পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ها و بعاد ۴: ff ، রাজা রামমোহন রায় ১২৯ ஆக হইতেছে, পাছে দীর্ঘকায়-ব্যক্তি-লভ্য ফলের প্রতি আসক্তচিত্ত বামনের ন্যায় আমার অক্ষমতা বশতঃ উপস্থিত সভ্যমণ্ডলীর নিকট উপহাসভাজন হইয় পড়ি । কিন্তু এই ভয়ের কারণ সত্তেও যে এখানে । দণ্ডায়মান হইতে সাহসী হইয়াছি, তাহার কারণ এই যে, আজ এমন একটী দিন যে দিন প্রতি বঙ্গবাসীর, কেবল বঙ্গবাসীৰ । কেন, সমস্ত ভারতবাসীর, সেই মহাত্মার জন্য শোক প্রকাশ করা কর্তব্য, র্যাহার রোপিত বৃক্ষের সুশীতল ছায়াতে আমরা সকলেই বিশ্রাম লাভ করিতেছি এবং যাহার ভস্মাবশেষ শতযোজন দূরে থাকিয়া ইংলণ্ডকে আমাদিগের তীর্থস্থানরূপে নির্দেশ করিতেছে । একবার ভাবিলেই হৃদয় দুঃখে ভরিয়া যায় যে, সে মহাত্মা আর নাই, যে মহাত্মার সাধনার বলে আমরা বর্তমান সৌষ্ঠবসম্পন্ন বঙ্গভাষার বীজ প্রাপ্ত হইলাম ; র্যাহার সাধনার বলে হিন্দুকলেজ প্রতিষ্ঠিত হইয়। বর্তমান যুগের উথানশীল কৃতবিদ্য সম্প্রদায়ের জন্মদান করিয়াছে ; র্যাহার সাধনায় নিষ্ঠুরতম সতীদাহ উঠিয়া যাওয়াতে কত ধৰ্ম্মপরায়ণ বিধবা মাত, পিতার শোকে শোকাৰ্ত্ত পুত্রদিগকে জ্ঞানধৰ্ম্মে উন্নত করিতে সক্ষম । হইতেছেন এবং সেই মহাত্মারই যত্ন ও পরিশ্রমের ফলে আমরা আমাদিগের সেই পুরাতন আনন্দ স্বরূপ ব্ৰহ্মকে লাভ করিতে পারিয়াছি। এমন হিতৈষী বন্ধুর মৃত্যুতে কোন ভারতসন্তান, ভারতরমণী শোকসন্তপ্ত-চিত্ত না হইয়া থাকিতে পারিবেন ? সেই শোক প্রকাশ করিবার জন্য আজই উপযুক্ত দিন ; তাই শত উপহাসের নিৰ্ম্মম কটাক্ষের ভয় সত্তেও আজ এই শোকের দিনে তাহার জীবনের দু-একটা কথা মাত্র, র্তাহার নানা গুণের মধ্যে দু একটা গুণের MS MAAASSLLL SAAAAS বিষয় মাত্র, উপস্থিত বন্ধুবান্ধবের সহিত আলোচনা করিয়া আমার জীবনকে শীতল করিতে এবং সঙ্গে সঙ্গে উন্নত করিতে ইচ্ছা করিতেছি । রামমোহন রায় একজন বড় লোক ছিলেন–র্তাহার সম্বন্ধে কেবল মাত্র এই কথা বলিলেই যথেষ্ট হয় না। এই কথা বলিবার সময় আমাদিগের একবার অনুধাবন করিয়া দেথা ত্যাবশ্যক যে তিনি কত বড় লোক ছিলেন । আজ কালও তো অনেক বড় লোক আছেন, কিন্তু র্তাহার সঙ্গে তুলনা করিলে তাহারা অনেকেই পশ্চাতে পড়েন । কেন ? কারণ অতি সামান্য—যে ব্যক্তি যতটা হৃদয়ের প্রকৃত উদারতা ও আন্তরিক স্বার্থত্যাগ প্রদর্শন করিতে সক্ষম হইয়াছেন, সেই ব্যক্তি ততটা মহৎলোক স্বার্থত্যাগই মহত্ত্বের পরিমাণ । একবার সেই সময়কার অবস্থা ভাবিয়া দেখুন, চারিদিকে কুসংস্কারের রাজত্ব ; কেবল দলাদলি ও গালাগালি ; লেখা পড়ার মধ্যে জমিদারী সেরেস্তার কার্য্য করিবার জন্য গুরু মহাশয়ের নিকট কড়াঙ্কে শতকে প্রভৃতি বিদ্যার দু-একটী কথা মাত্র শিখিলেই যথেষ্ট মনে হইত ; আবালবৃদ্ধ সকলেই অtলস্তে কাল হরণ করিয়া অত্যন্ত অtমোদ লাভ করিত ; বৃদ্ধেরা হয়তো পাশ। প্রভৃতি খেলাইয়া বৃথা আমোদে সমস্ত বেলা কাটাইলেন, যুবকেরা সেই সময় নিজেদের দায়িত্বজ্ঞানরহিত হইয়া ঘুড়ি-উড়ান, বুলবুলির লড়াই প্রভৃতি অতি জঘন্য আমোদে সময় অতিবাহিত করিল। সকলেই জানেন যে, আলস্যই সকল প্রকার দুষ্পবৃত্তির পথপ্রদর্শক-ইহাদেরও পক্ষে এই নিয়মের কিছুমাত্র ব্যতিক্রম দেখা যায় নাই ; বরঞ্চ উপরিপক্ষে কৌলীন্যপ্রথা