতেছি । আজ বিশ্বস্রষ্টার বিশ্বব্যাপী প্রেমের দ্বার উদঘাটিত হইয় গুরু লঘু ভেদ ঘুচাইয়া দিয়াছে। দেখিতেছি কেবল স্নেহপ্রীতির একাকার, জ্ঞান বৈরাগ্যের সমাবেশ, আশা শান্তি ও মঙ্গলের