পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांसुन १vsé _றம் তরুণ অরুণের রক্তিম কিরণের ন্যায় দিকৃষিদিক্‌ আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিতেছে, নগর গ্রাম পৰ্ব্বত পাথার অতিক্রম করিয়া দেশবিদেশ প্লাবিত করিতেছে । তথাপি এখনও ব্রাহ্মধৰ্ম্মের শৈশবাবস্থা । যখন পূর্ণ যৌবনে মধ্যান্ধুের আলোকে ইহা বিকশিত হইবে, তখন না জানি কি অনুপম মাধুরী—কি পবিত্র শান্তি এখানে বিরাজ করিতে থাকিবে, দেবলোকের মলয় হিল্লোলে কত না স্বগের পারিজাত এই অধোলোকে ফুঠিয়া উঠিবে। কি জ্বলন্ত আশ৷—কি উজ্জ্বল ভবিষ্যত অামাদিগের সম্মুখে । আজ কত শত হৃদয়ের উচ্ছাস, প্রীতি ভক্তি কৃতজ্ঞ তার স্রোত ঈশ্বরের চরণের দিকে খরবেগে ছুটিতেছে । ঈশ্বরের পূজাৰ্চনা যাহাদের নিত্যব্রত ; চতুঃষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ত্রিসন্ধ্য। প্রতি সপ্তাহে ব্রাহ্মসমাজে আসিয়া তা- ৷ হাতে মন সমাধান যাহাদের নৈমিত্তিক সাধনা, সম্বৎসর কাল ধরিয়া যাহারা আদ্যকার দিবসের জন্য প্রতীক্ষা করিতেছিলেন র্তাহারাই এই উৎসব তামোদ উপভোগের প্রকৃত অধিকারী। যিনি সকল জগতের সম্ভজনীয়, যিনি এই উৎসবক্ষেত্রের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা, তাহাকে আজ এখানে সকলে সন্দর্শন কর, তিনি আমাদের প্রীতিপূজা গ্রহণের জন্য বিদ্যমান । এস ভগবভক্ত সাধুসজ্জন, এস দেশ বিদেশস্থ ব্রাহ্ম ভ্রাতৃবর্গ, এস অমৃতধামের যাত্রীগণ ; এস আমরা সকলে মিলিয়৷ সেই পরমপিতার সম্মুখে দণ্ডায়মান হই, ব্ৰহ্মতেজে অন্তর্দেশ জ্যোতিষ্মান করিয়া তুলি, প্রজ্জ্বলিত আনলের ন্যায় তাহাকে সম্মুখে দেদীপ্যমান দেখিয়া, এস এই শুভ লগ্নে শ্রদ্ধাভক্তির পূর্ণাহুতি র্তাহার চরণে অপণ করি । এস এতগুলি হৃদয় Տ s(t সম্মিলিত হইয়া তাহার নিকট দেবপ্রসাদ ভিক্ষা করি । ভ্রাতৃগণ ! যদি পাপে আপনাকে কলুষিত করিয়া থাক, তথাপি তোমাদিগের ভয় নাই, সেই অভয়দাতা মৃতসঞ্জীবন ঔষধ লইয়া আজ তোমাদের সম্মুখে । যদি শোকতাপের কঠোর অাঘাতে আত্মহারা হইয়া থাক, প্রকৃতিস্থ হও, পরমমাতা আজ তোমাদের শোকাশ্ৰী মার্জন করিলেন । বিষয়মোহে অন্ধ হইয়া যদি কর্তৃপাজ্ঞামকে বিসর্জন দিয়া থাক, তথাপি নিরাশ হইও না, সেই জ্যোতিৰ্ম্ময় বিধাতা তোমাদের জ্ঞান চক্ষুকে প্রস্ফুটিত করিয়া দিবেন। যদি শতবার বিপথে পদাপণ করিয়া ধৰ্ম্ম ঈশ্বর হইতে পরিভ্রষ্ট হইয়া থাক, ঈশ্বরের মধুর তাহানে তাহার দিকে ফিরিয়া চাহ, তিনি আজ অভয় দান করিবেন, তোমাদের মরুময় আত্মাতে অমৃতবারি সেচন করিয়া স্বগীয় কুসুমের বীজ সেখানে বপন করিবেন । ভয় নাই, পাপী তাপী সাধু অসাধু দীন দরিদ্র, আজ তোমাদের সকলের জন্য তিনি র্তাহার উদার ক্রোড় প্রসারিত করিয়া দিয়াছেন,শান্তি-সরোবরের দ্বার সকলের জন্য উদঘাটিত করিয়াছেন । একবার সেই অমৃতসাগরের মৃদুহিল্লোল স্পর্শ করিয়া, মৃতপ্রায় অসাড় আত্মার স্বাস্থ্যবিধান কর । শান্তি সলিলে অবগাহন করিয়া সংসারের জ্বালা যন্ত্রণা বিদূরিত কর। করুণানিধান ! এই উৎসবক্ষেত্রে তোমার নিকটে আমরা কি প্রার্থনা করিব । তুমি ত চাহিবার কিছু রাখ নাই । চন্দ্র সূৰ্য্য গ্রহ তারা বায়ু বৃষ্টি ওষধি বনসম্পতি অজস্রধারে তোমার প্রসাদ নিত্য পরিবেশন করিতেছে, জনকজননী, ভ্রাতা ভগিনী স্ত্রী পুত্র, তোমার আদেশে প্রেম