পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९९९ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १० कझ, ७ छनि _ - ----- অপরিবর্তনীয় ধ্রুব সত্যের দিকে চক্ষু ফিরায়, তখন সেই প্রেমময় পিতা আtজ্বাকে আপনার সুশীতল ক্রোড়ে তুলিয়া অমৃতবারিতে অভিষিক্ত করেন । আত্মা অতৃপ্তি ও অশান্তির মধ্যে নিমগ্ন থাকিলেও মধ্যে মধ্যে তৃপ্তির আলয় ও শান্তির অাকর পরমাত্মার দর্শন পাইয়াই বাচিয়া আছে । পরমাত্মদর্শনই অtত্মার অমৃতবারি । পরমাত্মার প্রতি আত্মার এক স্বাভাবিক অাকর্ষণ অাছে । বিষয়সুখ প্রভৃতি নানাপ্রকার প্রলোভন আসিয়া যদিও অধিকাংশ সময়েই এই আকর্ষণকে বিচ্ছিন্ন করিতে চেষ্টা করে, তথাপি আত্মা সময়ে সময়ে সে সমস্ত দূরে নিক্ষেপ করিয়া সেই ধ্রুবসত্যকে দেখিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠে এবং এই ব্যাকুলত৷ গভীর হইলে সত্যস্বরূপও আসিয়া দেখা দেন। আত্মা যদি সেই শান্তিনিলয় পরমেশ্বরের পবিত্র মূৰ্ত্তি মুহূর্তের জন্যও সন্দশন করে, তখন আর সে স্থির থাকিতে পারে না, শত সহস্র প্রলোভনও তখন তাহাকে তাহা হইতে বিচ্ছিন্ন করিতে পারে না ; তখন সে মাতৃহারা বৎসের স্যায় ছুটিয়া তাহার নিকটে উপস্থিত হয় এবং তাহাকে আন্তরিক প্রেমোচ্ছাসের সহিত বলিতে থাকে “হরি তোমা বিনা কেমনে এ ভবে জীবন ধরি 5 ংসার সাগর মাঝে তুমি হে তরি । তোমারে যখন পাই আঁধারে আলোক পাই, o নিমেষে হৃদয়তাপ সব পাশরি।” ” আত্মা ব্যাকুল হইলে অমনি পরমাত্মা তাহাকে ক্রোড়ে তুলিয়া লয়েন। পরমাত্মা আত্মার আত্মা ; প্রকৃতই পরমাত্মার সহিত আত্মার এক বিশেষ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ - অাছে । καμπή» এই সম্বন্ধের রিষয়ে গীতা বলিতেছেন “পিতেব পুত্রায়, সখেব সখুঃি, প্রিয়ঃ প্রিয়ায়” পিতার সহিত পুত্রের যে সম্বন্ধ, সখার সহিত সখার যে সম্বন্ধ, প্রিয়জনের সহিত প্রিয়জনের যে সম্বন্ধ, পরমাত্মার সহিত আত্মার সেই সম্বন্ধ । আত্মা गृश्य পাপে পাপী হইলেও সেই দয়াময় পিতা তাহাকে ত্যাগ করেন না । আত্মা যদি র্তাহার দিকে এক পদ অগ্রসর হয়, তিনি সহস্রপদ অগ্রসর হইয়া তাহাকে পাপতাপ হইতে উদ্ধার করেন । ইহা কেবলি কথার কথা মাত্র নহে, ইছা প্রত্যক্ষ সত্য । পরমাত্মার ইহাই ইচ্ছা যে পথভ্রষ্ট আত্মা স্বয়ং তাহার মঙ্গলপথে ফিরিয়া আইসে । আত্মা যখনি ব্যাকুলতার সহিত র্তাহাকে ডাকে, তখনি তিনি তাহাকে দেখা দেন, মুহুর্তের জন্যও স্থির থাকিতে পারেন না । এই অবস্থায় পরমাত্মা আত্মার নিকট স্বপ্রকাশ । তখন আর আত্মাকে বলিয়া দিতে হয় না যে পরমাত্মা কে, তাহার স্বরূপ কি ! শত সহস্ৰ গাভীর মধ্য হইতেও মাতৃহারা বৎস যেমন আপন মাতাকে চিনিয়া লয়, সেইরূপ আত্মাও পরমাত্মার দর্শন পাইলে একেবারেই তাহাকে চিনিয়া লয়। তখন সহস্ৰ নাস্তিকের তীক্ষ্ণবুদ্ধি তাহার নিকট তুচ্ছ পদার্থ হইয়া যায়। সে, মহান আনন্দস্বরূপের সাক্ষাৎ পাইয়া আনন্দে ভাসিতেছে কুতাকিকদিগের সহস্র তর্কজাল আর তাহার নিকট হইতে র্তাহার জ্বলন্ত সত্তাকে আবরণ করিতে পারে না। ব্রহ্মানন্দ উপলব্ধি করিবার কালে আত্মা যেমন নাস্তিকের তর্করাশি দূরে নিক্ষেপ করে, সেইরূপ পণ্ডি তন্মন্য ব্যক্তিদিগের ঈশ্বরের স্বরূপ নির্ণায়ক তর্করাশিও দূরে পরিত্যাগ করে। সেই আত্মা অন্য কাহারও নিকট কিছুই শুনিতে চায় না,