পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

פ צשג ה)fזהש হাসাম্পদ হইতে হয় । তুমি মৰ্য্যাদা রক্ষা করিলে দেখিয়া অামি আনন্দ লাভ করিলাম, তুমি এরূপ না করিলে আর কে করিবে ?” এই বলিয়া শ্রীচৈতন্য কণ্ডুরস-শোণিতাক্ত সনাতনকে পুনঃ পুনঃ প্রেমালিঙ্গন দান করিলেন । সনাতন ব্রাহ্মণকুলে জন্মিয় যবনের দাসত্ব জন্য তৎসাময়িক হিন্দুসমাজে প তিতবৎ থাকিলেও তাহার নির্ম-স্বভাব । জ্ঞান বৈরাগ্য ভগবমিষ্ঠা বশত সকলেই । তিনি এ গৌরবস্তুতিরূপ নিম্ব-নিষিন্দা-রস দিতেছ ; রূপ ক্ষুদ্রচেতা ছিলেন না যে এজন্য ; আজিও আমাকে তোমার আত্মীয় জ্ঞান গৰ্ব্বিত হইয়া অন্যের মর্য্যাদাভঙ্গ করি- ; র্তাহাকে শ্রদ্ধাভক্তি করিত । বেন। বরং তিনি ভক্তগণের এতাদৃশ শ্রদ্ধা ভালবাসা এবং গৌরচন্দ্রের প্রেম : আলিঙ্গন ও র্তাহার প্রশংসার উৎপীড়নে । উৎপীড়িত হইয়া আপনার হীনতা অনু- | ভব করত নিরতিশয় কুষ্ঠিত হইয়া পড়িতেন। সাধুচরিত্রের লক্ষণই এইরূপ । একদিন সনাতন অতি নিৰ্ব্বিগ্নচিত্তে জগদানন্দ পণ্ডিতকে বলিলেন, “আমি প্রভুকে দর্শন করিয়া দুঃখ দূর করিতে এখানে আসিলাম, এখন দেখিতেছি হিতে বিপরীত হইল। আমি অতি নিকৃষ্ট পামর, নিষেধ না মানিয়া প্রভু আমাকে আলিঙ্গন করেন, আমার কণ্ডুরক্ত রস প্রভুর অঙ্গে স্পর্শ হয়, এই মহা অপরাধে আমার আর নিস্তার নাই । কি করিলে হিত হয় কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না।” সনাতনের আন্তরিক গ্লানি দুঃখ দেখিয়া জগদানন্দ বলিলেন, বৃন্দাবনই তোমার যোগ্য বাসস্থান। রথযাত্রা দেখিয়া সেইখানে গমন কর । প্ৰভু তোমাদের দুই ভাইকে ঐস্থান নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন । জগদানন্দের। পরামর্শ শ্রেয়ঃজ্ঞান করিয়া সনাতন গৌরকে একদিন তাহা জ্ঞাপন করি চৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ ృ్ఫ్ఫ লেন। তচ্ছ বণে গৌরচন্দ্র ক্রুদ্ধ হইয়া জগদানন্দকে তিরস্কার করিয়া বলিতে লাগিলেন, “কি ! ব্যবচার ও পরমার্থে তুমি তার গুরুতুল্য ব্যক্তি ; কালিকার জগা আপনার মূল্য না জানিয়া তোমাকে উপদেশ দেয়, এ অতি আশ্চৰ্য্য ! শ্রবণ করিয়া সনাতন বলিলেন, জগদানন্দের সৌভাগ্য আমি আজ জানিলাম। তুমি তাহাকে আত্মীয় জ্ঞানে শাসনচ্ছলে “অাত্মত। সুপারস’ পান করাইয়। আমাকে হইল না, ইহাই আমার মহা দুর্ভাগ্য । সনাতনের বাক্যে চৈতন্য প্রভু কিঞ্চিৎ লজ্জিত হইয়া বলিলেন, “সনাতন, জগদানন্দ তোমা হইতে আমার প্রিয় নয়। তুমি এক জন শাস্ত্ৰদশী প্রবীণ পণ্ডিত, কতস্থানে তুমি আমাকে ভক্তিতত্ত্ব বুঝাইয়া দিয়াছ ; বালক জগ তোমার মর্য্যাদা লঙ্ঘন করিয়া তোমাকে উপদেশ দেয় ইহা অামার অসহ্য । | মার নিকট অমৃততুল্য ও অপ্রাকৃত । তোমার দেহ অt প্রাকৃতবুদ্ধি করিয়া তুমি তাহা য়ণা কর । আমি সন্ন্যাসী, পঙ্ক চন্দনে সমদৃষ্টি আমার ধৰ্ম্ম । তোমাকে ঘৃণা করিলে আমার ধৰ্ম্ম নষ্ট হয়।” ইহা শুনিয়া হরিদাস বলিলেন, তোমার এ প্রতারণা বাক্য আমি মানি না । অামার ন্যায় অধম পাতকীকে যে তুমি চরণে স্থান দিয়াছ, ইহাতে তোমার দীন দুঃখীর প্রতি দয়াগুণই প্রকাশ পাইয়াছে । চৈতন্যদেব ঈষৎহাস্য করিয়া বলিলেন, হরিদাস সনাতন, তবে প্রকৃত কথা বলি শ্রবণ কর । আমি তোমাদিগকে সন্তানের ন্যায় স্নেহ করি। মাতা যেমন সন্তানের মলমূত্ৰদূষিত অঙ্গ বক্ষে ধারণ করিয়া সুগভীর